আচ্ছা বিয়াইন আপনি কী বেশি বেশি খান, মিষ্টি প্রমের গল্প। "বেখেয়ালী মন" ২য় পর্ব । "মধু'র ভূবণ"

SHARE:

bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate, ltop bangla poem, recent bangla abrritti, best bang

আচ্ছা বিয়াইন আপনি কী বেশি বেশি খান,  মিষ্টি প্রমের গল্প। "বেখেয়ালী মন" ২য় পর্ব ।





                                    বেখেয়ালি মন ----.২য় পর্ব
                                                  লেখাঃ- আফরিন ইভা


_________________
---আমি শান্তভাবে উত্তর দিলাম, খাসির দুরুস।
--- শিশির উনি আবার জিজ্ঞেস করলেন সুস্থ খাসি তো,দেশি তো,সাদা রঙের তো,মোটা ছিলো তো, আপনার মতো চিকন না তো,দাঁত ছিলো তো,আবার ছাগী না তো।
--- ওহ্ আবার বলবে, খাসির বউ ছিলো না তো, বউয়ের সাথে বাসর হয়নি তো, বাচ্ছা হয়নি তো, লেজ ছিলো তো, তিন পা ছিলো না তো।
হায়, আল্লাহ কী বিরক্তিকর। আমি শান্তভাবে বললাম জি সবই ছিলো খাওয়ার উপযোগী দেখেই জবাই করা হয়েছে।


---- আচ্ছা বিয়াইন আপনি কী বেশি বেশি খান,আমি শুনেছি যারা বেশি বেশি খায় তাঁরাই চিকনি চামেলি,বাতাসির মাও হয়ে থাকে,নাকি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ আছে, বাথরুমে গেলে এক নাম্বার দুই নাম্বার করতে গেলে চোখ সহ বের করে ফেলেন?আমি আচ্ছা আপনি যে এতোটা চিকন,রাতে আপনার জামাই কে নিয়ে যখন শোবেন, বেচারা তো আপনার হাড্ডির গুতো কোথায় কোথায় খেয়ে যে বেঁহুশ টে হুশ হয়ে পরে থাকে কে জানে। যেই চিকনা আপনি, আপনার জামাই বউ কে যখন একটু আদর করে ঘুরতে নিয়ে যাবে, দেখা যাবে, বাতাসে শাড়ি থাকবে কিন্তু আপনি থাকবেন না,বাতাসে বাতাসীর মা হয়ে উড়তে থাকবেন।আপনার জামাই তো গান ধরবে ওরে বাতাসির মা তুই আমারে ফেল্লেই গেলা। বাঙালি মেয়েদের একটু নাদুস নুদুস না থাকলে কী জামাইয়ের আদর থাকে বউয়ের প্রতি।আমি তো ভাবছি একটু গোল গাল দেখে বিয়ে করবো, নয়তো আপনার বেচারি জামায়ের মতো হাড্ডির গুঁতোও খেতে হবে না,আবার বাতাসির মা হয়েও উড়ে যাবে না।


______
বরপাতে যখন খেতে গেলাম, তখন আমি বললাম জিজু টাকা না দিলে কিন্তু আমি হাত ধুয়ে দেবো না, ঔষধের শিশি মানে শিশির বললো, " এ ভাই তোমার হাত কী কেটে গেছে বিয়াইন ধুয়ে দিবে কেনও, এতো পিচ্চি বিয়াইন কে কী কষ্ট দেওয়া শুধু তো বলে ঠোঁট কামড় দিলো, দাও আমি ধুয়ে দিচ্ছি বলে ধুয়ে দিলো।আমি তো হতাশ,অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার নেই, ইচ্ছে তো করছিলো চিলের মাংস খাইয়ে পাগল বানিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিতাম এই ঔষধের শিশি কে। বসে বসে আমি একটু আধটু মুখে তুলে নিচ্ছি আর এই শিশির যেভাবে গপাগপ গিলছে, দেখে তো মনে হচ্ছে এক সপ্তাহ আগ থেকেই খাওয়া বন্ধ করে করে রেখেছে,নয়তো কোনো দুর্ভিক্ষের এলাকা থেকে এসেছে, রাক্ষস একটা, পারলে মানুষকেও খেয়ে ফেলতো।


--- যেই আমি খেয়ে জিজুর জুতো গুলো চুরি করতে যাচ্ছিলাম, তখুনি শিশির ছেলেটা আমার হাত ধরে ফেলে,আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে বললো,ছিহঃ বিয়াইন শেষ পর্যন্ত জুতো চুরি, আপনি ভেবেছেন আমি টের পাবো না, কিন্তু ভুল, আমরা কিন্তু চোর ভালোই ধরতে পারি। আর বিশেষ করে মেয়ে চোর,আমি কিন্তু মেয়ে চোর কে মারি না,অন্য কিছু করি( ঠোঁট কামড়ে)। আমি লজ্জিত বোধ করে চলে আসলাম আপুর কাছে। আপুকে এসে ইচ্ছে মতো ঝাড়লাম, ইচ্ছে তো করছিলো ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে শিশির বোতল কে ভেঙে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে।
আপু কে এসে বুদ্ধি দিলাম তারাতাড়ি যেনো কবুল না বলে, নয়তো অন্যরা ভাববে এই মেয়ে বিয়ের জন্য পাগল ছিলো, পারে না জামাইয়ের কোলে উঠে যেতে।


______
আপুর কবুল বলার মূহুর্তে এসে সবাই চরম বিপাকে পড়লো আপু কে তিনবার কবুল বলতে বলা হয়েছে কিন্তু আপু কিছুতেই কবুল বলছে না, তখন আমিও চিন্তিত হয়ে পড়লাম আপু কে এখন এতো মানুষের ভিড়ে কিভাবে বলবো, হয়েছে আর অপেক্ষা করাতে হবে না সবাই কে।
জিজুর মুখটা দেখার মতো হয়েছে, আহা বেচারির জন্য বড্ড মায়া হচ্ছে পারে না এখুনি বউকে নিয়ে পালিয়ে যায়, প্রায় কাঁদোকাঁদো অবস্হা। জিজু কে দেখে তো মনে হচ্ছে উনার চৌদ্দগুষ্টি বউ পাগল।


--- আমি যখন হতাশ প্রায়, তখন শিশির নামের সুপার বজ্জাত টা আমাকে এসে বললো, বিয়াইন কী ব্যাপার আপনি ইচ্ছে করে বউ মনির মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেননি তো আবার, যদি জানতে পেরেছি, তখন আপনার কোথায় কোথায় যে গ্লু লাগিয়ে দেবো বুঝতেই পারবেন না।
এখন তারাতাড়ি বউ মনি কে জোরে একটা চিমটি কাটেন।
-- কী আমার আপু ব্যাথা পাবেনা?
-- চিমটি কাটবেন, নাকি আমিই আপনাকে চিমটি কেটে দেবো, এমন চিমটি কাটবো,আপনার ব্যাথায় বউ মনি কবুল বলে দেয়।


--- আমি ভয় পেয়ে ঢোক গিলে বললাম, নাহ ঠিক আছে আমি চিমটি দিচ্ছি বলে আপুকে মোটামুটি জোরে চিমটি কাটলাম, আপু ব্যাথা পেয়ে তারাতাড়ি কবুল বলে দিলো।
বাহ্ আজ একটা জিনিস শিখলাম বিয়ের কণে কে জোরে চিমটি দিলেই তারাতাড়ি কবুল বলে দেয়।
--- আপুর বিদায়ের মূহুর্তে সবাই যখন কাঁদছিলো আমিও কাঁদছি, যদিও আপুর সাথে যাচ্ছি, কিন্তু লাল বানর টা আমার কানে কানে বলতে লাগলো, বিয়াইন চোখে কী গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদছেন, নাকি কমলার খোসার রস লাগিয়ে কাঁদছেন,আর বেশি পানি ঝরাবেন না,এমনিতে ভূগর্ভে পানির সংকট, কাঁদলে কিন্তু আপনাকে পেত্নী থেকে চমৎকার লাগে, যেনো সকল পেত্নীর নানি, পরে দেখা যাবে আপনাকে দেখে দুই একজন বেহুঁশ টে হুশ হয়ে হাগুপাদুর করে দিয়েছে।
--- আমি কী হাসবো নাকি কষ্ট পাবো কিছুই বুঝতেছি না।


---- আপুর সাথে যখন গাড়ি তে উঠতে লাগলাম, তখন শিশির এসে বললো, এই যে বিয়াইন, আপনি ওদের গাড়িতে উঠছেন কেনও ওদের দু'জনে এখন অনেক হট হয়ে আছে, আপনি মোমের পেত্নী, ওদের হটে গলে যেতে পারেন, চলেন অন্য গাড়িতে উঠবেন।
--- আর কী করা মাসুম বাচ্চার মতো অন্য গাড়িতে উঠে গেলাম।


---- বাসার সামনে যখন গাড়ি থামলো,গাড়ি থেকে নেমে দেখলাম ভীষণ রকম সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ বাড়ি, আসলে আপু অনেক ভাগ্যবান, রাজপুত্রের মতো হাজবেন্ড, আর স্বপ্নের মতো বাড়ি, এখন তাদের এই ভালোবাসাটা দধির মতো জমে গেলেই হয়।
আপুকে অনেক নিয়ম কানুন শেষ করিয়ে জিজুর দাদী আর মা,ভেতরে প্রবেশ করতে দিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে কোনও আজব বস্তু ঘরে নিয়ে এসেছে, এতো নিয়ম কানুন ইশ্ ডিজগাস্টিং, আমি হলে জামাই কে বলতাম তুমি নিয়ম কানুন সেরে আসো, আমার পক্ষে সম্ভব নয়। চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখলাম দুতলা বাড়ি, ভিষণ রকম ডেকোরেশন করা।
আমার যখন বিরক্ত লাগলো, আমি কোনো দিকে খেয়াল না করে উপরের একটি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম প্রায় রাত হয়েছে, তখন দেখলাম আমি এক অন্ধকার রুমে, আমার কানে কেমন ছাগলের মতো গরগরে আওয়াজ আসতে লাগলো, যেই উঠতে গেলাম কিন্তু না পারছি না, মনে হচ্ছে, তিন,চার মণ ধানের বস্তা আমার উপর পড়ে আছে, আমি ধাক্কা দিয়েও সরাতে পারছি না। তখুনি জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম,কেউ একজন পেত্নী পেত্নী বলে চিৎকার দিয়ে লাইট জ্বালালো।


----আমি চরম অবাক এতো দেখছি জীবন্ত রামছাগল, ইচ্ছে তো করছে চিড়িয়াখানার লোকদের খবর দিয়ে পাঠিয়ে দিতে, নয়তো বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। এতো বড়ো দামরা ছেলে হাফপ্যান্ট পড়ে আছে, আমি তাকিয়েও দৃষ্টি সংযত করে নিচের দিকে তাকালাম।
--- ওহ্ সরি বিয়াইন আপনি, আমি তো ভেবেছি আমার কোলবালিশ টা বুঝি, এ জন্যই তো বলি কিরে ভাই, আজ কোলবালিশটার মধ্যে কী পেত্নী ভর করলো নাকি, নয়তো এতো ফোমের মতো নরম নরম লাগলো কেনও। কোলবালিশটা যেই ধরেছি রাজ্যভরা ঘুম চলে এসেছে,শিশির ঠোঁট টা কামড়াতে কামড়াতে বললো আমি আবার কোলবালিশ ছাড়া ঘুমোতে পারি না বুঝেন 'ই' তো বাকিটা সিক্রেট।
আচ্ছা বিয়াইন আপনার হাড্ডি গুড্ডি ভেঙে যায়নি তো দেইখেন, আপনি এমনি যা মিনিপ্যাক ভেঙেও যেতে পারে।


---- আমি মনে মনে বললাম তা, আপনি কমে হলেও হাতির মতো তিন,চার মণ হাড্ডি গুড্ডি নিশ্চয়ই ভেঙেছে কিন্তু আমি এখন বললে হয়তো আমাকে এবার বলবে আমার হাড্ডি কবুতরের মতো নরম তাই এ অবস্হা।আমি স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিলাম না কিছু হয়নি।
--- না বিয়াইন নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে, চলুন আপনাকে একটু ট্রাই করে দেখি, আমার তো হাত,পা কাঁপছে, গলা শুকিয়ে আসছে ট্রাইয়ের কথা শুনে।
---- আমাকে ঘামতে দেখে ঔষধের শিশি বললো, কী ব্যাপার মৃগী রোগ আছে নাকি,জুতা শুকাতে হবে? আমার আবার ব্রান্ডের ভালো চামড়ার জুতো আছে একবার শুকলেই আর একবছরও মৃগী রোগ দেখা দিবে না।


--- আমি কী বলবো কী করবো বুঝতেই পারছি না, এই টিকটিকি টা মনে হচ্ছে আমাকে শেষ পর্যন্ত মৃগী রোগী বানিয়ে ছাড়বে, আপুকে সাহস দিতে এসে নিজেই সাহস হারিয়ে ফেলছি।আমি কাঁপা কন্ঠে
বললাম, আচ্ছা আপনি কী ট্রাই করতে বললেন বলুন তো?
--- আরে বিয়াইন বুঝলেন না, আপনার হাড্ডি গুড্ডি ভাঙলো কিনা দেখতে হবে না? একটা লোহা দিয়ে আপনার হাড্ডি গুলোতে সহনীয় আঘাত করে করে দেখতে হবে, যে হাড্ডি গুড্ডি ভাঙলো কিনা। হাড্ডির আওয়াজ শুনেও কিন্তু আমি বুঝতে পারি হাড্ডি ভেঙেছে কিনা? এই ধরেন হাড্ডি তে যদি আগাত করি টং টং আওয়াজ করলে বুঝতে হবে হাড্ডি ভাঙে নি, আর টং টং আওয়াজ না করলে বুঝতে হবে ভেঙেছে।


--- আমি মনে মনে আশ্চর্য হলাম, আজকাল বুঝি হাড্ডির আওয়াজ শুনেও বুঝা যায় হাড্ডি ভেঙেছে কিনা, আমার হাড্ডি যতোটুকু না আঘাত পেয়েছে, বরং
এখন আঘাত করে হাড্ডি ভাঙার প্লেন করেছে, এ লোকের দ্বারা কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
আমি একদমে বলে ফেললাম নাহ লাগবে না, আমি একদম ঠিক আছি।
খাটাস টা আবার বলতে লাগলো, তো বিয়াইন নিচে চলুন, না-কি আমার সাথে এই ঘরেই থাকবেন,অবশ্য আপনি থাকলে ভালোই হবে, আমার উপর আর কোনো পেত্নী ভর করবেই না,কারণ আপনি হলেন পেত্নীদের রানী, আমার আর ঐ শক্ত কোলবালিশ টাও লাগবে না।
অহ্ গড এ-তো দেখছি লুচু এক নাম্বার, কি-না কী করে বসে তাঁর কোনো ঠিক নেই, যে কোলবালিশ নিয়ে এতোটা এক্সাইটেড । আমি স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিলাম নাহ আমি নিচে যাচ্ছি।
আর কী করা বজ্জাত টার রুম থেকে বের হয়ে নিচে নেমে দেখলাম আপু কে সোফায় বসিয়ে রেখেছে, আশেপাশের প্লেটগুলোর প্রতিবেশীরা আপু কে দেখে যাচ্ছে, যেনো চিড়িয়াখানার কোনো নতুন প্রাণী কে দেখতে এসেছে।


আমিও গিয়ে আপুর পাশে বসলাম, বসে বসে অনুভব করতে লাগলাম আসলেই তো, জিরাফ টা যেভাবে চেপে ধরেছে এখন তো মনে হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা আর ব্যাথা। যে জিরাফ না জানি বউকে চেপে টিপে মেরে ফেলে।
সবার খাওয়াদাওয়া পর্ব শেষ হলে আপুকে জিজুর রুমে নিয়ে যাওয়া হলো, ভীষণ রকম চমৎকারভাবে জিজুর রুমটা সাজানো হয়েছে, যাকে বলে বাসর ঘর। জিজু তো সেই কখন থেকেই পেছন পেছন পিঁপড়ের মতো মিষ্টি আপুর পেছন পেছন ঘুরছে।
আমার আপু তো লজ্জায় মরি মরি, আমি আমার আপুকে নিয়ে চিন্তায় অস্হির, কেনও আপু কী পুরনো যুগের যে, জামাই সামনে আসলেই লজ্জা পেয়ে খাটের নিচে ঢুকে যেতে হবে।
সবাই একে একে জিজুর রুম থেকে বিদায় নিলো, আমি আপুর সাথেই বসে রইলাম।


_____________
বজ্জাত শিশির জিজুর রুমে এসে হাজির। কী ব্যাপার বিয়াইন আপনিও কী বউরানীর সাথে থাকবেন নাকি,তাদের বাসর ঘরকে বাসীঘর বানানোর প্লেন করেছেন না তো ? ভালোই তো হলো বউয়ের সাথে শ্যালিকা ফ্রি।
ইশ্ আমিও ভাবছি ভাইয়ের মতো একটা শ্যালিকা থাকা বউ বিয়ে করবো, যাতে বউয়ের সাথে শ্যালিকাও ফ্রি পাই।
বোঝেনই তো শ্যালিকা থাকলে কতো সুবিধা, নতুন বউতো আর কাজ করার সময় পাবে না, আমি তো ভাবছি বউকে এক মাস রুম থেকেই বের হতেই দেবো না , শুধু আমাকে সময় দিবে, তখন শ্যালিকা রান্নাবান্না সব করে রাখবে কতো মজাটাই না হবে, শ্যালিকার গরম হাতে গরম গরম রান্না খাব, আমি আর আমার আদুরী বউ।
তো বিয়াইন আপনি এই রুমে থেকে কী করবেন পরে দেখা যাবে বেহুঁশ,হয়ে খাটের নিচে ইঁদুরের সাথে শুয়ে আছেন।


আমার সাথে চলুন ভাই আসার সময় হয়ে গেছে ওদের একটু গোল্ডেন সময় পার করতে দিন।
আমার তো আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি আপনার ফুলসজ্জা ঘরে সবাই কে বের করে দিয়ে বলবেন, আমাদের কে কেউ ডিস্টার্ব করলে অভিশাপ দিয়ে শেষ করে ফেলবো,আর চিকন মেয়েরা এমনিও জামাই পাগল হয়ে থাকে
আমি কী এই লোকের কথা শুনে কাঁদবো না হাসবো সেটাই বুঝতে পারছি না, আমি শিশির কে বললাম আমার ফুলসজ্জা নিয়ে আপনাকে এতো এতো চিন্তা করে কষ্ট করতে হবে না, আমি এখুনি অন্য রুমে চলে যাচ্ছি।
অন্য রুম মানে, ঠোঁট কামড়িয়ে উৎফুল্ল হয়ে বলতে লাগলো আমার রুমে নাকি, তাহলে তো খুবি ভালো হবে।


আমি উওর দিলাম না, আমি আপনার মায়ের রুমে যাচ্ছি বলে চলে গেলাম।
পরদিন সকালে, ঘুম থেকে ফ্রেশ হয়ে দেখলাম অনেকগুলো শপিং ব্যাগ খাটের উপর রাখা, শিশির ব্যাটার মা মানে আপুর শাশুড়ী এসে বললো শিশির তোমার জন্য রেখে গেছে, আমি তো সেই রকম খুশি, মানে বিয়ে হবে হবে যেমন খুশি, মনে মনে ভাবলাম ভালোই হয়েছে শিশিরের দানা আমার জন্য নতুন ড্রেস এনেছে, হয়তো একটু সুবুদ্ধি হলো,আর এমনিও আমি নতুন জামাকাপড় পরতে অনেক অনেক পছন্দ করি, ইচ্ছে তো করছে খুশিতে ব্যাটা কে কোথায় কোথায় কামড়ে আসি,আমি আবার বেশি খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে কামড় বসিয়ে দেই,যেই প্যাকেট গুলো খুল্লাম একি ব্যাটা কী এনেছে, জুতা,তাও আবার চার জোড়া, এতো জুতা দিয়ে কী করবো?
ইচ্ছে তো করছে ব্যাটা কে জুতা দিয়ে পিটিয়ে আসি।



প্রকাশনায়ঃ-----"মধু'র ভূবণ"





COMMENTS

My Blog List

Name

featured,64,Sad Story,1,slider,65,অন্যান্য,8,ইতিহাস,4,উপন্যাস,12,কবিতা,8,কলাম,4,গল্প,38,ছোট গল্প,15,জীবনী,7,পারিবারিক,6,প্রবন্ধ,9,প্রেম,14,বাস্তবতা,5,বিদ্রোহ,7,বিরহ,8,ভালবাসা,12,ভৌতিক,2,ভ্রমণ কাহিনী,5,ভ্রমন,1,রহস্য,8,রূপকথা,1,রোমান্টিক,5,শিশু সাহিত্য,3,সংকলন,4,সংগ্রহ,2,সংলাপ,2,সামাজিক,7,সাহিত্য,13,স্মৃতিকথা,1,হাস্যরস,1,হুমায়ূন আহমেদ,11,
ltr
item
Golpo Blog: আচ্ছা বিয়াইন আপনি কী বেশি বেশি খান, মিষ্টি প্রমের গল্প। "বেখেয়ালী মন" ২য় পর্ব । "মধু'র ভূবণ"
আচ্ছা বিয়াইন আপনি কী বেশি বেশি খান, মিষ্টি প্রমের গল্প। "বেখেয়ালী মন" ২য় পর্ব । "মধু'র ভূবণ"
bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate, ltop bangla poem, recent bangla abrritti, best bang
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEimhVQfXQnQdHnKBZrE9XP4g8yknPprpkz7Z5u0GLbfL_Y9HQLs4B3ZrWybt-gzrKqH6lbvVu-q-qyUrOj5mXAKgFf_hz0p9xarh7_CY3N_UK27n7Q51ZcjhFuT0jCtgQMq9ATQG1xa_493/w640-h360/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2596%25E0%25A7%2587%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BF+%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%259F+.jpg
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEimhVQfXQnQdHnKBZrE9XP4g8yknPprpkz7Z5u0GLbfL_Y9HQLs4B3ZrWybt-gzrKqH6lbvVu-q-qyUrOj5mXAKgFf_hz0p9xarh7_CY3N_UK27n7Q51ZcjhFuT0jCtgQMq9ATQG1xa_493/s72-w640-c-h360/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2596%25E0%25A7%2587%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BF+%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A7%25A8%25E0%25A7%259F+.jpg
Golpo Blog
https://golpoblog.mrmodhu.com/2021/05/galpo_25.html
https://golpoblog.mrmodhu.com/
https://golpoblog.mrmodhu.com/
https://golpoblog.mrmodhu.com/2021/05/galpo_25.html
true
3394482685536881275
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy