bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate, ltop bangla poem, recent bangla abrritti, best ban
"""তোমায় নিয়ে আমার ইচ্ছে"''
লেখাঃ নীলাদ্রি নীল
,
খুব ইচ্ছে ছিল তোমাকে সুতির শাড়িতে দেখার।
তোমাকে দারুন মানায়। চোখে কাজল, কপালে কালো টিপ, হাতে নীল চুড়ি আর খোলা চুলে তোমায় দেবীর মতো-ই সুন্দর লাগতো।
,
খুব ইচ্ছে ছিল তোমাকে সুতির শাড়িতে দেখার।
তোমাকে দারুন মানায়। চোখে কাজল, কপালে কালো টিপ, হাতে নীল চুড়ি আর খোলা চুলে তোমায় দেবীর মতো-ই সুন্দর লাগতো।
তোমাকে হয়তো ভারী গহনা কিনে দিতে পারতাম না তবে মেলা থেকে সস্তায় এক জোড়া নূপুর কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আমার ছিল।
তুমি যেখানেই যেতে নূপুরের ঝুম ঝুম শব্দ শুনে তোমায় ঠিক খুঁজে নিতে পারতাম।
তোমাকে হয়তো বাইকের পিছনে বসিয়ে লং ড্রাইভে যেতে পারতাম না কিন্ত রিক্সায় চড়িয়ে এ শহরটা ঘুরিয়ে দেখাতে পারতাম। আমি আসতে লেট করছি বলে তুমি যখন রাগ করে গাল দুটো
ফুলিয়ে রাখতে।
তোমাকে হয়তো বাইকের পিছনে বসিয়ে লং ড্রাইভে যেতে পারতাম না কিন্ত রিক্সায় চড়িয়ে এ শহরটা ঘুরিয়ে দেখাতে পারতাম। আমি আসতে লেট করছি বলে তুমি যখন রাগ করে গাল দুটো
ফুলিয়ে রাখতে।
অফিস থেকে আসার সময় তোমার জন্য বেলী ফুলের মালা নিয়ে আসতাম।
জানি বেলী ফুল যে তোমার খুব পছন্দ। আর আমি
এনেছি শুনলে তুমি রাগ করে
থাকতেই পারতে না।
জানি বেলী ফুল যে তোমার খুব পছন্দ। আর আমি
এনেছি শুনলে তুমি রাগ করে
থাকতেই পারতে না।
ছুটির দিনগুলোতে পুরো সময়টা তোমায় দিতাম। তোমার রান্নার কাজে তোমায় সাহায্য করতাম। তোমার ঘর গোছানো শেষ হলে তোমায় নিজের হাতে খাইয়ে দিতাম।
বিকেল হলে তোমায় নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে যেতাম। নদীর জলে দুজনে পা ভিজিয়ে রেখে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে ভালোবাসা বিনিময় করতাম।
,
তোমায় নিয়ে আমার আর একটা শেষ ইচ্ছে ছিল জানো? তোমায় বুকে জড়িয়ে ধরে
সারাটা জীবন তোমার সাথেই কাটিয়ে দিব কিন্তু আমার ভাগ্যটা দেখো, আমার সব ইচ্ছে ইচ্ছেই রয়ে গেল। তোমার সাথে আর থাকা হলো না।
নিয়তি হয়তো দুটো ভালো মানুষকে একসাথে থাকতে দেয় না।
তাই না?😑😑😑
===============================
""অনুভবে অভিমান""
লেখাঃ নীলাদ্রি নীল
,
-- আচ্ছা আপনি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন?(ইতু)
-- নাহ!(আমি)
-- কেন? আমার তো ভীষন ভালো লাগে। রাত হলে কত সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখা যায় আপনি জানেন?
-- রাত হলে-ই যে সবাই স্বপ্ন দেখে তা কিন্তু নয়, আমার মতো অনেকে নিজের স্বপ্নগুলোকে গলা টিপে হত্যাও করে।😑
-- হত্যা করে কেন?
-- যেটা কোনদিন সত্যি হবে না সেটাকে বাঁচিয়ে রেখে লাভ কি?
-- তবুও তো সাবাই স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে।
-- কিছু স্বপ্নকে হত্যা করতে শিখতে হয়, আর তা না হলে পরবর্তীতে নিজেকে হত্যা করতে হয়।
-- আগে অনেক স্বপ্ন দেখতেন বুঝি?
-- 😑
-- কি হলো বলুন।
-- 😑
-- সবসময় কি এভাবেই চুপচাপ থাকেন?
-- নীরবতা কোন কারণ ছাড়া হয় না। কিছু কষ্ট থাকে যা মুখের ভাষা কেড়ে নেয়।
-- অনেক কষ্ট আপনার?
-- কই না তো!
-- মনে হচ্ছে কেউ কষ্ট দিয়েছে। কে কষ্ট দিয়েছে বলুন আমায়।
-- এ শহরের প্রতিটা মানুষ-ই খুব যত্নসহকারে কষ্ট দিতে জানে। আর আমি....
-- আর আপনি..?
-- আর আমি নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে সেই কষ্টগুলোকে লুকিয়ে রাখতে ভালোবাসি।😊
-- এত কষ্ট পেয়েছেন তাও হাসছেন?
-- হাসতে হাসতে এমন পর্যায়ে এসে গেছি এখন কেউ কষ্ট দিলেও হাসি পায়।
-- যা-ই বলুন আপনার মুখে হাসিটা কিন্তু দারুন মানায়।
-- হাসি সবার মুখেই মানায়। হয়তো কেউ খুশিতে হাসে কেউ নিজের কষ্টটাকে লুকানোর জন্য হাসে।😑
-- কিন্তু আপনি যখন হাসেন তখন মনে হয় অনেক খুশিতে আছেন।
-- হাসি মুখে থাকা মানুষটাকে দেখে ভাববেন না সে অনেক খুশিতে আছে। তারাই তো হাসিমুখে থাকতে পারে যারা বুক ভরা কষ্ট নিয়েও হাসি দিয়ে তা ঢেকে রাখতে পারে।
-- এজন্য-ই আপনাকে কখনো কাঁদতে দেখি নি।
-- রাতের বেলা আকাশে থাকা তারাগুলো ঠিকিই দেখতে পাবেন কিন্তু কষ্টে থাকা মানুষের ফালানো চোখের জল কখনোও দেখতে পারবেন না।😑
-- হুম আমাদের হাসিখুশি থাকা চেহারাটা অনেক আজব। যা মানুষকে দেখায় তার থেকে বেশি লুকায়।
-- 😑
-- আচ্ছা আপনি কি জোর করে হাসেন?
-- জীবনটা এখন এমন জাগায় দাঁড়িয়ে আছে, কান্না করতে ইচ্ছা হলেও জোর করে হাসতে হয়।
-- আরেকটা কথা জিজ্ঞেস করি?
-- এখন আর কথা বলতে ভালো লাগছে না।
-- কেন?
-- যখন আপনার কারো সাথে কথা বলতে আর ভালো লাগবে না তখন বুঝবেন আপনি একা থাকতে শিখে গেছেন।😑
-- তার মানে আপনিও একা থাকতে শিখে গেছেন৷ তাই তো?
-- খারাপ সময় না আসলে বুঝতেই পারতাম না যে আমি কতটা একা।
-- আপনি ভালো নেই তাই না?
-- হ্যাঁ আমি সত্যি ভালো নেই। কিন্তু এই কথাটা আমার আমি ছাড়া কেউ কখনো বোঝে নি।
-- আচ্ছা আপনার লাইফে কি কোন গল্প আছে?
-- হুম। এ শহরে হাজারো গল্পের মধ্যে আমারো একটা গল্প আছে।
-- কি সেই গল্প?
-- মিথ্যে অনূভুতির গল্প।😑
-- আমায় শোনাবেন?
-- সম্ভব না।
-- কেন?
-- গল্পটা যে বুকের বা পাশটাই বাক্স বন্দি করে বেশ যত্ন সহকারে-ই তুলে রেখেছি।😑
-- মুক্ত করবেন কবে?
-- শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে।
-- এভাবে বলছেন?
-- 😑
-- একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছা করছে। আচ্ছা আপনার প্রেমে পড়ে নি কেউ?
-- হ্যাঁ পড়েছে। কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম কেউ আমার প্রেমে না পড়ুক। সে শুধু আমায় ভালোবাসুক।
-- কেন?
-- প্রেম মানেই তো তো বিচ্ছেদ আর ভালোবাসা মানে সারাজীবন তার সাথে থাকার প্রবল ইচ্ছা।
আমি বিচ্ছেদ চাই নি আমি তো চেয়েছিলাম কেউ আমার সাথে থাকার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করুক।
-- তার মানে কেউ আপনাকে কখনো ভালোবাসে নি?
-- 😑
-- আপনি কাউকে ভালোবাসেন নি?
-- কাউকে হারানোর ভয়ে কখনো কাউকে আপন-ই করি নি। সারাটা জীবন শুধু
ছটফট করে গিয়েছি কিন্তু কখনো কাউকে বলতে পারি নি।😑
-- সত্যি-ই কখনো কারো কাছে আসেন নি?
-- এ শহরের প্রতিটা মানুষ শিখিয়েছে কিভাবে খুব কাছে এসে দূরে সরে আসতে হয়।
-- দেখবেন আপনার জীবনে কেউ একজন আসবে।
হয়তো খুব শীঘ্র না কিন্তু আসবে। আর যে মানুষটা দেরীতে মিলে যে মানুষটা সারা জীবন সাথে থাকে।
-- যে জিনিস সময় মত মিলে না সে জিনিস পরে মিলুক আর না মিলুক তাতে কিছু যায় আসে না।😑
একা থাকতে শিখে গেছি না?
-- প্লিজ মন খারাপ করবেন না।
-- ওটা তো নেই। খারাপ করার কোন প্রশ্ন-ই উঠে না।
-- মন ছাড়া মানুষ হয়?
-- জীবন্ত লাশ হয়েও যারা বেঁচে থাকে তাদের হয়।
-- আচ্ছা জীবন্ত লাশের সঙ্গাটা কি?
-- যে লাশগুলো হাঁটতে পারে,চলতে পারে, কথা বলতে পারে। শুধু বোঝাতে পারে না যে তারা বেঁচে থেকেও মরে গিয়েছে।
-- হুম বুঝলাম।
-- 😑
-- আপনার আর কোন ইচ্ছে নেই?
-- ভিতর থেকে মরে যাওয়া মানুষের কোন ইচ্ছে থাকে না।😑
-- তবুও তো একটা ইচ্ছে থাকে।
-- কিছু ইচ্ছে অপূর্ণ রয়ে গেছে, কারো কাছে আসার কারো সাথে বেঁচে থাকার।😑
-- যদি কেউ আপনার ইচ্ছেটা পূরণ করতে চায়?
-- এই পৃথিবীতে কত লোকের কত ইচ্ছে-ই না অপূর্ণ থাকে আমার না হয় কাউকে না পাওয়ার ইচ্ছেটা অপূর্ণ থাক।😑
-- নীল..!
-- জানেন মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়ে ছুড়ে অনেকটা দূর চলে যায়। আসলে কেউ আমাকে বুঝে না। কারো কিছু আশে যায় না যে আমি খুশি না কি দুখি। যাকে যত ভালোবাসি সে তত-ই দুঃখ
দেয়।😑
-- 😞
-- জানেন আমি না এ শহরকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম ভালোবাসার মানুষটাকে কিভাবে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে
হয়। কিন্তু আপসোস, এ শহরের প্রতিটা ওলিতে
গলিতে অবহেলার বিজ্ঞপ্তি টানানো। এখানে কেউ কারো নয়। কিছুটা মায়া আর কিছুটা অভিনয়।
ওই যে ওই তারাগুলোকে দেখছেন? আমার যখন খুব মন খারাপ হয় তখন ওদের কাছে যায়। শুধু যায় না আমার প্রিয় মানুষগুলোর কাছে। ওরা আমার কষ্টগুলো বুঝতে পারে না। কিন্তু তারাগুলো বুঝতে পারে। মিট মিট করে জ্বলে নিভে আর আমায় সান্ত্বনা দেয়। জানেন আমি এখন একটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করি।
বিকেল হলে তোমায় নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে যেতাম। নদীর জলে দুজনে পা ভিজিয়ে রেখে তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে ভালোবাসা বিনিময় করতাম।
,
তোমায় নিয়ে আমার আর একটা শেষ ইচ্ছে ছিল জানো? তোমায় বুকে জড়িয়ে ধরে
সারাটা জীবন তোমার সাথেই কাটিয়ে দিব কিন্তু আমার ভাগ্যটা দেখো, আমার সব ইচ্ছে ইচ্ছেই রয়ে গেল। তোমার সাথে আর থাকা হলো না।
নিয়তি হয়তো দুটো ভালো মানুষকে একসাথে থাকতে দেয় না।
তাই না?😑😑😑
===============================
""অনুভবে অভিমান""
লেখাঃ নীলাদ্রি নীল
,
-- আচ্ছা আপনি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন?(ইতু)
-- নাহ!(আমি)
-- কেন? আমার তো ভীষন ভালো লাগে। রাত হলে কত সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখা যায় আপনি জানেন?
-- রাত হলে-ই যে সবাই স্বপ্ন দেখে তা কিন্তু নয়, আমার মতো অনেকে নিজের স্বপ্নগুলোকে গলা টিপে হত্যাও করে।😑
-- হত্যা করে কেন?
-- যেটা কোনদিন সত্যি হবে না সেটাকে বাঁচিয়ে রেখে লাভ কি?
-- তবুও তো সাবাই স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে।
-- কিছু স্বপ্নকে হত্যা করতে শিখতে হয়, আর তা না হলে পরবর্তীতে নিজেকে হত্যা করতে হয়।
-- আগে অনেক স্বপ্ন দেখতেন বুঝি?
-- 😑
-- কি হলো বলুন।
-- 😑
-- সবসময় কি এভাবেই চুপচাপ থাকেন?
-- নীরবতা কোন কারণ ছাড়া হয় না। কিছু কষ্ট থাকে যা মুখের ভাষা কেড়ে নেয়।
-- অনেক কষ্ট আপনার?
-- কই না তো!
-- মনে হচ্ছে কেউ কষ্ট দিয়েছে। কে কষ্ট দিয়েছে বলুন আমায়।
-- এ শহরের প্রতিটা মানুষ-ই খুব যত্নসহকারে কষ্ট দিতে জানে। আর আমি....
-- আর আপনি..?
-- আর আমি নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে সেই কষ্টগুলোকে লুকিয়ে রাখতে ভালোবাসি।😊
-- এত কষ্ট পেয়েছেন তাও হাসছেন?
-- হাসতে হাসতে এমন পর্যায়ে এসে গেছি এখন কেউ কষ্ট দিলেও হাসি পায়।
-- যা-ই বলুন আপনার মুখে হাসিটা কিন্তু দারুন মানায়।
-- হাসি সবার মুখেই মানায়। হয়তো কেউ খুশিতে হাসে কেউ নিজের কষ্টটাকে লুকানোর জন্য হাসে।😑
-- কিন্তু আপনি যখন হাসেন তখন মনে হয় অনেক খুশিতে আছেন।
-- হাসি মুখে থাকা মানুষটাকে দেখে ভাববেন না সে অনেক খুশিতে আছে। তারাই তো হাসিমুখে থাকতে পারে যারা বুক ভরা কষ্ট নিয়েও হাসি দিয়ে তা ঢেকে রাখতে পারে।
-- এজন্য-ই আপনাকে কখনো কাঁদতে দেখি নি।
-- রাতের বেলা আকাশে থাকা তারাগুলো ঠিকিই দেখতে পাবেন কিন্তু কষ্টে থাকা মানুষের ফালানো চোখের জল কখনোও দেখতে পারবেন না।😑
-- হুম আমাদের হাসিখুশি থাকা চেহারাটা অনেক আজব। যা মানুষকে দেখায় তার থেকে বেশি লুকায়।
-- 😑
-- আচ্ছা আপনি কি জোর করে হাসেন?
-- জীবনটা এখন এমন জাগায় দাঁড়িয়ে আছে, কান্না করতে ইচ্ছা হলেও জোর করে হাসতে হয়।
-- আরেকটা কথা জিজ্ঞেস করি?
-- এখন আর কথা বলতে ভালো লাগছে না।
-- কেন?
-- যখন আপনার কারো সাথে কথা বলতে আর ভালো লাগবে না তখন বুঝবেন আপনি একা থাকতে শিখে গেছেন।😑
-- তার মানে আপনিও একা থাকতে শিখে গেছেন৷ তাই তো?
-- খারাপ সময় না আসলে বুঝতেই পারতাম না যে আমি কতটা একা।
-- আপনি ভালো নেই তাই না?
-- হ্যাঁ আমি সত্যি ভালো নেই। কিন্তু এই কথাটা আমার আমি ছাড়া কেউ কখনো বোঝে নি।
-- আচ্ছা আপনার লাইফে কি কোন গল্প আছে?
-- হুম। এ শহরে হাজারো গল্পের মধ্যে আমারো একটা গল্প আছে।
-- কি সেই গল্প?
-- মিথ্যে অনূভুতির গল্প।😑
-- আমায় শোনাবেন?
-- সম্ভব না।
-- কেন?
-- গল্পটা যে বুকের বা পাশটাই বাক্স বন্দি করে বেশ যত্ন সহকারে-ই তুলে রেখেছি।😑
-- মুক্ত করবেন কবে?
-- শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে।
-- এভাবে বলছেন?
-- 😑
-- একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছা করছে। আচ্ছা আপনার প্রেমে পড়ে নি কেউ?
-- হ্যাঁ পড়েছে। কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম কেউ আমার প্রেমে না পড়ুক। সে শুধু আমায় ভালোবাসুক।
-- কেন?
-- প্রেম মানেই তো তো বিচ্ছেদ আর ভালোবাসা মানে সারাজীবন তার সাথে থাকার প্রবল ইচ্ছা।
আমি বিচ্ছেদ চাই নি আমি তো চেয়েছিলাম কেউ আমার সাথে থাকার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করুক।
-- তার মানে কেউ আপনাকে কখনো ভালোবাসে নি?
-- 😑
-- আপনি কাউকে ভালোবাসেন নি?
-- কাউকে হারানোর ভয়ে কখনো কাউকে আপন-ই করি নি। সারাটা জীবন শুধু
ছটফট করে গিয়েছি কিন্তু কখনো কাউকে বলতে পারি নি।😑
-- সত্যি-ই কখনো কারো কাছে আসেন নি?
-- এ শহরের প্রতিটা মানুষ শিখিয়েছে কিভাবে খুব কাছে এসে দূরে সরে আসতে হয়।
-- দেখবেন আপনার জীবনে কেউ একজন আসবে।
হয়তো খুব শীঘ্র না কিন্তু আসবে। আর যে মানুষটা দেরীতে মিলে যে মানুষটা সারা জীবন সাথে থাকে।
-- যে জিনিস সময় মত মিলে না সে জিনিস পরে মিলুক আর না মিলুক তাতে কিছু যায় আসে না।😑
একা থাকতে শিখে গেছি না?
-- প্লিজ মন খারাপ করবেন না।
-- ওটা তো নেই। খারাপ করার কোন প্রশ্ন-ই উঠে না।
-- মন ছাড়া মানুষ হয়?
-- জীবন্ত লাশ হয়েও যারা বেঁচে থাকে তাদের হয়।
-- আচ্ছা জীবন্ত লাশের সঙ্গাটা কি?
-- যে লাশগুলো হাঁটতে পারে,চলতে পারে, কথা বলতে পারে। শুধু বোঝাতে পারে না যে তারা বেঁচে থেকেও মরে গিয়েছে।
-- হুম বুঝলাম।
-- 😑
-- আপনার আর কোন ইচ্ছে নেই?
-- ভিতর থেকে মরে যাওয়া মানুষের কোন ইচ্ছে থাকে না।😑
-- তবুও তো একটা ইচ্ছে থাকে।
-- কিছু ইচ্ছে অপূর্ণ রয়ে গেছে, কারো কাছে আসার কারো সাথে বেঁচে থাকার।😑
-- যদি কেউ আপনার ইচ্ছেটা পূরণ করতে চায়?
-- এই পৃথিবীতে কত লোকের কত ইচ্ছে-ই না অপূর্ণ থাকে আমার না হয় কাউকে না পাওয়ার ইচ্ছেটা অপূর্ণ থাক।😑
-- নীল..!
-- জানেন মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়ে ছুড়ে অনেকটা দূর চলে যায়। আসলে কেউ আমাকে বুঝে না। কারো কিছু আশে যায় না যে আমি খুশি না কি দুখি। যাকে যত ভালোবাসি সে তত-ই দুঃখ
দেয়।😑
-- 😞
-- জানেন আমি না এ শহরকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিলাম ভালোবাসার মানুষটাকে কিভাবে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে
হয়। কিন্তু আপসোস, এ শহরের প্রতিটা ওলিতে
গলিতে অবহেলার বিজ্ঞপ্তি টানানো। এখানে কেউ কারো নয়। কিছুটা মায়া আর কিছুটা অভিনয়।
ওই যে ওই তারাগুলোকে দেখছেন? আমার যখন খুব মন খারাপ হয় তখন ওদের কাছে যায়। শুধু যায় না আমার প্রিয় মানুষগুলোর কাছে। ওরা আমার কষ্টগুলো বুঝতে পারে না। কিন্তু তারাগুলো বুঝতে পারে। মিট মিট করে জ্বলে নিভে আর আমায় সান্ত্বনা দেয়। জানেন আমি এখন একটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করি।
আমার লাইফে এমন একটা সময় আসবে যে সময়ে সবার সামনে খুব করে কান্না করবো। ইউ নো হোয়াট, সেটা হবে খুশির কান্না। কান্না করতেই থাকবো কিন্তু কাউকেই কিছুই বলবো না।
মনে মনে বলবো, "আজ আমি হেরে গিয়েও জিতে
গিয়েছি। আজকের এই দিনটা শুধুই আমার।"
ঠিক এ কারণে আমি আজোও বেঁচে আছি।😑
-- নীল...!
-- এইতো।
-- আপনার সব কষ্টগুলোকে আমায় দিবেন?
-- কারো কষ্ট কেউ কখনো নিতে পারে না ইতু। যার কষ্ট শুধু তাকেই নিতে হয়।
-- কেউ না পারলে আমি পারবো।
-- সহ্য করতে পারবেন না।
-- আমি সত্যিই নিতে চাই৷ আপনার সব টা নিতে চাই নীল। আপনার সব কিছুই আমাকে খুব টানে জানেন? আপনার সাথে কথা বললে মনে হয় আপনি আমার খুব আপন। আপনার সাথে অনেক আগে থেকেই আমার পরিচয়। আপনি অন্যের ভালো লাগা দেখতে গিয়ে, অন্যকে খুশি রাখতে গিয়ে নিজেই খুশিতে থাকতে ভুলে গেছেন।
যে মানুষটা অন্যকে খুশিতে রাখতে পারে সেই মানুষটা অনেক ভালোবাসতে জানে। আমি এমন একটা মানুষ-ই চেয়েছিলাম। যে মানুষটা নিজের কথা চিন্তা না করে শুধু অন্যকে খুশি রাখতে জানে।
একজন নিঃস্বার্থ মানুষ। জানেন আপনাকে নিয়ে বুকের বা পাশে একটা অনূভুতি তৈরি হয়। বলতে আর কোন বাঁধা নেই যে আমি...! নীল আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি আপনি কি বুঝতে পারছেন না?
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে উঠি,
-- সরি। সব মিথ্যে। এ অনূভুতিগুলো মিথ্যে। আপনার এ মিথ্যে অনুভূতি দিয়ে আমার নিষিদ্ধ অনূভুতিগুলো আর জাগাবেন না।🙏
-- নীল সব কিছু মিথ্যে না নীল আমি সত্যি-ই.....!
বলেই কান্না করতে থাকে মেয়েটা। কাজল ল্যাপ্টানো চোখ জোড়া অনেকটা অভিমান নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমায় আবারো বলছে,
-- আপনি না খুব খারাপ। খুব খারপ আপনি। 😭
আমিও মুচকি হেসে বলে দিলাম,
-- হুম আমি খারাপ কিন্তু আমার লাইফে আমি অনেক দুখী মানুষরে হাসাইছি।
-- হ্যাঁ আপনি অনেক দুখী মানুষকে হাসিয়েছেন কিন্তু আজ আপনি আমায় কাঁদালেন। আপনি খুব খারাপ। আমায় একটুও বুঝলেন না। 😭
-- আমায় মাফ করবেন,🙏অনেক আগেই আমার অনূভুতি মিথ্যে হয়ে গিয়েছে।
,
মন এবার ভাঙ্গলো তবে
চোখের জলে বৃষ্টির ফোট,
তুমি অনেক ভালো থেকো
আমার অনূভুতির মৃত্যু
হোক।😑😑😑😑😑😑
====================================
মনে মনে বলবো, "আজ আমি হেরে গিয়েও জিতে
গিয়েছি। আজকের এই দিনটা শুধুই আমার।"
ঠিক এ কারণে আমি আজোও বেঁচে আছি।😑
-- নীল...!
-- এইতো।
-- আপনার সব কষ্টগুলোকে আমায় দিবেন?
-- কারো কষ্ট কেউ কখনো নিতে পারে না ইতু। যার কষ্ট শুধু তাকেই নিতে হয়।
-- কেউ না পারলে আমি পারবো।
-- সহ্য করতে পারবেন না।
-- আমি সত্যিই নিতে চাই৷ আপনার সব টা নিতে চাই নীল। আপনার সব কিছুই আমাকে খুব টানে জানেন? আপনার সাথে কথা বললে মনে হয় আপনি আমার খুব আপন। আপনার সাথে অনেক আগে থেকেই আমার পরিচয়। আপনি অন্যের ভালো লাগা দেখতে গিয়ে, অন্যকে খুশি রাখতে গিয়ে নিজেই খুশিতে থাকতে ভুলে গেছেন।
যে মানুষটা অন্যকে খুশিতে রাখতে পারে সেই মানুষটা অনেক ভালোবাসতে জানে। আমি এমন একটা মানুষ-ই চেয়েছিলাম। যে মানুষটা নিজের কথা চিন্তা না করে শুধু অন্যকে খুশি রাখতে জানে।
একজন নিঃস্বার্থ মানুষ। জানেন আপনাকে নিয়ে বুকের বা পাশে একটা অনূভুতি তৈরি হয়। বলতে আর কোন বাঁধা নেই যে আমি...! নীল আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি আপনি কি বুঝতে পারছেন না?
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে উঠি,
-- সরি। সব মিথ্যে। এ অনূভুতিগুলো মিথ্যে। আপনার এ মিথ্যে অনুভূতি দিয়ে আমার নিষিদ্ধ অনূভুতিগুলো আর জাগাবেন না।🙏
-- নীল সব কিছু মিথ্যে না নীল আমি সত্যি-ই.....!
বলেই কান্না করতে থাকে মেয়েটা। কাজল ল্যাপ্টানো চোখ জোড়া অনেকটা অভিমান নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমায় আবারো বলছে,
-- আপনি না খুব খারাপ। খুব খারপ আপনি। 😭
আমিও মুচকি হেসে বলে দিলাম,
-- হুম আমি খারাপ কিন্তু আমার লাইফে আমি অনেক দুখী মানুষরে হাসাইছি।
-- হ্যাঁ আপনি অনেক দুখী মানুষকে হাসিয়েছেন কিন্তু আজ আপনি আমায় কাঁদালেন। আপনি খুব খারাপ। আমায় একটুও বুঝলেন না। 😭
-- আমায় মাফ করবেন,🙏অনেক আগেই আমার অনূভুতি মিথ্যে হয়ে গিয়েছে।
,
মন এবার ভাঙ্গলো তবে
চোখের জলে বৃষ্টির ফোট,
তুমি অনেক ভালো থেকো
আমার অনূভুতির মৃত্যু
হোক।😑😑😑😑😑😑
====================================
""রাইটার থিংকিং""
লেখাঃ নীলাদ্রি নীল
একজন রাইটার হওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়। আমার মতে, "রাইটার থিংকিং" বলে একটা কিছু আছে। আর এটা যখন হয়, তখন ভাবনা গুলো যেন আর কাজ করতে চায় না। আমার চারপাশে এতো এতো মানুষ, এতো এতো চরিত্র, এতো এতো গল্প আর এত্ত এত্ত কাহিনী। সব কিছুকে একসাথে লিখে সাজাতে-গোছাতে তারপর একটা মানানসই শিরোনাম দেওয়া, এ সবটা এক জায়গা করতে গেলে মনে হয়, ঠিক কোথা থেকে যেন শুরু করি।
তখন ভাবনাগুলো কেমন যেন এলোমেলো
মনে হয়৷
,
এখন সবসময় একা একা থাকি। একা একা থাকলে একদিকে যেমন নিজেকে সময় দিতে পারি অন্যদিকে অন্য কাউকে কষ্ট দেওয়ার থেকেও নিজেকে বিরত রাখতে পারি। আমার আনন্দ বা
দুঃখ, এ দূটো শব্দ আমার স্বত্তাকে এখন আর প্রভাবিত করতে পারে না। অর্থাৎ আমি নিজের আন্দতে আনন্দিত না হয়ে অন্যের আনন্দতে আনন্দ পাই। দুঃখের ক্ষেত্রেও ঠিক একই জিনিস কাজ করে। মাঝে সবাই আমার নীরবতার কারণ জিজ্ঞেস করে বসে৷ আমি তখন তাদের সুক্ষ্ম উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি৷ তাদেরকে বলি,
আমি চুপ করে থাকি কারণ নিজের আনন্দ বা দুঃখের কথা এখন আর কাউকে বলতে ইচ্ছা করে না। তাই চুপ করে থাকি। এই চুপ করে থাকার আরেকটা কারণ হল,কাউকে কষ্ট না দেওয়া।
আমি যত কথা বলবো অন্যেরা ততই কষ্ট পাবে।
আমি কষ্ট না দিতে চাইলেই নিজের অজান্তে
কষ্ট দিয়ে ফেলব। আর তাই চুপ করে থাকা।
,
আমার খুব ইচ্ছে একটা বড় বাগানওয়ালা বাড়ি বানিয়ে তার ছাদে, কাঠের চেয়ারে বসে নিজের হাতে লেখা গল্পের বইগুলো একবার পড়ে দেখব। এক হাতে থাকবে একটা কফির মগ আর জন্য হাতে থাকবে বইটা। তারপর শেষ বিকেলের বিষন্ন বাতাসে আমার সামনের চুলগুলো হালকা উড়ে যাবে আর
এক চিলতে রোদ এসে পড়বে আমার লেখার উপরে। মোটা ফ্রেমে বন্দী চশমার আড়াল থেকে তা দেখব। তারপর আচমকায় আমার কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে খানিকটা চমকে উঠব। পিছু ফিরে তাকাতেই তার মায়া ভরা মুখাখানা
দেখে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলব।
তার পরনে থাকবে নীল রঙের শাড়ি, মেচিং ব্লাউজ, দু হাতে কয়েক খানা কাঁচের চুরি, কপালের ঠিক মাঝ বরাবর ছোট্ট একটা টিপ, আর আলতা রাঙা পায়ে থাকবে রিনিঝিনি নূপুর। আর সব শেষে যেটা থাকবে সেটা হল তার হরিনী চোখের কোণে ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কাজল। তার চুলের ক্ষোপায় গোজা থাকবে বেলী ফুলের মালা। যার ঘ্রান আমাকে যেন
পাগল করে ফেলবে। তারপর তাকে পাশে বসিয়ে আমার গল্পগুলো এক এক করে পড়ে শোনাব। সে মুদ্ধময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে আমার মুখমন্ডলের দিকে । আর আমি মাঝে মাঝে আড় চোখে তা
দেখব। মুচকি হেসে আমার ভালো লাগা প্রকাশ করবো।
,
বছরের প্রথম বৃষ্টি এলেই ভিজতে ভিজতে হারিয়ে যাব দুজন সবার আলক্ষ্যে। তার হাতের আঙ্গুলের ভাজে থাকবে আমার আঙ্গুল।
কখনো বা শীতের কুয়াশা ভেজা
দূর্বা ঘাসে হেটে যাব আবার কখনো বা বিকেলের গোধূলির লগ্নে বসে দূর আকাশে অস্ত যাওয়া লাল টকটকে আভাময়ী সূর্যকে উপভোগ করবো। আকাশের ভাজে ভাজে মেঘ ভাঙ্গা রোদ হালকা উঁকি দিয়ে তার বিদায় বেলা জানিয়ে দিয়ে
যাবে। তারপর শেষ রাতে যখন তারার আলোয় আলোকিত হয়ে
অন্যরকম হয়ে উঠবে চারিদিক,
তখন চুপিসারে আবারো ছাদে গিয়ে বসে থাকবো। অপেক্ষাটা থাকবে শুধু তার জন্য। আমাকে না পেয়ে হয়তো সে ঘুম ঘুম চোখে
খুঁজতে খুঁজতে ছাদে এসে পড়বে।
আমাকে দেখেই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। তারপর অভিমানীনির অভিমান চোখে আমার দিকে তাকাবে। তার মান ভাঙাতে ভাঙ্গা গলায় দু লাইন রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে শোনাব। আস্তে আস্তে যখন তার সব অভিমান গলে জল হয়ে যাবে তখন সে আলতো করে আমার কাঁধে মাথা রাখবে। আর তার ঘন কালো কেশগুলো যখন হালকা মৃদু বাতাসে উড়তে থাকবে
আমি হাত দিয়ে ধরে ছুঁয়ে দেখব। আমার
হাতের স্পর্শ পেতেই সে তার চোখ দুটি বন্ধ করে রাখবে। তারপর তার
হাত দুখানা আলতো করে ধরে বলবো,
,
অনুরোধে নয়,
অনুভবে চাই।
অনুরাগে নয়,
অভিমানে চাই।
অভিনয়ে নয়,
অভিযোগে চাই।
জলপনাতে নয়,
কল্পনাতে চাই।
গোধূলিতে নয়,
সারাবেলা চাই।
ছায়াতে নয়,
মায়াতে চাই।
আশসাসে নয়,
নিঃশ্বাসে চাই।
প্রশ্বাসে নয়,
বিশ্বাসে শুধু
তোমাকে চাই।
প্রকাশণায়ঃ---"মধু'র ভূবণ"
লেখাঃ নীলাদ্রি নীল
একজন রাইটার হওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়। আমার মতে, "রাইটার থিংকিং" বলে একটা কিছু আছে। আর এটা যখন হয়, তখন ভাবনা গুলো যেন আর কাজ করতে চায় না। আমার চারপাশে এতো এতো মানুষ, এতো এতো চরিত্র, এতো এতো গল্প আর এত্ত এত্ত কাহিনী। সব কিছুকে একসাথে লিখে সাজাতে-গোছাতে তারপর একটা মানানসই শিরোনাম দেওয়া, এ সবটা এক জায়গা করতে গেলে মনে হয়, ঠিক কোথা থেকে যেন শুরু করি।
তখন ভাবনাগুলো কেমন যেন এলোমেলো
মনে হয়৷
,
এখন সবসময় একা একা থাকি। একা একা থাকলে একদিকে যেমন নিজেকে সময় দিতে পারি অন্যদিকে অন্য কাউকে কষ্ট দেওয়ার থেকেও নিজেকে বিরত রাখতে পারি। আমার আনন্দ বা
দুঃখ, এ দূটো শব্দ আমার স্বত্তাকে এখন আর প্রভাবিত করতে পারে না। অর্থাৎ আমি নিজের আন্দতে আনন্দিত না হয়ে অন্যের আনন্দতে আনন্দ পাই। দুঃখের ক্ষেত্রেও ঠিক একই জিনিস কাজ করে। মাঝে সবাই আমার নীরবতার কারণ জিজ্ঞেস করে বসে৷ আমি তখন তাদের সুক্ষ্ম উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি৷ তাদেরকে বলি,
আমি চুপ করে থাকি কারণ নিজের আনন্দ বা দুঃখের কথা এখন আর কাউকে বলতে ইচ্ছা করে না। তাই চুপ করে থাকি। এই চুপ করে থাকার আরেকটা কারণ হল,কাউকে কষ্ট না দেওয়া।
আমি যত কথা বলবো অন্যেরা ততই কষ্ট পাবে।
আমি কষ্ট না দিতে চাইলেই নিজের অজান্তে
কষ্ট দিয়ে ফেলব। আর তাই চুপ করে থাকা।
,
আমার খুব ইচ্ছে একটা বড় বাগানওয়ালা বাড়ি বানিয়ে তার ছাদে, কাঠের চেয়ারে বসে নিজের হাতে লেখা গল্পের বইগুলো একবার পড়ে দেখব। এক হাতে থাকবে একটা কফির মগ আর জন্য হাতে থাকবে বইটা। তারপর শেষ বিকেলের বিষন্ন বাতাসে আমার সামনের চুলগুলো হালকা উড়ে যাবে আর
এক চিলতে রোদ এসে পড়বে আমার লেখার উপরে। মোটা ফ্রেমে বন্দী চশমার আড়াল থেকে তা দেখব। তারপর আচমকায় আমার কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে খানিকটা চমকে উঠব। পিছু ফিরে তাকাতেই তার মায়া ভরা মুখাখানা
দেখে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলব।
তার পরনে থাকবে নীল রঙের শাড়ি, মেচিং ব্লাউজ, দু হাতে কয়েক খানা কাঁচের চুরি, কপালের ঠিক মাঝ বরাবর ছোট্ট একটা টিপ, আর আলতা রাঙা পায়ে থাকবে রিনিঝিনি নূপুর। আর সব শেষে যেটা থাকবে সেটা হল তার হরিনী চোখের কোণে ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কাজল। তার চুলের ক্ষোপায় গোজা থাকবে বেলী ফুলের মালা। যার ঘ্রান আমাকে যেন
পাগল করে ফেলবে। তারপর তাকে পাশে বসিয়ে আমার গল্পগুলো এক এক করে পড়ে শোনাব। সে মুদ্ধময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে আমার মুখমন্ডলের দিকে । আর আমি মাঝে মাঝে আড় চোখে তা
দেখব। মুচকি হেসে আমার ভালো লাগা প্রকাশ করবো।
,
বছরের প্রথম বৃষ্টি এলেই ভিজতে ভিজতে হারিয়ে যাব দুজন সবার আলক্ষ্যে। তার হাতের আঙ্গুলের ভাজে থাকবে আমার আঙ্গুল।
কখনো বা শীতের কুয়াশা ভেজা
দূর্বা ঘাসে হেটে যাব আবার কখনো বা বিকেলের গোধূলির লগ্নে বসে দূর আকাশে অস্ত যাওয়া লাল টকটকে আভাময়ী সূর্যকে উপভোগ করবো। আকাশের ভাজে ভাজে মেঘ ভাঙ্গা রোদ হালকা উঁকি দিয়ে তার বিদায় বেলা জানিয়ে দিয়ে
যাবে। তারপর শেষ রাতে যখন তারার আলোয় আলোকিত হয়ে
অন্যরকম হয়ে উঠবে চারিদিক,
তখন চুপিসারে আবারো ছাদে গিয়ে বসে থাকবো। অপেক্ষাটা থাকবে শুধু তার জন্য। আমাকে না পেয়ে হয়তো সে ঘুম ঘুম চোখে
খুঁজতে খুঁজতে ছাদে এসে পড়বে।
আমাকে দেখেই একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। তারপর অভিমানীনির অভিমান চোখে আমার দিকে তাকাবে। তার মান ভাঙাতে ভাঙ্গা গলায় দু লাইন রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে শোনাব। আস্তে আস্তে যখন তার সব অভিমান গলে জল হয়ে যাবে তখন সে আলতো করে আমার কাঁধে মাথা রাখবে। আর তার ঘন কালো কেশগুলো যখন হালকা মৃদু বাতাসে উড়তে থাকবে
আমি হাত দিয়ে ধরে ছুঁয়ে দেখব। আমার
হাতের স্পর্শ পেতেই সে তার চোখ দুটি বন্ধ করে রাখবে। তারপর তার
হাত দুখানা আলতো করে ধরে বলবো,
,
অনুরোধে নয়,
অনুভবে চাই।
অনুরাগে নয়,
অভিমানে চাই।
অভিনয়ে নয়,
অভিযোগে চাই।
জলপনাতে নয়,
কল্পনাতে চাই।
গোধূলিতে নয়,
সারাবেলা চাই।
ছায়াতে নয়,
মায়াতে চাই।
আশসাসে নয়,
নিঃশ্বাসে চাই।
প্রশ্বাসে নয়,
বিশ্বাসে শুধু
তোমাকে চাই।
প্রকাশণায়ঃ---"মধু'র ভূবণ"
COMMENTS