bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, premer golpo, sera bani, love quate, top bangla poem, recent abrritti, best poettry,
বেখেয়ালি মন ---- ৯ম পর্ব
লেখাঃ--- আফরিন ইভা
________________
খালা মনি ফ্রেশ হয়ে আমার কাছে এসে বললো কিরে প্রিয়ন্তী তোর আবার কী হলো, তুই এভাবে শুয়ে গেলি কেনো।
'আমি খালা মনি কে বললাম, খালা মনি আমার না ভীষণ মাথা ঘুরছে।
'কি বলছিস এ-তো তারাতাড়ি মাথা ঘুরলে হবে? যখন বাচ্চা পেটে আসবে তখন তো মৌমাছির মতো ঘুরবে, পেটেও ইঁদুর দৌড়বে , খাবারের মধ্যে পঁচা বিড়ালের গন্ধ পাবি, তাই বলে কী না খেয়ে থাকবি। এখন আমি চলে এসেছি তোকে তো দেখবোই, সাথে মিষ্টিকেও।
মিষ্টি আর মিষ্টির জামাইয়ের ক্লাস নিতে হবে ওদের প্রবলেম টা ঠিক কোথায়? ডাক্তার দেখানোর পরও যদি সমাধান না হয় ভাবছি এক জায়গায় নিয়ে যাবো।
আমি খালা মনি কে টানটান উত্তেজনা নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় গো?
খালা মনি জবাবে বললেন, শুন ব্যাপারটা সিক্রেট কিন্তু মিষ্টি কে মোটেও বলা যাবে না, নয় তো সবশেষ।
আমি ভয়ার্ত চোখে খালা মনি কে জিজ্ঞেস করলাম কেনও?
খালা মনি বললো শোন, আমি শুনেছি, একজন মহিলা কলার ভেতর ইঁদুরের লেজ ঢুকিয়ে কলা পড়া দেয়, এটা যে খাবে তাঁর নাকি বাচ্চা হয়।
আমি তো খালা মনির কথা শুনে পেটের সব কিছু বের করে দেওয়ার মতো অবস্থা। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম ছেলেদেরও হয়?
খালা মনি বললো কিরে তুই কী পাকা পাকনা থেকে কাঁচা হয়ে গেলি।শুধু মেয়েদের হয় বুঝলি তো।
চিন্তা করিস না, তোর সময় দরকার হলে ইঁদুরের লেজ কেনও, বিড়াল, তেলাপোকার লেজও খাওয়াবো।
"আমি মনে মনে বললাম খালা মনি গো, দরকার হলে, আমার ভাগেরটা ডাবল করে আমার জামাই কে খেতে দিও আমি পারবো না এসব খেতে।
"আমি মনে মনে বললাম খালা মনি গো, দরকার হলে, আমার ভাগেরটা ডাবল করে আমার জামাই কে খেতে দিও আমি পারবো না এসব খেতে।
দরকার হলে সারাবছর পেটে ঘরের সব ত্যানা পেঁচিয়ে প্রেগন্যান্ট সেজে থাকবো তবুও আমি ইঁদুর, বিড়াল খেতে পারবো না।"
এখন আমি এসে গেছি তোকে আর চিন্তা করতে হবে না। এখন থেকে যদি ঠিকভাবে খাওয়াদাওয়া না করিস পরে দেখা যাবে বাচ্চা গুলো কোনোটা ইঁদুরের বাচ্চা, কোনোটা বিড়ালের বাচ্চা, কোনোটা তেলাপোকার বাচ্চার মতো হয়েছে। আর শুন এক ডজন বাচ্চা নিতে হলে কিন্তু আমার মতো নাদুস-নুদুস হতে হবে বুঝলি?
_____________
আমি লম্বা করে ঢোক গিললাম খালা মনির মতো হলে তো আমার জামাই মনের দুঃখে বাথরুমে গিয়ে ঘুমাতে হবে, বেচারির খাটে আর জায়গা হবে না। এক রিকসা করে কোথাও যেতে গেলে দেখা যাবে আমার ধাক্কা লেগে অর্ধেক রাস্তায় কোথায় না কোথায় পড়ে গেছে। না না বাপু আমার এক ডজন বাচ্চারও দরকার নেই খালা মনির মতো হওয়ারও দরকার নেই।
আমি খালা মনিকে বললাল খালামনি চলো আমি এখন একদম ফিট্, নিচে যা-ই, অনেক ক্ষুধা লেগেছে খেতে হবে।
কী মেয়েরে বাবা এখন বললি মাথা ঘুরছে, আবার এখনই নিচে যাবি, আচ্ছা চল।
"আমি খালা মনি কে নিয়ে নিচে গিয়ে দেখি আপু টেবিলে খাবার দিচ্ছে। আমি আর খালা মনিও চেয়ার টেনে বসলাম।
জিজুও আজ বাসায় তারাতাড়ি চলে এসেছে, আমাদের সাথেই লাঞ্চ করতে বসলো। শুরুতেই জিজু খালা মনি কে সালাম দিয়ে ভালো জিজ্ঞেস করলো।"
"খালা মনি বললো বাবা তোমার সাথে বিয়ের দিন যে দেখা হয়েছে আর এখন দেখতে পেলাম।"
জিজু বললো, খালা মনি আপনি খালুকে নিয়ে আসেননি কেনও?
আমি তো মনেমনে আল্লাহ কে ডাকছি খালা না জানি খালুর সকল রহস্য বলে দেয়?
খালা মনি আমার দিকে এক নজর তাকিয়ে জবাবে বললেন, আসলে তোমার খালুর না নিজের বাসা ছাড়া অন্য বাসায় ঘুম হয়না, আবার তোমার খালু অন্য বাসায় গেলে ঐ মানুষদের ঘুম হারামও করে ছাড়ে।
খালা মনির কথার আগামাথা বুঝতে না পেরে সবাই খালা মনির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
খালা মনি সবাইকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো,খাওয়ার সময় সবাই সবার দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকলে পেট ফুলে যাবে। খালা মনির কথায় সবাই যেনো ধাক্কা খেলো।যে যার মতো খেতে শুরু করলো।
"আমাদের খাওয়ার মাঝখানে শিশির ভাই ঘেমে একাকার হয়ে হন্তদন্ত হয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরের দিকে চলে গেলো।
খালা মনিও শিশির ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। খালা মনি আমাকে আস্তে করে বললো কিরে ওর আবার কী হলো ওকে কী পেত্নী দৌড়ানি দিলো নাকি রে, এভাবে দৌড়িয়ে চলে গেলো যে।
বিশ্বাস নেই, চারদিকে সুন্দর, স্মার্ট ছেলেদেরকে পেত্নী পেয়ে বসে কিন্তু । এখনকার ছেলেরাও বড্ড ফাজিল পেত্নী কে বিয়ে করতে চায় কিন্তু ভালো মেয়েদের কে বিয়ে করতে রাজি হয় না তারা।
মনে মনে ভাবলাম,খালা মনি ঠিকই বলেছো, শিশির ভাই হয়তো কোনো পেত্নীর সাথেই দেখা করতে গিয়েছে নয়তো এভাবে মুখখানা পেঁচার মতো কালো করে আছে কেনো।
মনে মনে ভাবলাম,খালা মনি ঠিকই বলেছো, শিশির ভাই হয়তো কোনো পেত্নীর সাথেই দেখা করতে গিয়েছে নয়তো এভাবে মুখখানা পেঁচার মতো কালো করে আছে কেনো।
খালা মনি কে জবাবে বললাম, হয়তো জরুরী কোনো কাজ আছে তাই তোমাকে দেখে নি খালা মনি। এখন খাও পরে এটা নিয়ে ভাবা যাবে। আমিও ভাবনায় পড়ে গেলাম কিছু কী হলো শিশির ভাইয়ের, না-কি সাপের বিড়া, বিড়া থেকে বের হয়ে ছোবল দিয়ে দিয়েছে।
খেতে খেতে ভাবলাম খালা মনি কে লুকিয়ে লুকিয়ে শিশির ভাইয়ের সাথে একবার দেখা করে আসবো?
মিনিট পাঁচেক পর আমি চুপিচুপি শিশির ভাইয়ের রুমে উঁকি দিয়ে দেখলাম উনি রুমে নেই। আমি ভেতরে প্রবেশ করে বুঝতে পারলাম উনি বারান্দায়। তাই আমিও বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কী করছেন এখানে?
মিনিট পাঁচেক পর আমি চুপিচুপি শিশির ভাইয়ের রুমে উঁকি দিয়ে দেখলাম উনি রুমে নেই। আমি ভেতরে প্রবেশ করে বুঝতে পারলাম উনি বারান্দায়। তাই আমিও বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কী করছেন এখানে?
বানর ডান্স দিচ্ছি দেখতে পাচ্ছো না!
আমি আপনার বানর ডান্স দেখতে আসি নি আপনার ইরার কী হলো সেটা বলুন?
আমার ইরা, বাহ ভালোই তো বললে, ইরাকে যখন আজ প্রপোজ করতে গেলাম ইরা সব বুঝতে পেরে আমাকে বললো, আমি যদি ওর বেবি আর হাজবেন্ডের সামনে ওকে প্রপোজ করতে পারি তাহলে ও চলে আসবে আমার হাত ধরে।
"আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, বেবিও আছে অলরেডি ও মাই গড!"
শুধু বেবি নয়, অলরেডি এক হালি বেবি ইরা লালনপালন করছে। আর ইরার হাজবেন্ডের কথা কী বলবো, একে-তো টাকলু, গাল গুলো দেখে মনে হলো গালের ভেতর আলু ঢুকিয়ে রেখেছে, গাজরের মতো নাক,ছাগলের মতো দাঁড়ি, দেখতে একদম মোটা খাটাস।
আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না ইরা এতো কিউট মেয়েটা কিভাবে এমন একটা বনমানুষ কে বিয়ে করলো।
তবে এটা ঠিক মেয়েদের বুদ্ধি গুলো যে তেলাপোকার মতো সেটা ইরাকে দিয়েই আজ প্রমাণ পেলাম।
আমি চিৎকার দিয়ে বললাম, কে বললো সব মেয়েদের বুদ্ধি তেলাপোকার মতো। আর ছেলেরা জেনেও কেনও মেয়েদের পেছনে পাগলের মতো ঘুরে ছাগল হয়ে যায় সেটাই তো বুঝতেছি না।
আমার চিৎকার শুনে খালা মনি দৌড়ে এসে বললো কি রে প্রিয়ন্তী তোকে কী, ইঁদুর, বানর কামড়ালো নাকি। তুই জানিস আমি কতটা ভয় পেয়ে এই শরীরটা নিয়ে দৌড়ে আসলাম, হার্ট এট্যাকে মেরে ফেলবি নাকি?
শিশির ভাই খালা মনি কে বললো, ওহ্ খালা মনি আপনি ভয় পাবেননা, উনি প্রায়ই জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে, আর চিৎকার দিয়ে উঠে।
শিশির ভাইয়ের কথায় আমি নিজেই বোকা বনে গেলাম, এ-তো মিথ্যে, মানুষ কিভাবে বলতে পারে আল্লাহ জানে। উনার ভালোর জন্য আসলাম আর উনি আমাকে বলদ বানিয়ে ছাড়ছে।
খালা মনি বললো, কেমন আছো তুমি কিউট বয়।
আমি মনে মনে বললাম খালা মনি উনি শুধু কিউট নয়, কিউট শয়তানও বটে।
শিশির ভাই বললো জ্বি ভালো। আমি প্রিয়ন্তী কে বলেছি আপনাকে আমাদের বাসায় আসার জন্য বলতে। আপনাকে প্রথম দিন দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি আপনার মনটা আপনার বিশাল দেহের মতোই বিশাল।
খালা মনি তো শিশির খাটাশটার কথা শুনে বিয়ে করার মতো খুশি হয়ে গেলো। আমি নিজেও অবাক চোখে শিশির ভাইকে দেখছি, উনি কতোটা চাপাবাজ।
খালা মনি বললো,তোমাকে দেখলাম ঐ সময় মুরগির মতো দৌড়িয়ে উপরে উঠতে। কী ব্যাপার কোনো ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে গেলে নাকি, নাকি কোনো পেত্নী আছর করলো।
আমি তো পারিনা বত্রিশখানা দাঁত বের করে খিলখিল করে হাসতে। কিন্তু আমিতো আর শিশির ভাইয়ের মতো ছ্যাচড়া নয়। ভালো মেয়ের মতো আমি চুপ করেই থাকলাম।
"শিশির ভাই মুখটা কাচুমাচু করে স্বাভাবিক ভাবে উওর দিলো আসলে খালা মনি আজ আমার একটা ফ্রেন্ড কে একটা মেয়ে ছ্যাকা দিয়ে ব্যাকা করে দিয়েছে।
আসলে আমার বন্ধু টা জানতো না মেয়েটা যে অলরেডি একহালি বাচ্চার মা।আমার বন্ধু অনেক দুঃখও পেয়েছে।
তাই আমিও বন্ধুর দুঃখে খাবো না বলে অনশন করছিলাম।
কী তাই বলে তুমি অনশন করবে ঐ হতচ্ছাড়াটার জন্য, আমি হলে এমন বন্ধুর মাথা ন্যাড়া করে, ব্রু কামিয়ে লিপস্টিপ লাগিয়ে হাতে চুড়ি পড়িয়ে, শাড়ি পড়িয়ে কানে ধরে ঘুরাতাম।
আমি তো মনে মনে সেই রকম খুশি, ছেলেটা তো শিশির ভাইয়ের বন্ধু নয়, স্বয়ং শিশির ভাই নিজেই।
শিশির ভাই খালা মনির কথা শুনে মুখখানা হুতুমপেঁচার মতো করে ফেলেছে।
কী তাই বলে তুমি অনশন করবে ঐ হতচ্ছাড়াটার জন্য, আমি হলে এমন বন্ধুর মাথা ন্যাড়া করে, ব্রু কামিয়ে লিপস্টিপ লাগিয়ে হাতে চুড়ি পড়িয়ে, শাড়ি পড়িয়ে কানে ধরে ঘুরাতাম।
আমি তো মনে মনে সেই রকম খুশি, ছেলেটা তো শিশির ভাইয়ের বন্ধু নয়, স্বয়ং শিশির ভাই নিজেই।
শিশির ভাই খালা মনির কথা শুনে মুখখানা হুতুমপেঁচার মতো করে ফেলেছে।
আমি খালা মনি কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বললাম, খালা মনি চলো তোমার সাথে একটু ইম্পরট্যান্ট কথা আছে। খালা মনি আমার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে বললো ঠিক আছে। চলি শিশির এসব ফালতু বন্ধুর জন্য অনশন করে জীবনকে তামা বানানোর কোনো অর্থ নেই, এই ছেলে যে ফিরে আসতে পেরেছে সেটা ওর ভাগ্য, আমি ঐ মহিলার জায়গায় থাকলে ওর জান্টুসটা কেটে রেখে দিতাম, জীবনের তরে বিয়ের স্বাদ মিটিয়ে দিতাম।
শিশির ভাই এবার হালকা কেঁশে উঠলো।
খালা মনি আবারও বললেন, কী ব্যাপার ছেলে তুমি কী মদ,গাঞ্জা খাও না-কি চোখ গুলো এমন রক্তিম কেনো, দেখো বাপু এমন হওয়া কিন্তু মোটেও ভালো নয়।
শিশির ভাইয়ের মুখখানা দেখে বুঝতে আর বাকি রইলো না যে, শিশির ভাইয়ের মনে আজ ভয়ের লাড্ডু ফুটেছে, হতচ্ছাড়া, খবিশ কম জ্বালাসনি, জ্বালাতে জ্বালাতে আমার লাল রক্ত নীল করে ফেলেছিস ।
__________________
খালা মনি আপুকে বললো কিরে মিষ্টি তুই কী এখনো সেকেলে রয়ে গেলি,একটু সাজুগুজু করতে পারিস না। শুধু কী সুন্দর হলেই হবে আরো ঝকঝকে চকচকে হতে হবেনা? তুই না এভাবেই ফকিন্নির মতো থাকবি, অফিসের বান্দরনী মেয়েগুলো তোর জামাইকে নিয়ে পালাবে তুই টেরও পাবিনা কখনো।
কথাটা শুনবার পর আপুর মুখখানা অসহায় নারীদের মতো করে রেখেছে।
খালা মনি আবার বলা শুরু করলেন, শোন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই একদম হালকা মেকআপ করে ফেলবি জামাই যেনো বুঝতে না পারে, তাহলেই না জামাই তোর হাতোর মুঠোয় থাকবে, তোর প্রতি এতোটাই পাগল হবে যে উঠতে বসতে মিষ্টি বউ মিষ্টি বউ আমার, তোকে বলা ছাড়া বাথরুমে পর্যন্ত যাবে না।
খালা মনির কথা শুনে আপু লজ্জায় বেগুনী হয়ে গেলো।
খালা মনি আবারও বললেন, এতো মাস হয়ে গেলো কিন্তু তোদের বাচ্চা হচ্ছে-না কেনও বলতো? আজ থেকে জামাই কে বলবি ঠিকঠাক ভাবে মাঠে নামতে, একবার না পারিলে দেখো শতবার বুঝলি তো।
আপু তো এবার পারেনা লজ্জায় মাটির নিচে চলে যেতে।
আমি খালা মনি কে বললাম খালা মনি চলো ঘুমাব। খালা মনি কে নিয়ে রুমে চলে আসলাম। এসে দু'জন শুয়ে পড়লাম।
খালা মনি আমাকে বললো, প্রিয়ন্তী দেখলি মিষ্টিটা বড্ড সেকেলে রয়ে গেলো।
জানিস আমাদের যখন বিয়ে হয়েছিলো, তোর খালুকে তো রুম থেকে ঠেলেও বের করতে পারতাম না। পাড়ার ভাবিরা আমার কাছে টিপস নিতে আসতো, কিভাবে আমি তোর খালুকে আঁচলে বেঁধে রেখেছি।
তোর খালু টাও ছিলো পাঁজি। আমার শাশুড়ি যদি তোর খালুকে কোনো দরকার প্রয়োজনে ডাকতো তখন সে বলতো তাঁর পেট ব্যাথা, গাল ব্যাথা, মাথা ব্যাথা আরো কতো কি ব্যাথা। আমিও রুম থেকে বের হতে চাইলে আমার শাশুড়ি কে কতো যে অযুহাত দেখাতো। মানুষটা বড়ো প্রেমিক জামাই ছিলো আমার।
খালা মনি এমনভাবে লজ্জা পেলো, যেনো খালা মনি বিয়ের নতুন কনে। আমি খালা মনি কে জিজ্ঞেস করলাম খালু কী এখন প্রেমিক থেকে জল্লাদ হয়ে গেছে নাকি?
খালা মনি নিঃশ্বাস টা ফেলে বলতে শুরু করলো, এখন তোর খালুর নাক ডাকাও অসহ্য লাগে, আর গরম বাতাসে তো সারাক্ষণ আতংকে থাকি। ভাবছি তোর খালুকে খবর দিয়ে চলে যাবো রে।
ওহ্ খালা মনি খালু আসলেই ভালো তুমিই খালুকে বুঝতে ভুল করেছো।
ওহ্ তাই! তাহলে একটা কাজ করি আমি তোর খালুর মতো এমন নাক ডাকা, পেটুক, পটেটো দেখে তোকে বিয়ে দিয়ে দেই।
আমি নাহ বলে খালা মনি কে জড়িয়ে ধরলাম।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখি খালা মনি পাশে নেই, খুব একটা দেরিও হয়নি। আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখি খালা মনি খালু কে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করলো।
আমি খালু কে সালাম দিয়ে ভালো জিজ্ঞেস করলাম। খালুও জবাব দিয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।
খালা মনি খালু কে ফ্রেশ হতে পাঠিয়ে দিলো। খালা মনি আমাকে রুমে ডাকলেন কী যেনো ইম্পরট্যান্ট কথা আছে। আমিও চরম অবাক। এইমাত্র খালা মনি বাহিরের থেকে আসলো, কী এমন ইম্পরট্যান্ট কথা, অজান্তেই আমার কেমন কেমন টেনশন হতে লাগলো।
চলবে __________
COMMENTS