ভালোবাসার সফরনামা, ভালোবাসার অসাধারণ রচনা। "মধু'র ভূবণ"

SHARE:

bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, premer golpo, sera bani, love quate, top bangla poem, recent abrritti, best poettry,


                ভালোবাসার সফরনামা,  ভালোবাসার অসাধারণ রচনা। 

                                               লেখায়-----আহির তনিমা রায়


ভালোবাসার সফরনামা,  ভালোবাসার অসাধারণ রচনা।   "মধু'র ভূবণ"


 রাত প্রায় পৌনে দুটো। শুনশান রাস্তা দিয়ে বিকট আওয়াজ তুলে ছুটে চলা পুরোনো লড়ঝরে বাইকের সওয়ারি দুই যুবক। উদ্বেগের ছাপ তাদের চোখের ভাষায় স্পষ্ট, তবু তার মধ্যেই যেন অদম্য এক জেদ আর সাহসের ঝিলিক উঁকি দিচ্ছে। ওরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা অসম সাহসী সৈনিক। অস্ত্র কেবল নাক আর মুখ ঢেকে রাখা সার্জিকাল মাস্ক। এই সামান্য সুরক্ষার আশ্বাসেই বলীয়ান হয়ে কাঁধে অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে তারা যাচ্ছে এক মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে।


হসপিটালের অবস্থা শোচনীয়। সেখানে জীবন বাঁচাতে মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকতে হয়। সরল ভাবে বললে - একজন করোনা পেশেন্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ না করলে তার ভাগের অক্সিজেনটুকু অন্য কাউকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না - এতটাই চাপ সেখানে। তাই তো অভিদের মত কিছু "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো" ছেলেরা দিন রাত ছুটে বেড়াচ্ছে গৃহবন্দী থাকা মুমূর্ষু রোগীদের প্রাণ বাঁচানোর আয়োজনে।


এই যেমন ঠিক এখনও এটাই করছে তারা। সারাদিন ধরে তাদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কোভিড আক্রান্ত পরিবারগুলোর কাছে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য ছুটোছুটি করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যেইমাত্র একটু বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে, ঠিক সেই সময়েই খবর আসে- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করতে হবে।


প্রায় ঘন্টা তিনেকের দৌড়ঝাঁপের পর একটা সিলিন্ডার জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছে অভি আর দেব। তারপর বলে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী নিজেদের গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছে তারা।

এমনিতেও সন্ধ্যাবেলায় ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। বাইক চালাতে চালাতে জোলো বাতাসের ঝাপটা লেগে বেশ শীত শীত করছে অভির। তার উপর একটা অজানা আশঙ্কা যেন তার শরীরের মধ্যেও শিরশিরে কাঁপুনি দিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত যে ক'টা রাতের দিকের কেস এসেছে, একজনকেও বাঁচানো যায়নি। সে নিজে এরকম পরিস্থিতির সন্মুখীন না হলেও দলের অন্যান্য সদস্যদের থেকে শুনেছে এই বিষয়টা। তাই আজ নিজে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে গিয়ে পড়তে চলছে বলেই যেন আপনাআপনি একটা আশঙ্কা তার মনে বাসা বাঁধতে শুরু করেছে - এই যে এত অসম লড়াই মৃত্যুদূতকে ঠেকানোর, আদৌ তাকে ঠেকানো যাবে তো? যদি না যায়, তাহলে সেই মুহূর্তে কি করবে সে?


এমন ভাবনা অভির মনে আসা একেবারে অবাঞ্ছিত নয়। তার কারণ, অভি তার বয়সী আর পাঁচটা ছেলের মত নয়। দীর্ঘ লকডাউনের যাঁতাকলে পড়ে না থাকলে এতদিনে সে হয়ত ইউনিভার্সিটিতে অ্যাডমিশন নিয়ে ফেলতো। তাই বয়সের দিক থেকে তাকে একেবারে তরতাজা যুবক বলা যায়। কিন্তু অন্তর থেকে সে এখনও কিশোর। মনটা তার বড্ড নরম। সে কখনো ক্লাস বাঙ্ক করে সিনেমা দেখতে যায়নি। চায়ের দোকানে ঠেকবাজি করেনি। রাস্তাঘাটে কোনো মেয়ে দেখলে চোখ দিয়ে তার শরীর মাপেনি।
তার জেগে থাকা রাতগুলো নীল ছবি দেখে নয়, বরং কবিতা লিখেই কাটত। যবে থেকে জ্ঞান-বুদ্ধি হয়েছে, কখনো মা বাবার মতের বিরুদ্ধে যায় নি সে।


তবে, এই প্রথমবার সে তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই সেবার কাজে ব্রতী হয়েছে। কারণ তাকে যে এখনও অনেক অনেক কবিতা লিখতে হবে। কিন্তু এই মৃত্যুমিছিলের মাঝে যে তার কলম নির্বাক হয়ে গেছে। আর সে পারেনা কবিতা লিখতে। নিস্তব্ধ রাতগুলো যেন জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসতে থাকে বুকের উপর। বড় অসহায় লাগে নিজেকে তখন। অসহায় লাগে এই মৃত্যুমিছিল ঠেকাতে না পারার ক্ষমতা না থাকার জন্য। তাই তো অন্তরের ডাকে সাড়া দিয়ে সে যোগদান করেছে পল্টাদাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "সাথী"তে। তাদের লড়াই এখন কোভিড নামক অতিমারীর বিরুদ্ধে, এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে।


চাপা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে অভির বুক থেকে। সরু গলির বাঁকটা ঘুরতেই সামনে দেখতে পায় সেই বিশাল শিব মন্দির। ঠিক এর আশেপাশেই কোনো একটা বাড়িতে যেতে হবে তাদের। ল্যাম্পপোস্টের হলদেটে আলোর নিচে দাঁড়িয়ে পকেট থেকে তার মোবাইলটা বার করে সে কল করে কাউকে -
"পল্টাদা, আমরা এসে গেছি। কোথায় তুমি?...আচ্ছা আমরা দাঁড়াচ্ছি।"


কলটা কেটে দিয়ে ফোনটা পকেটে ঢোকানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই উল্টোদিকের একটা বাড়ি থেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে পিপিই কিট পরা পল্টন সরকার আর তার এক সঙ্গী। দেবের কাছ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারটা নিয়ে তারা দৌড়ে সেই বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে।
অভি তখনও সেদিকে তাকিয়েই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে দেখে, পিছন থেকে দেব তার পিঠে টোকা মেরে বলে -
"কি রে! চল চলে যাই। হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?"
অভি মাথা নেড়ে উত্তর দেয় -
"আমি যাবো না।"

-"যাবো না মানে? তুই এখানে থেকে কি করবি? সারাটা দিন দৌড়ঝাঁপ করেছিস। চল বাড়ি ফিরে রেস্ট নিবি। ওসব পল্টাদারা সামলে নেবে।"
-"তুই বাইকটা নিয়ে চলে যা। বাবাকে বলে দিস গেটের চাবিটা একটু তোকে দিতে। গাড়িটা তুলে রাখিস। আমি এখানেই থাকবো।"


- "ভাই...পাগলামি ছাড়। যা হওয়ার তাই হবে। রোগীর বাঁচার চান্স থাকলে বাঁচবে। না হলে নয়। তুই এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে তো আর কোনো বাড়তি কোনো সুবিধা হবে না।"
অভি বাইকের স্ট্যান্ডটা নামিয়ে দিয়ে সরে দাঁড়ালো।
"বললাম তো। তুই যা।"


দেব বুঝতে পারলো অভিকে বেশী নাড়িয়ে লাভ নেই। ছেলেটার এমনিতে জেদ নেই বটে। কিন্তু কিছু একটা "গোঁ" ধরলে ও আর কারুর কথাই শুনবে না। অগত্যা সে নিজেই বাইকটা ঘুরিয়ে নিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলো, আর ঠিক সেই মুহূর্তেই অভির পকেটে থাকা মোবাইল ফোনটা ঝনঝন করে বেজে উঠলো। ভ্রু কুঁচকে অভির দিকে তাকালো দেব। তড়িঘড়ি ফোনটা বার করলো অভি। কে জানে আমার কোনো এমার্জেন্সি কল কি না!


"কে রে?" দেব জিজ্ঞেস করলো।
"পল্টা দা!" অভির চোখে বিস্ময়।
"সে কি! এইটুকু সময়ে আবার কি হলো? গিয়ে দেখবো ওই বাড়িতে?"
"দাঁড়া।" বলে অভি ফোনটা রিসিভ করলো। "হ্যাঁ বলো... না না চলে যায় নি, আমরা এখানেই দাঁড়িয়ে আছি। কেন কি হয়েছে?"
এরপর আর কয়েক সেকেন্ড "হুঁ হ্যাঁ" করে কলটা কেটে দিয়ে অভি বললো,
"চল ওই বাড়িতে। পল্টাদা ডাকছে। আর্জেন্ট।"
"কিন্তু...আমাদের তো পিপিই কিট পরা নেই।"


"আরে চল না। অন্য ব্যাপার।" অভি বাইকটা ঠেলে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে থাকলো আর দেব ওর পিছন পিছন হাঁটতে শুরু করলো।
বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই ঘরের ভিতর থেকে জয় বেরিয়ে এলো। তাদেরকে দেখেই সে বলে উঠলো-
"ওই পাঁচিলের পাশ দিয়ে সোজা পিছন দিকে চলে যা। একটা কাঠের দরজা আছে। দেখ দুজনে মিলে ভাঙতে পারিস কি না।"


"দরজা ভাঙবো? কিন্তু কেন?" দেব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
এরপর জয় যা বললো তার সারমর্ম হলো এই যে, এই বাড়িতে থাকে কেবল মা আর মেয়ে। মা অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই অভিদের সংস্থা "সাথী" এই পরিবারের সমস্তরকম দেখভাল করছে। মেয়েটির কোভিড টেস্ট করানো হয়েছে এবং সৌভাগ্যবশত রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাই তাকে অন্য ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। তবে তার ঘর থেকে সে তার মায়ের ঘরটা দেখতে পায়। ক'দিন ধরে মায়ের কাছে আসতে পারছে না বলে এমনিতেই কান্নাকাটি করছিল, হয়ত ঠিকমত খাওয়া দাওয়াও করে না। আর আজ যেই বুঝতে পেরেছে যে তার মায়ের কন্ডিশন গুরুতর, তখন থেকে সমানে কেঁদেই যাচ্ছে মেয়েটা। আর কাঁদতে কাঁদতেই এখন সেন্সলেস হয়ে পড়ে গেছে ঘরের মধ্যে। পাড়ার কাউকে ডেকে লাভ নেই, কারণ কেউ এখন সাহস করে সাহায্য করতে আসবে না। ওদিকে পল্টাদারা সবাই রুগীর ঘরে আছে বলে মেয়েটির কাছে যেতে পারছে না সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কায়। যে ঘরে মেয়েটা আছে সেটা ভিতর থেকে বন্ধ। বাড়ির পিছন দিকের অন্য একটা দরজা দিয়ে ওই ঘরে ঢোকা যাবে, কিন্তু সেটাও বন্ধ থাকলে দরজা ভাঙতে হবে। তাই অভিদেরকে ডাকা হয়েছে যাতে তারা মেয়েটাকে গিয়ে সাহায্য করতে পারে।


সব বৃত্তান্ত শুনে অভি আর দেব ছুটে চলে গেলো বাড়ির পিছন দিকে। জয়ের কথাই ঠিক। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তবে খুব একটা পোক্ত নয় দরজাটা। দুই বন্ধু মিলে ধাক্কাধাক্কি করে দরজা ভাঙার চেষ্টা করতে থাকলো। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চেষ্টা চালানোর পর ধড়াম শব্দ করে দরজাটা ভিতর দিকে খুলে গেল, আর ওরা দুজন হুড়মুড় করে ভিতরে ঢুকে পড়লো। টাল সামলাতে না পেরে দুজনেই হুমড়ি খেয়ে পড়ল মেঝের উপর।
ঠিক একটু দূরেই জানলার নিচের দিকটায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে রোগা পাতলা চেহারার একটা মেয়ে। জট পাকানো দীর্ঘ কালো চুলে ঢেকে আছে শরীরের অর্ধেকটা।


অভি এরকম পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়েনি। তার উপর মেয়েদের ব্যাপারে সে চিরকালই লাজুক। তাই হুট্ করে সে বুঝে উঠতে পারলো না যে তার কি করা উচিত!
তাকে হতবম্ব হয়ে বসে থাকতে থেকে দেবই এগিয়ে গেল মেয়েটাকে সাহায্য করতে। সে গিয়ে প্রথমে মেয়েটাকে সোজা করে শুইয়ে দিল। তারপর বলে উঠলো,
"মাথা টাথা ফাটেনি রে। আয় এসে পা দুটো ধর। খাটে নিয়ে গিয়ে শুইয়ে দিই।"
অভি দেবের কথামত এগিয়ে গেল ঠিকই, কিন্তু মেয়েটার পা দুটো ধরতে যেতেই তার বুকের মধ্যে ছ্যাঁত করে উঠলো।


ফর্সা ফর্সা দুই পায়ে জড়িয়ে থাকা নূপুরদুটো তাকে খুব পরিচিত একজনের কথা মনে করিয়ে দিল। এক মুহূর্তের জন্য সে কেমন যেন থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো। যদিও পরক্ষণেই তার কর্তব্যবোধ মন থেকে সেই অমূলক ভাবনাকে দূরে সরিয়ে দিতে দেরী করলো না। দেব মেয়েটার দুই হাত আর অভি তার দুই পা ধরে, তাকে টেনে তুলে আনলো বিছানার উপর। এদিক ওদিক তাকিয়ে একটা জলের জগ চোখে পড়লো অভির। সেটা নিয়ে এসে মেয়েটাকে জলের ঝাপটা দেওয়ার জন্য মুখের উপর থেকে চুলগুলো সরাতেই অভির দমটা যেন আটকে গেল গলার কাছে এসে।


এ কাকে দেখছে সে? এ কি করে সম্ভব? গত দেড় বছর ধরে যাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করেছে সে, যাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলাকেই ভবিতব্য বলে মেনে নিয়েছিল অভি, সেই আজ এইভাবে এই পরিস্থিতিতে তার সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে!
হাতে ধরে রাখা জলের জগটা প্রায় পড়েই যাচ্ছিল। তার আগেই দেব সেটা ধরে ফেললো। বন্ধুর অবস্থা দেখে সে ভাবলো অভি বুঝি নার্ভাস হয়ে পড়েছে। তাই সে বললো,
"তুই ওই চেয়ারে গিয়ে বোস। আমি দেখছি।" বলেই দেব মেয়েটার চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিতে শুরু করলো আর অভি যন্ত্রচালিতের মত গিয়ে বসলো চেয়ারের উপর। একটু পরেই মেয়েটার গোঙানির মত কণ্ঠস্বর শুনতে পেল অভি।


"মা মা" করে ডাকছে সে। কিছুক্ষণের মধ্যে ধড়ফড় করে উঠে বসেই "মা... মা গো" বলে চিৎকার করেই আবার জ্ঞান হারিয়ে ধপ্ করে পড়ে গেলো বিছানায়।
দেব করুণ মুখে অভির দিকে তাকিয়ে বললো,
"এভাবে হবে না রে। একটা মেয়ে থাকা দরকার। এক কাজ কর। তুই গিয়ে মিতাদিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আয়। ও এসে দেখুক। আমরা ছেলেরা আর কি করবো বল তো?"
অভি মেঝের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ রেখে বললো,
"তুই যা। আমি এখানে থাকি।"


"পারবি তো থাকতে? নার্ভাস হবি না তো? যদি মেয়েটার সেন্স আসে, সামলাতে পারবি তো?"
"পারবো। আমি ওকে চিনি। তুই যা।"


দেব আর কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে গেল। বাইকের স্টার্ট দেওয়ার শব্দে যেন একটা ঘোর কেটে গেলো অভির। সে উঠে এসে বিছানার সামনে দাঁড়ালো। জলের ঝাপটায় পোশাক ভিজে গেছে মেয়েটির। পাতলা পোশাকের ভিতর থেকে ফুটে উঠেছে অন্তর্বাস। চোখ সরিয়ে নিলো অভি। দেওয়ালের দিকে দাঁড়িয়ে থাকা আলনা থেকে একটা ওড়না নিয়ে এসে মেয়েটার গায়ের উপর বিছিয়ে দিলো।

তারপর গিয়ে বসলো সেই চেয়ারের উপর। কোলের উপর হাত দুটো জড়ো করে রেখে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলো মেয়েটার দিকে। তার চোখের সামনে দিয়ে তখন স্লাইডের মত ভেসে যাচ্ছে ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু দৃশ্য - প্রিয় কলেজ, লাইব্রেরী আর বৃষ্টিভেজা একটা দিন...

COMMENTS

My Blog List

Name

featured,64,Sad Story,1,slider,65,অন্যান্য,8,ইতিহাস,4,উপন্যাস,12,কবিতা,8,কলাম,4,গল্প,38,ছোট গল্প,15,জীবনী,7,পারিবারিক,6,প্রবন্ধ,9,প্রেম,14,বাস্তবতা,5,বিদ্রোহ,7,বিরহ,8,ভালবাসা,12,ভৌতিক,2,ভ্রমণ কাহিনী,5,ভ্রমন,1,রহস্য,8,রূপকথা,1,রোমান্টিক,5,শিশু সাহিত্য,3,সংকলন,4,সংগ্রহ,2,সংলাপ,2,সামাজিক,7,সাহিত্য,13,স্মৃতিকথা,1,হাস্যরস,1,হুমায়ূন আহমেদ,11,
ltr
item
Golpo Blog: ভালোবাসার সফরনামা, ভালোবাসার অসাধারণ রচনা। "মধু'র ভূবণ"
ভালোবাসার সফরনামা, ভালোবাসার অসাধারণ রচনা। "মধু'র ভূবণ"
bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, premer golpo, sera bani, love quate, top bangla poem, recent abrritti, best poettry,
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEji8mD47cCvqY-krUo6wvO6ZEvQDfZntdz5bp44OxmlgQeYtFMhqWIOAaPzaneCjkeeNpjNNejfCRdjA_FPCpD8o1_CWzv1Iw91ufNMHsx0O-JFrfEN5nOL_U3v08BgrMo1Sz4n3dvlQfDD/w640-h360/%25E0%25A6%25AD%25E0%25A7%2582%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A3%252C+%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE+.jpg
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEji8mD47cCvqY-krUo6wvO6ZEvQDfZntdz5bp44OxmlgQeYtFMhqWIOAaPzaneCjkeeNpjNNejfCRdjA_FPCpD8o1_CWzv1Iw91ufNMHsx0O-JFrfEN5nOL_U3v08BgrMo1Sz4n3dvlQfDD/s72-w640-c-h360/%25E0%25A6%25AD%25E0%25A7%2582%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25A3%252C+%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0+%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25AB%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE+.jpg
Golpo Blog
https://golpoblog.mrmodhu.com/2021/05/kobita_15.html
https://golpoblog.mrmodhu.com/
https://golpoblog.mrmodhu.com/
https://golpoblog.mrmodhu.com/2021/05/kobita_15.html
true
3394482685536881275
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy