bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate,
নির্মম নিয়তি
লেখাঃ নীলাদ্রি নীল
,
একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখলাম লাল বেনারসি পড়া একটা মহিলা খাটের উপর বউ সেজে বসে আছেন।🙄 পাশে আমার বাবাও ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন,
-- নীল, এই যে দ্যাখ ইনি তোর নতুন মা। এখন থেকে উনাকেই মা বলে ডাকবি।
তখনই ওই মহিলাটা মুচকি হেসে হাতের ইশারায় আমায় কাছে ডাকলেন। ওই মুহুর্তে আমার ঠিক কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারলাম না।🤔 শুধু এতটুকু বুঝলাম আমি তার কাছে কখনোই যাবো না।
তাই এক দৌঁড়ে আমার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
আমার মত ১২ বছর বয়সী ছেলের কাছে এটা বোঝা খুবই সহজ যে বাবা যাকে নিয়ে এসেছেন তিনি আর কেউ নন, সম্পর্কে আমার সৎ মা হন।😐
,
একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখলাম লাল বেনারসি পড়া একটা মহিলা খাটের উপর বউ সেজে বসে আছেন।🙄 পাশে আমার বাবাও ছিলেন। আমাকে দেখে বললেন,
-- নীল, এই যে দ্যাখ ইনি তোর নতুন মা। এখন থেকে উনাকেই মা বলে ডাকবি।
তখনই ওই মহিলাটা মুচকি হেসে হাতের ইশারায় আমায় কাছে ডাকলেন। ওই মুহুর্তে আমার ঠিক কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারলাম না।🤔 শুধু এতটুকু বুঝলাম আমি তার কাছে কখনোই যাবো না।
তাই এক দৌঁড়ে আমার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।
আমার মত ১২ বছর বয়সী ছেলের কাছে এটা বোঝা খুবই সহজ যে বাবা যাকে নিয়ে এসেছেন তিনি আর কেউ নন, সম্পর্কে আমার সৎ মা হন।😐
আমি বাংলা সিনেমাতে দেখেছি সৎ মা তার সতীনের ছেলেমেয়েদের উঠতে বসতে বকাঝকা করেন। তাদের দিয়ে বাসন মাজা থেকে শুরু করে ঘরের সব কাজ করান। কোন কাজে ভুল হলে মারধর তো করেন-ই সাথে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে দেন। তারপর পড়াশোনাও বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে নিজের ছেলেমেয়ে হলে অত্যাচার আরো বেড়ে যায়।
তাদের ভালো মন্দ খেতে দিয়ে প্লেটে যা পড়ে থাকে তাই খেতে দেয়। ঈদে/পূজায় তাদের নতুন জামা দেওয়া হলেও সতিনের ছেলেমেয়েদের ছেড়া ফূটো জামা পড়েই থাকতে হয়।
এভাবে ধীরে ধীরে সবকিছুর উপর অবহেলা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সম্পত্তির উত্তরাধিকার না দেওয়ার লক্ষ্যে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
তাদের ভালো মন্দ খেতে দিয়ে প্লেটে যা পড়ে থাকে তাই খেতে দেয়। ঈদে/পূজায় তাদের নতুন জামা দেওয়া হলেও সতিনের ছেলেমেয়েদের ছেড়া ফূটো জামা পড়েই থাকতে হয়।
এভাবে ধীরে ধীরে সবকিছুর উপর অবহেলা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সম্পত্তির উত্তরাধিকার না দেওয়ার লক্ষ্যে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আমার সাথেও এমনটা ঘটবে ভেবে কান্না আর ধরে রাখতে পারলাম না।😢
চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম।😭 আমার কান্নার আওয়াজ শুনে বাবা এসে দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে বললেন,-- এই নীল এটা কোন ধরনের বেয়াদবি?
চিৎকার করে কাঁদতে লাগলাম।😭 আমার কান্নার আওয়াজ শুনে বাবা এসে দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে বললেন,-- এই নীল এটা কোন ধরনের বেয়াদবি?
একে তো তোর মা তোকে কাছে ডাকলো তুই তো গেলি-ই না আবার এখন দরজা লাগিয়ে কাঁদছিস? কি হয়েছে কি তোর? দরজা খোল বলছি।
আমি কোন কথা না বলে বালিশে মুখ গুজে কেঁদেই যাচ্ছি।😭 হঠাৎ কিছু একটা শুনে আমার কান্না থেমে গেল।☹️ ও পাশ থেকে শুনতে পেলাম আমার সৎ মা বাবাকে বলছেন,
-- নতুন মানুষ দেখলে সব বাচ্চারাই এমন করে। কান্না করতে করতে ও একাই থেমে যাবে। যতসব ঢং! তুমি আসো তো আমার খুব ক্ষুধা লাগছে। তোমাকেও খেতে দিব আসো।
পায়ের আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলাম বাবা সত্যি সত্যিই তার কথা মত তার সাথে চলে গিয়েছে।😑
তখনই আমার মায়ের কথা খুব করে মনে পড়তে লাগলো। আমি যখন কোন কিছু নিয়ে রাগ করে এভাবে দরজা লাগিয়ে কাঁদতাম তখন আমার মা আমাকে মানানোর জন্য উঠে পরে লাগতো। দরজার সামনে এসে মায়াভরা কণ্ঠে বলতো,
"বাবা তুমি কান্না করছো কেন? কান্না করে না মানিক আমার। দরজা খোল দেখ আমি তোমার মা এসেছি। কাল তোমায় ঘুরতে নিয়ে যাবো, অনেক অনেক খেলনা কিনে দেব। তারপর আইসক্রিম কিনে দেব।"🥰
আমি কোন কথা না বলে বালিশে মুখ গুজে কেঁদেই যাচ্ছি।😭 হঠাৎ কিছু একটা শুনে আমার কান্না থেমে গেল।☹️ ও পাশ থেকে শুনতে পেলাম আমার সৎ মা বাবাকে বলছেন,
-- নতুন মানুষ দেখলে সব বাচ্চারাই এমন করে। কান্না করতে করতে ও একাই থেমে যাবে। যতসব ঢং! তুমি আসো তো আমার খুব ক্ষুধা লাগছে। তোমাকেও খেতে দিব আসো।
পায়ের আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলাম বাবা সত্যি সত্যিই তার কথা মত তার সাথে চলে গিয়েছে।😑
তখনই আমার মায়ের কথা খুব করে মনে পড়তে লাগলো। আমি যখন কোন কিছু নিয়ে রাগ করে এভাবে দরজা লাগিয়ে কাঁদতাম তখন আমার মা আমাকে মানানোর জন্য উঠে পরে লাগতো। দরজার সামনে এসে মায়াভরা কণ্ঠে বলতো,
"বাবা তুমি কান্না করছো কেন? কান্না করে না মানিক আমার। দরজা খোল দেখ আমি তোমার মা এসেছি। কাল তোমায় ঘুরতে নিয়ে যাবো, অনেক অনেক খেলনা কিনে দেব। তারপর আইসক্রিম কিনে দেব।"🥰
এসব শুনে আমি আর নিজেকে ঘর বন্দি করে রাখতে ই পারতাম না। দৌঁড়ে এসে দরজা খুলে দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলতাম,
"সত্যিই?"😍
তখন মা আমায় কোলে নিয়ে আমার কপালে আলতো করে চুমু এঁকে দিয়ে বলতেন,😘
"হুম বাবা সত্যিই। কিন্তু তোমাকে প্রমিজ করতে হবে এভাবে আর রাগ করবা না ঠিক আছে?"
এসব মনে হতেই আরো জোরে কান্না😭 পেল কিন্তু এবার আর চিৎকার করে কাঁদতে পারলাম না।
নীরব হয়ে চোখ থেকে অবিরত জল ফেলতে লাগলাম।😞
আমার এখনো মনে পড়ে মা কিভাবে ছটফট করতে করতে আমার চোখের সামনেই মারা গিয়েছিলেন।😩 মারা যাওয়ার আগে আমার জন্য খুব করে কেঁদেছিলেন।😭 আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে তার শেষ কথাটা ছিল,
"তোকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম রে কিন্তু তোর বাবা আমায় বাঁচতে দিল না।"😫
বাবা তখন সামনেই ছিলেন৷ মায়ের এমন কথা শুনে তিনি ক্ষেপে গিয়ে মাকে ওই অবস্থাতেই মারতে উদ্যত হন। ছোট থাকতেই দেখে আসছি মায়ের সাথে আমার বাবা কখনো ভালো ব্যবহার বলে নি। উঠতে বসতে গালিগালাজ আর মারধর করেছেন।🧐 কিন্তু কেন এমনটা করতেন আমি বুঝতে পারতাম না। 🤔
,
"সত্যিই?"😍
তখন মা আমায় কোলে নিয়ে আমার কপালে আলতো করে চুমু এঁকে দিয়ে বলতেন,😘
"হুম বাবা সত্যিই। কিন্তু তোমাকে প্রমিজ করতে হবে এভাবে আর রাগ করবা না ঠিক আছে?"
এসব মনে হতেই আরো জোরে কান্না😭 পেল কিন্তু এবার আর চিৎকার করে কাঁদতে পারলাম না।
নীরব হয়ে চোখ থেকে অবিরত জল ফেলতে লাগলাম।😞
আমার এখনো মনে পড়ে মা কিভাবে ছটফট করতে করতে আমার চোখের সামনেই মারা গিয়েছিলেন।😩 মারা যাওয়ার আগে আমার জন্য খুব করে কেঁদেছিলেন।😭 আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে তার শেষ কথাটা ছিল,
"তোকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলাম রে কিন্তু তোর বাবা আমায় বাঁচতে দিল না।"😫
বাবা তখন সামনেই ছিলেন৷ মায়ের এমন কথা শুনে তিনি ক্ষেপে গিয়ে মাকে ওই অবস্থাতেই মারতে উদ্যত হন। ছোট থাকতেই দেখে আসছি মায়ের সাথে আমার বাবা কখনো ভালো ব্যবহার বলে নি। উঠতে বসতে গালিগালাজ আর মারধর করেছেন।🧐 কিন্তু কেন এমনটা করতেন আমি বুঝতে পারতাম না। 🤔
,
ওই দিন আমি বাবাকে বলছিলাম,
"ও বাব্বা দেখ মাল ব্যাথা নাগছে মালে ডাক্তানের কাথে নিয়ে তনো না বাব্বা।"😩
কিন্তু আমার বাবা আমার কোন কথাই শোনেন নি। উল্টো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিলেন।
ওই মুহুর্তে মায়ের কেমন শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।😰 একসময় কথা বলতে বলতে মা হঠাৎ করে থেমে গেলেন।😞 তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝি
আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে ছটফট করতে করতেই মারা গিয়েছিলেন।😞 মাকে কথা বলতে না দেখে আমি দু হাত পা ছড়িয়ে চিৎকার করে কান্না করছিলাম😭 আর বলছিলাম,
"ও মা, মা কতা বনো না মা, ও মা তুমাল কি হনো? তুমি কতা বনছো না তেন? ও মা"😢😭
আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন চলে আসলো৷ মায়ের লাশ দেখে তাদের কারো কারো চোখে জল দেখতে পেলাম। শুধু দেখতে পেলাম না আমায় বাবার চোখেই। তার মুখে যেন অনাবিল হাসির ঝর্না বইছিল। উনি যেন খুব খুশি।
তাহলে কি সত্যি সত্যিই আমার বাবা মাকে মেরে ফেললেন? এই প্রশ্নটা তখন আমার ছোট মস্তিষ্কে একবারের জন্যও আসে নি। যতই বড় হচ্ছিলাম ততই এই প্রশ্নটা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। অনেক বার ভেবেছি বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে একবার জিজ্ঞেস করে ফেলবো,
"বাবা আমার মাকে কি তুমি মেরে ফেলেছো?"😡
কিন্তু বাবার রাগি চেহারার সামনে কখনো দাঁড়াতেই পারতাম না। এ দিক থেকে ওদিক হলেই যে মারধর শুরু। আমি যখন ঠিকমতো বুঝতে শিখি নি তখন থেকেই বাবা আমায় মারতো।
যে সময়টা একজন বাবা তার ছোট্ট ছেলেকে চকলেট কিনে দিয়ে আদর করতে করতে কপালে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দেয় সেই সময়টাতেই আমার বাবা আমায় মারতেন। আমি তখন খুব করে কান্না করতাম।😭 আমার কান্নার আওয়াজ শুনে
মা রান্নাঘর থেকে দৌঁড়ে এসে আমায় থামাতে থামাতে বলতেন,
"এভাবে কেউ নিজের ছেলেকে মারে? ও কি বোঝে? তুমি কি বাবা নাকি অন্যকিছু?"
মায়ের মুখ থেকে এসব শুনে তেড়ে গিয়ে মাকেও মারধর করতেন। শেষমেশ মা ছেলে দুজনে মিলেই কাঁদতাম। এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মা আমায় প্রায়-ই বলতো,
"বাবা চল তোকে নিয়ে অনেক দূরে কোথাও চলে যাবো। এখানে আর থাকবো না।"
আমি শুধু এগুলো শুনতাম কিন্তু এর অর্থ বুঝার মত ক্ষমতা আমার ছিল না।
,
"ও বাব্বা দেখ মাল ব্যাথা নাগছে মালে ডাক্তানের কাথে নিয়ে তনো না বাব্বা।"😩
কিন্তু আমার বাবা আমার কোন কথাই শোনেন নি। উল্টো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিলেন।
ওই মুহুর্তে মায়ের কেমন শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।😰 একসময় কথা বলতে বলতে মা হঠাৎ করে থেমে গেলেন।😞 তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝি
আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে ছটফট করতে করতেই মারা গিয়েছিলেন।😞 মাকে কথা বলতে না দেখে আমি দু হাত পা ছড়িয়ে চিৎকার করে কান্না করছিলাম😭 আর বলছিলাম,
"ও মা, মা কতা বনো না মা, ও মা তুমাল কি হনো? তুমি কতা বনছো না তেন? ও মা"😢😭
আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন চলে আসলো৷ মায়ের লাশ দেখে তাদের কারো কারো চোখে জল দেখতে পেলাম। শুধু দেখতে পেলাম না আমায় বাবার চোখেই। তার মুখে যেন অনাবিল হাসির ঝর্না বইছিল। উনি যেন খুব খুশি।
তাহলে কি সত্যি সত্যিই আমার বাবা মাকে মেরে ফেললেন? এই প্রশ্নটা তখন আমার ছোট মস্তিষ্কে একবারের জন্যও আসে নি। যতই বড় হচ্ছিলাম ততই এই প্রশ্নটা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। অনেক বার ভেবেছি বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে একবার জিজ্ঞেস করে ফেলবো,
"বাবা আমার মাকে কি তুমি মেরে ফেলেছো?"😡
কিন্তু বাবার রাগি চেহারার সামনে কখনো দাঁড়াতেই পারতাম না। এ দিক থেকে ওদিক হলেই যে মারধর শুরু। আমি যখন ঠিকমতো বুঝতে শিখি নি তখন থেকেই বাবা আমায় মারতো।
যে সময়টা একজন বাবা তার ছোট্ট ছেলেকে চকলেট কিনে দিয়ে আদর করতে করতে কপালে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দেয় সেই সময়টাতেই আমার বাবা আমায় মারতেন। আমি তখন খুব করে কান্না করতাম।😭 আমার কান্নার আওয়াজ শুনে
মা রান্নাঘর থেকে দৌঁড়ে এসে আমায় থামাতে থামাতে বলতেন,
"এভাবে কেউ নিজের ছেলেকে মারে? ও কি বোঝে? তুমি কি বাবা নাকি অন্যকিছু?"
মায়ের মুখ থেকে এসব শুনে তেড়ে গিয়ে মাকেও মারধর করতেন। শেষমেশ মা ছেলে দুজনে মিলেই কাঁদতাম। এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মা আমায় প্রায়-ই বলতো,
"বাবা চল তোকে নিয়ে অনেক দূরে কোথাও চলে যাবো। এখানে আর থাকবো না।"
আমি শুধু এগুলো শুনতাম কিন্তু এর অর্থ বুঝার মত ক্ষমতা আমার ছিল না।
,
মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা খুব খুশি ছিলেন।অনেক বার বাবাকে ফোনে বলতে শুনেছি,
"আপদ বিদায় হয়েছে৷ এবার শুধু তুমি আর আমি।"
বড়দের এসব কথা মাথায় না ঢুকলেও শুধু এতটুকু মনে হত বাবা মায়ের কথা-ই বলছে। কিন্তু কাকে এগুলো বলতো ভেবে পেতাম না৷ আজ স্পষ্ট বুঝতে পারলাম আসলে এই মহিলাকেই তিনি এসব বলতেন। 🤨
আমার লাইফটা ধীরে ধীরে যেন বাংলা সিনেমার সৎ ছেলেমেয়েদের মতই হচ্ছিল। মহিলাটিও দিনে দিনে নিজেকে সৎ মা হিসেবেই পরিচয় দিতে লাগলেন।
আমি কখনোও তার কাছে যেতাম না বলে বাবাকে উচ্চকণ্ঠের সহিত নালিশ জানালেন।
-- তোমার গুনধর ছেলে কত্তবড় বেয়াদব জানো? আমাকে তো মা বলে ডাকেই না আবার আমি যদি কাছে ডাকি তাও আসবে না।
উনার কথা মত বাবা আমায় শাষালেন।
বললেন আমি যেন তার কথামত চলি আর তাকে মা বলে ডাকি।
আমি কখনো বাবার মুখের উপর কথা বলি নি। কিন্তু এবারে মুখের উপর বলে দিয়েছি,
"উনার কথা মতো চলবো কিন্তু কখনো মা বলে ডাকতে পারবো না।"
-- শুনেছো তোমার বেয়াদব ছেলের কথা? লাই দিয়ে দিয়ে তো একেবারে মাথায় উঠিয়ে ফেলেছো। আমার ছেলে হলে না একেবারে গলায় পাড়া দিয়ে কবেই মেরে ফেলতাম।
এ কথা শুনে বাবার মাথায় যেন রক্ত উঠে গেল। ওই দিন তিনি আমায় ইচ্ছেমতো পিটালেন।😑 মাজার বেল্ট খুলে মেঝেতে শুইয়ে পিটালেন।☺️ আর আমার সৎ মা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা
দেখলেন।😊 আমাকে একবারের জন্যও বাঁচাতে আসলেন না। বাবা যখন আমায় এভাবে মারতেন মা তখন দৌঁড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে সব মার নিজে খেতেন।😑আমি মার খাচ্ছি আর ভাবছি,
আজ আমার মা বেঁচে থাকলে আমার সব ব্যথা তিনি-ই নিতেন।😞 কিন্ত আমি এতটাই দূর্ভাগা যে
আমার কষ্ট নেওয়ার জন্য কেউ নেই।
এভাবে প্রতিদিন আমায় মার খেতে হয়। সৎ মা বাবাকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলেন আর বাবা আমায় মারেন। যখন-ই মার খাই তখনই "মা মা" বলে চিৎকার করে ডেকে উঠি।
কিন্তু মা আর আসে না। আমাকে বাঁচাইও না।😑 তাই পরে পরে মার খেতে থাকি।
,
এভাবে কেটে গেল আরো দুই দুইটি বছর। এখন বাবার সাথে সাথেও সৎ মাও আমায় উঠতে মারধর করে।😑
এর মধ্যেই শুনলাম আমার সৎ মা প্রেগন্যান্ট। আমার মনে ভয় আরো বেড়ে গেল। আমার লাইফটা তবে কি সত্যিই বাংলা সিনেমার মতই হচ্ছে? আমার ভাই বা বোন হলে আমার প্রতি যে আরো অবহেলা বাড়বে।😞
ভেবেই সেই দিন সারা রাত কাঁদলাম।
যখন খুব করে কষ্ট পাই তখন মায়ের সাথে কথা বলি। আজোও বলছি।
"জানো মা আমি না এখন সব কাজ করতে পারি।
বাসন মাজা থেকে শুরু করে ঘর মোছা,রান্না বান্না সব। একটা কাজের বুয়া যা যা পারে আমিও তাই পারি। তোমার ছেলে অনেক সুখে আছে মা। অনেক সুখে।😑 কিন্তু এত সুখ আমার কপালে সচ্ছে না। তুমি যাওয়ার সময় আমায় কেন নিয়ে গেলে না মা?😭"
,
"আপদ বিদায় হয়েছে৷ এবার শুধু তুমি আর আমি।"
বড়দের এসব কথা মাথায় না ঢুকলেও শুধু এতটুকু মনে হত বাবা মায়ের কথা-ই বলছে। কিন্তু কাকে এগুলো বলতো ভেবে পেতাম না৷ আজ স্পষ্ট বুঝতে পারলাম আসলে এই মহিলাকেই তিনি এসব বলতেন। 🤨
আমার লাইফটা ধীরে ধীরে যেন বাংলা সিনেমার সৎ ছেলেমেয়েদের মতই হচ্ছিল। মহিলাটিও দিনে দিনে নিজেকে সৎ মা হিসেবেই পরিচয় দিতে লাগলেন।
আমি কখনোও তার কাছে যেতাম না বলে বাবাকে উচ্চকণ্ঠের সহিত নালিশ জানালেন।
-- তোমার গুনধর ছেলে কত্তবড় বেয়াদব জানো? আমাকে তো মা বলে ডাকেই না আবার আমি যদি কাছে ডাকি তাও আসবে না।
উনার কথা মত বাবা আমায় শাষালেন।
বললেন আমি যেন তার কথামত চলি আর তাকে মা বলে ডাকি।
আমি কখনো বাবার মুখের উপর কথা বলি নি। কিন্তু এবারে মুখের উপর বলে দিয়েছি,
"উনার কথা মতো চলবো কিন্তু কখনো মা বলে ডাকতে পারবো না।"
-- শুনেছো তোমার বেয়াদব ছেলের কথা? লাই দিয়ে দিয়ে তো একেবারে মাথায় উঠিয়ে ফেলেছো। আমার ছেলে হলে না একেবারে গলায় পাড়া দিয়ে কবেই মেরে ফেলতাম।
এ কথা শুনে বাবার মাথায় যেন রক্ত উঠে গেল। ওই দিন তিনি আমায় ইচ্ছেমতো পিটালেন।😑 মাজার বেল্ট খুলে মেঝেতে শুইয়ে পিটালেন।☺️ আর আমার সৎ মা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা
দেখলেন।😊 আমাকে একবারের জন্যও বাঁচাতে আসলেন না। বাবা যখন আমায় এভাবে মারতেন মা তখন দৌঁড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে সব মার নিজে খেতেন।😑আমি মার খাচ্ছি আর ভাবছি,
আজ আমার মা বেঁচে থাকলে আমার সব ব্যথা তিনি-ই নিতেন।😞 কিন্ত আমি এতটাই দূর্ভাগা যে
আমার কষ্ট নেওয়ার জন্য কেউ নেই।
এভাবে প্রতিদিন আমায় মার খেতে হয়। সৎ মা বাবাকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলেন আর বাবা আমায় মারেন। যখন-ই মার খাই তখনই "মা মা" বলে চিৎকার করে ডেকে উঠি।
কিন্তু মা আর আসে না। আমাকে বাঁচাইও না।😑 তাই পরে পরে মার খেতে থাকি।
,
এভাবে কেটে গেল আরো দুই দুইটি বছর। এখন বাবার সাথে সাথেও সৎ মাও আমায় উঠতে মারধর করে।😑
এর মধ্যেই শুনলাম আমার সৎ মা প্রেগন্যান্ট। আমার মনে ভয় আরো বেড়ে গেল। আমার লাইফটা তবে কি সত্যিই বাংলা সিনেমার মতই হচ্ছে? আমার ভাই বা বোন হলে আমার প্রতি যে আরো অবহেলা বাড়বে।😞
ভেবেই সেই দিন সারা রাত কাঁদলাম।
যখন খুব করে কষ্ট পাই তখন মায়ের সাথে কথা বলি। আজোও বলছি।
"জানো মা আমি না এখন সব কাজ করতে পারি।
বাসন মাজা থেকে শুরু করে ঘর মোছা,রান্না বান্না সব। একটা কাজের বুয়া যা যা পারে আমিও তাই পারি। তোমার ছেলে অনেক সুখে আছে মা। অনেক সুখে।😑 কিন্তু এত সুখ আমার কপালে সচ্ছে না। তুমি যাওয়ার সময় আমায় কেন নিয়ে গেলে না মা?😭"
,
এর কিছু মাস পর আমার একটা ফুটফুটে বোন হলো। প্রথমে ভাবলাম ওর কাছে যাবো না। কিন্তু ও যখন ওর ছোট্ট ছোট্ট হাত পা নাড়াতে নাড়াতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে তখন কোথা থেকে যেন একটা টান চলে আসে। তখন ভাবি আমার মায়ের পেটের না হোক এটাই আমার বোন।
তাই আদর করে ওর নাম রাখলাম, "মিষ্টি।"
বোন হওয়াতে আমার কাজ আরো গেল। কিন্তু ওর মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট যেন ভুলে যায়।
এখন আমি ঘরের কাজের পাশাপাশি আমার বোনকেও আগলে রাখি। ওর দেখাশোনার জন্য
আমার ঠিকমতো স্কুলে যাওয়া হত না। সেবার ক্লাস সেভেনে আমাত ১ম সাময়িক পরিক্ষা ছিল। আমি স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। কিন্তু তখনই
ঘটলো এক অদ্ভুত ঘটনা৷ হুট করে সৎ মা এসে বললেন বোনকে রাখতে। তিনি নাকি পার্লারে যাবেন।🤨 আমিও বললাম,
-- আজ তো আমার পরিক্ষা।
কিন্তু তিনি আমায় শোনালেন অন্য এক কথা।
-- মুখে মুখে তর্ক করিস সাহস তো কম না! তোর বোনের থেকে তোর স্কুলে যাওয়া বড় হলো? আর পড়াশোনার কত খরচ জানিস? এগুলো কি তোর মরা মা এসে দিবে? আজ থেকে তোর পড়াশোনা বন্ধ।
এই বলে আমার কোলে বোনকে দিয়ে আমায় রুমে আটকে রাখলো। কত বার করে কাকুতি মিনতি করলাম আমায় একবার যেন পরিক্ষাটা দিতে দেয় কিন্তু আমার কোন কথাই শুনলো না।
বোনকে কোলে নিয়ে জানলা দিয়ে দেখছি আমার সব বন্ধুরা পরিক্ষা দিতে যাচ্ছে।
আমায় দেখেই বললো,
-- কিরে তুই পরিক্ষা দিতে যাবি না?
আমি চোখের জল মুছতে মুছতে বললাম,
-- না রে তোরা যা।😞
আমার কথা শুনে একে একে ওরা সবাই চলে গেল। কেউ আমার চোখের জল দেখতে পেল না। আমি জানলার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে ওদের চলে যাওয়া দেখছি। আমার আর পরিক্ষা দেওয়া হল না।😑
,
তাই আদর করে ওর নাম রাখলাম, "মিষ্টি।"
বোন হওয়াতে আমার কাজ আরো গেল। কিন্তু ওর মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট যেন ভুলে যায়।
এখন আমি ঘরের কাজের পাশাপাশি আমার বোনকেও আগলে রাখি। ওর দেখাশোনার জন্য
আমার ঠিকমতো স্কুলে যাওয়া হত না। সেবার ক্লাস সেভেনে আমাত ১ম সাময়িক পরিক্ষা ছিল। আমি স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম। কিন্তু তখনই
ঘটলো এক অদ্ভুত ঘটনা৷ হুট করে সৎ মা এসে বললেন বোনকে রাখতে। তিনি নাকি পার্লারে যাবেন।🤨 আমিও বললাম,
-- আজ তো আমার পরিক্ষা।
কিন্তু তিনি আমায় শোনালেন অন্য এক কথা।
-- মুখে মুখে তর্ক করিস সাহস তো কম না! তোর বোনের থেকে তোর স্কুলে যাওয়া বড় হলো? আর পড়াশোনার কত খরচ জানিস? এগুলো কি তোর মরা মা এসে দিবে? আজ থেকে তোর পড়াশোনা বন্ধ।
এই বলে আমার কোলে বোনকে দিয়ে আমায় রুমে আটকে রাখলো। কত বার করে কাকুতি মিনতি করলাম আমায় একবার যেন পরিক্ষাটা দিতে দেয় কিন্তু আমার কোন কথাই শুনলো না।
বোনকে কোলে নিয়ে জানলা দিয়ে দেখছি আমার সব বন্ধুরা পরিক্ষা দিতে যাচ্ছে।
আমায় দেখেই বললো,
-- কিরে তুই পরিক্ষা দিতে যাবি না?
আমি চোখের জল মুছতে মুছতে বললাম,
-- না রে তোরা যা।😞
আমার কথা শুনে একে একে ওরা সবাই চলে গেল। কেউ আমার চোখের জল দেখতে পেল না। আমি জানলার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে ওদের চলে যাওয়া দেখছি। আমার আর পরিক্ষা দেওয়া হল না।😑
,
বেলা ৩টা নাগাত তিনি বাসায় ফিরলেন। মনে মনে প্রশ্ন জাগলো পার্লারে তো এতক্ষণ সময় লাগার কথা না। তবে কি তিনি অন্য কোথাও গিয়েছিলেন? ইদানীং দেখছি তিনি যেন ফোনে কার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলেন। অনেক বার ভেবেছি বাবাকে বলব কিন্তু কখনো বলতে পারি নি।
বলেই বা ই লাভ উল্টো আমাকেই যে মার খেতে হবে।😑
রাতে যখন বাবা বাসায় ফিরলেন তখন আমার সৎ মা বাবাকে বলছিলেন,
-- ছেলেকে শিক্ষিত বানাচ্ছো পরে দেখবা তোমাকে আমাকে পায়ের নিচে রাখবে। পরে ঘর থেকে বের করে দিলে যাবে কই?
-- আমাকে কি করতে বলো?
-- ওর পড়াশোনা বন্ধ করে দাও।
বাবার চেহারা দেখে মনে হলো তিনি যেন অমৃত বানী শুনেছেন। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে উচ্চস্বরে আমায় নাম ধরে ডাকলেন।
আমি কাছে যেতেই বললেন,
-- আজ থেকে তোর পড়াশোনা সব বন্ধ।
শুনেই বুকের ভেতর কেমন ধুক করে উঠলো।
কোন কথা বলার সাহস পাচ্ছিলাম না। তখনই আমার মায়ের কথা খুব মনে হলো।
মা আমায় বলতো,
"বাবা তোকে কিন্তু বড় হয়ে ডাক্তার হতে হবে। আমি হতে পারিনি তো কি হয়েছে আমার স্বপ্ন তোকে দিয়েই পূরণ করবো।"
নাহ চুপ করে থাকলে চলবে না। আমাকে আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।
সাথে সাথেই বাবার পায়ে ধরে বললাম,
-- ও বাবা আমার পড়াশোনা বন্ধ করো না বাবা আমি ডাক্তার হতে চাই।
পাশ থেকে সৎ মা দাঁত কড়কড় করে বললো,
-- এহহহ শখ কত্ত! ডাক্তার হবে। তোর মরা মা কি এসে তোর পড়াশোনার খরচ দেবে?
বাবার পায়ে পরে বার বার বলছিলাম,
-- বাবা আমি তোমাদের সব কথা শুনবো,সব কাজ করে দেব, দরকার পড়লে দুই বেলার জাগায় এক বেলা খাবো শুধু আমায় পড়াশোনাটা......
=============================
বলেই বা ই লাভ উল্টো আমাকেই যে মার খেতে হবে।😑
রাতে যখন বাবা বাসায় ফিরলেন তখন আমার সৎ মা বাবাকে বলছিলেন,
-- ছেলেকে শিক্ষিত বানাচ্ছো পরে দেখবা তোমাকে আমাকে পায়ের নিচে রাখবে। পরে ঘর থেকে বের করে দিলে যাবে কই?
-- আমাকে কি করতে বলো?
-- ওর পড়াশোনা বন্ধ করে দাও।
বাবার চেহারা দেখে মনে হলো তিনি যেন অমৃত বানী শুনেছেন। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে উচ্চস্বরে আমায় নাম ধরে ডাকলেন।
আমি কাছে যেতেই বললেন,
-- আজ থেকে তোর পড়াশোনা সব বন্ধ।
শুনেই বুকের ভেতর কেমন ধুক করে উঠলো।
কোন কথা বলার সাহস পাচ্ছিলাম না। তখনই আমার মায়ের কথা খুব মনে হলো।
মা আমায় বলতো,
"বাবা তোকে কিন্তু বড় হয়ে ডাক্তার হতে হবে। আমি হতে পারিনি তো কি হয়েছে আমার স্বপ্ন তোকে দিয়েই পূরণ করবো।"
নাহ চুপ করে থাকলে চলবে না। আমাকে আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।
সাথে সাথেই বাবার পায়ে ধরে বললাম,
-- ও বাবা আমার পড়াশোনা বন্ধ করো না বাবা আমি ডাক্তার হতে চাই।
পাশ থেকে সৎ মা দাঁত কড়কড় করে বললো,
-- এহহহ শখ কত্ত! ডাক্তার হবে। তোর মরা মা কি এসে তোর পড়াশোনার খরচ দেবে?
বাবার পায়ে পরে বার বার বলছিলাম,
-- বাবা আমি তোমাদের সব কথা শুনবো,সব কাজ করে দেব, দরকার পড়লে দুই বেলার জাগায় এক বেলা খাবো শুধু আমায় পড়াশোনাটা......
=============================
যূথিকার সৌরভ
লেখাঃ নীলাদ্রি নীলঅনেক দিন ধরেই যূথিকার সাথে কথা হচ্ছে না।
ওর সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে যূথিকার পারসোনাল কোন
ফোন নেই।😒 এত বড় হয়েছে তাও তাকে বাসা থেকে কোন ফোন দেওয়া হয় নি।😡
অবশ্য ওর বাসার নাম্বার আমার কাছে আছে কিন্তু যূথিকার বাবা সবসময় ফোনের সামনে বসে থাকে।
হয়তো কোনভাবে জেনে গিয়েছে যে আমি ওর সাথে কথা বলি। আজ যা হয় হবে। যূথিকার সাথে কথা
বলেই ছাড়বো। ডায়াল প্যাড থেকে নাম্বার
বের করে ডায়াল করেই ফেললাম। যা ভেবেছি ঠিক তাই। যূথিকার বাবা ই কলটা রিসিভ করলো।
তিনি ওপাশ থেকে হ্যালো হ্যালো করেই
যাচ্ছেন। আমি কি করবো বুঝতে না পেরে বললাম,
,
-- আচ্ছা এটা কি দমকল সার্ভিস?😎
-- না তো! আপনার রং নাম্বারে ফোন
করেছেন।
--- ওহ আচ্ছা। আসলে আমার মনের ঘরে আগুন লেগেছে তো এজন্য দমকল সার্ভিস খুঁজছিলাম আর কি।😂🤣😄
-- এই আপনি কি ফাইজলামি করতে ফোন দিয়েছেন? বললাম না রং নাম্বার। ফোন রাখেন।
তখন আমি কিছুটা মুচকি হেসে বললাম,
-- দাঁড়ান দাঁড়ান, আচ্ছা যূথিকা কি বাসায় আছে?😂😎
আমার কথা শুনে যূথিকার বাবার যেন কি হলো ঠিক বুঝলাম না। এমন ভাবে চিল্লাচিল্লি করছেন যেন আমায় ফোনের মধ্যে থেকেই মারতে আসে।😃
-- এই কে? কে? এই ছেলে কে তুমি?
আমাকে আর পাই কে? দিলাম সাথে সাথে লাইনটা কেটে।😎
-- টু,টু টু টু...!
আমি সিয়র এতক্ষনে উনি নিশ্চই বাড়ি মাথায় করে ফেলেছেন। যূথিকাকে ডেকে হয়তো ধমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করছেন,
-- এই কে রে ওই ছেলেটা? তোর খোঁজ
করছিল কেন? সত্যি করে বল।
যূথিকাও নিশ্চই বুঝে ফেলেছে যে আসলে কে
ফোন দিতে পারে। হয়তো কাঁপা কাঁপা গলায়
বলছে,
-- জানি না বাবা।
এমন উত্তর পেয়ে তিনি কি আর শান্ত থাকেন? জেরার পর জেরা করতেই থাকবেন।
আর আমার এমন পাগলামোতে যূথিকা
হাসবে কিনা রাগ করবে কে জানে? কারণ আমি কখনোও ওকে খুঁজার জন্য এমন পাগলামো করিনি। সবসময় ও-ই আমাকে
খুঁজে নিয়েছে। আমার কাছে সময় চেয়েছে বারবার। কিন্তু আমি ওর থেকে কিছুটা দূরে দূরেই থেকেছি। আজ হয়তো
চমকে গিয়েছে আমিও যে ওকে এইভাবে খুঁজতে পারি! বড্ড সোহাগী আর আহ্লাদী মেয়েটা।
অনেক দিন ধরেই বাইনা ধরছে তাকে চিড়িয়াখানায়
ঘুড়াতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তার বাবার
কড়া পাহারার জন্য বাসা থেকে বের হতেই পারছে না। সব মেয়েদের বাবারা বোধ হয় এমনই হয়।
মেয়ের বডিগার্ড। যূথিকা তো মাঝে মাঝে তার বাবার উপর রেগে গিয়ে কত্ত কিছু যে বলে দেয় তার ঠিক নেই।😀 আমি চুপচাপ শুনি আর হাসি। ভাবলাম একদিন উনাকে টাইট দিবো। তাই আজ যূথিকাকে না জানিয়েই এমনটা করলাম। এবার বুঝবে মজা!😎
ওর সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে যূথিকার পারসোনাল কোন
ফোন নেই।😒 এত বড় হয়েছে তাও তাকে বাসা থেকে কোন ফোন দেওয়া হয় নি।😡
অবশ্য ওর বাসার নাম্বার আমার কাছে আছে কিন্তু যূথিকার বাবা সবসময় ফোনের সামনে বসে থাকে।
হয়তো কোনভাবে জেনে গিয়েছে যে আমি ওর সাথে কথা বলি। আজ যা হয় হবে। যূথিকার সাথে কথা
বলেই ছাড়বো। ডায়াল প্যাড থেকে নাম্বার
বের করে ডায়াল করেই ফেললাম। যা ভেবেছি ঠিক তাই। যূথিকার বাবা ই কলটা রিসিভ করলো।
তিনি ওপাশ থেকে হ্যালো হ্যালো করেই
যাচ্ছেন। আমি কি করবো বুঝতে না পেরে বললাম,
,
-- আচ্ছা এটা কি দমকল সার্ভিস?😎
-- না তো! আপনার রং নাম্বারে ফোন
করেছেন।
--- ওহ আচ্ছা। আসলে আমার মনের ঘরে আগুন লেগেছে তো এজন্য দমকল সার্ভিস খুঁজছিলাম আর কি।😂🤣😄
-- এই আপনি কি ফাইজলামি করতে ফোন দিয়েছেন? বললাম না রং নাম্বার। ফোন রাখেন।
তখন আমি কিছুটা মুচকি হেসে বললাম,
-- দাঁড়ান দাঁড়ান, আচ্ছা যূথিকা কি বাসায় আছে?😂😎
আমার কথা শুনে যূথিকার বাবার যেন কি হলো ঠিক বুঝলাম না। এমন ভাবে চিল্লাচিল্লি করছেন যেন আমায় ফোনের মধ্যে থেকেই মারতে আসে।😃
-- এই কে? কে? এই ছেলে কে তুমি?
আমাকে আর পাই কে? দিলাম সাথে সাথে লাইনটা কেটে।😎
-- টু,টু টু টু...!
আমি সিয়র এতক্ষনে উনি নিশ্চই বাড়ি মাথায় করে ফেলেছেন। যূথিকাকে ডেকে হয়তো ধমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করছেন,
-- এই কে রে ওই ছেলেটা? তোর খোঁজ
করছিল কেন? সত্যি করে বল।
যূথিকাও নিশ্চই বুঝে ফেলেছে যে আসলে কে
ফোন দিতে পারে। হয়তো কাঁপা কাঁপা গলায়
বলছে,
-- জানি না বাবা।
এমন উত্তর পেয়ে তিনি কি আর শান্ত থাকেন? জেরার পর জেরা করতেই থাকবেন।
আর আমার এমন পাগলামোতে যূথিকা
হাসবে কিনা রাগ করবে কে জানে? কারণ আমি কখনোও ওকে খুঁজার জন্য এমন পাগলামো করিনি। সবসময় ও-ই আমাকে
খুঁজে নিয়েছে। আমার কাছে সময় চেয়েছে বারবার। কিন্তু আমি ওর থেকে কিছুটা দূরে দূরেই থেকেছি। আজ হয়তো
চমকে গিয়েছে আমিও যে ওকে এইভাবে খুঁজতে পারি! বড্ড সোহাগী আর আহ্লাদী মেয়েটা।
অনেক দিন ধরেই বাইনা ধরছে তাকে চিড়িয়াখানায়
ঘুড়াতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু তার বাবার
কড়া পাহারার জন্য বাসা থেকে বের হতেই পারছে না। সব মেয়েদের বাবারা বোধ হয় এমনই হয়।
মেয়ের বডিগার্ড। যূথিকা তো মাঝে মাঝে তার বাবার উপর রেগে গিয়ে কত্ত কিছু যে বলে দেয় তার ঠিক নেই।😀 আমি চুপচাপ শুনি আর হাসি। ভাবলাম একদিন উনাকে টাইট দিবো। তাই আজ যূথিকাকে না জানিয়েই এমনটা করলাম। এবার বুঝবে মজা!😎
যূথিকার সাথে আমার পরিচয়টা যে খুব
বেশিদিনের তা কিন্তু নয়। ৮/৯ মাস আগে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় ওর সাথে পরিচয় হয়েছে। আমরা প্রায় ২৫ জনের মতো
ইন্টারভিউয়ার ছিলাম। ওখানকার ওয়েটিং রুমে ও ঠিক আমার পাশেই বসেছিল। কি জানি কি মনে করে আমায় দেখে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে এসেছিল। এক পর্যায়ে কথায় কথায় জানতে পারি সে নাকি বড়লোক মা-বাবার একমাত্র মেয়ে।
শুনেই তো মনে মনে একটাই প্রশ্ন এসেছিল,
বড়লোক হয়েও প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নিতে এসেছে? কেন জানি না তাকে এ প্রশ্নটা
করার সাহস দেখালাম না। কিন্তু কি আশ্চার্য! সে নিজে নিজেই তার উত্তর দিয়ে দিল।
-- ভাবছেন বড়লোকের মেয়ে হয়েও এখানে চাকরি নিতে এসেছি কেন তাই তো? আসলে আমি
আমার মতো করে জীবনটাকে সাজাতে চাই। নিজে কিছু একটা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া আমার একমাত্র লক্ষ্য। এটলিষ্ট লোকে যেন আমায়
দেখিয়ে বলতে পারে আমি বাবার বড়লোকিতে বড়লোক হয় নি,
নিজের পরিশ্রমে, নিজের যগ্যতায় বড়লোক হয়েছি।
ওর এমন উত্তর শুনে তো আমি হতবাক
হয়েছিলাম। বড়লোকে হয়েও যে মাথায় এমন চিন্তা
আসতে পারে ওর সাথে পরিচয় না হলে বুঝতেই পারতাম না।
ওর সাথে কথা বলে যতটুকু বুঝতে পারলাম যে,
মেয়েদের মধ্যে যে একটা লাজুক লাজুক
ভাব থাকে সেটা তার মধ্যে নেই বললেই চলে।
আজকালকার অনেক মেয়েরাই
লোকলজ্জার ভয়ে চাকরি করা তো দূরে থাক, ঘর
থেকে বের হতেই নারাজ। শুধু মেয়ে বলে
যে স্বামীর ভাত রাঁধা বা ঘর সামলানো ছাড়া নিজে কিছু করা যাবে না এমন ভাবনা আমাদের সমাজ থেকে কবে উঠবে তা আমি
সত্যিই জানি না। সেদিন ওর এমন নিখুঁত মানসিকতা
আমায় মুগ্ধ করতে পেরেছিল ঠিকিই
কিন্তু আকৃষ্ট করতে পারে নি। এমন ভাবনা নিয়েই
ইন্টারভিউ দেওয়া শেষে চলে আসছিলাম।
কিন্তু কে জানতো শেষ পর্যন্ত আমাকে সে আকৃষ্ট করেই ছাড়বে?
মেইন গেটের কাছে এসে যখন রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে
ছিলাম ঠিক তখনই আমার পাশে এসে
দাঁড়িয়ে বলেছিল,
-- কি মিষ্টার বাই না বলেই চলে আসছেন? আমি তো আপনার অপেক্ষায় ছিলাম যে কখন বের হবেন!
আমি খানিকটা অবাক হচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম এত ছেলে থাকতে কেন-ই বা আমার সাথে এভাবে
আগ বাড়িয়ে কথা বলছে। কিছুতেই
মাথায় আসছে না।
ওমা! সে নিজেই আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল। আর তা আমি জিজ্ঞেস না করা সত্ত্বেও!
,
বেশিদিনের তা কিন্তু নয়। ৮/৯ মাস আগে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় ওর সাথে পরিচয় হয়েছে। আমরা প্রায় ২৫ জনের মতো
ইন্টারভিউয়ার ছিলাম। ওখানকার ওয়েটিং রুমে ও ঠিক আমার পাশেই বসেছিল। কি জানি কি মনে করে আমায় দেখে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে এসেছিল। এক পর্যায়ে কথায় কথায় জানতে পারি সে নাকি বড়লোক মা-বাবার একমাত্র মেয়ে।
শুনেই তো মনে মনে একটাই প্রশ্ন এসেছিল,
বড়লোক হয়েও প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নিতে এসেছে? কেন জানি না তাকে এ প্রশ্নটা
করার সাহস দেখালাম না। কিন্তু কি আশ্চার্য! সে নিজে নিজেই তার উত্তর দিয়ে দিল।
-- ভাবছেন বড়লোকের মেয়ে হয়েও এখানে চাকরি নিতে এসেছি কেন তাই তো? আসলে আমি
আমার মতো করে জীবনটাকে সাজাতে চাই। নিজে কিছু একটা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া আমার একমাত্র লক্ষ্য। এটলিষ্ট লোকে যেন আমায়
দেখিয়ে বলতে পারে আমি বাবার বড়লোকিতে বড়লোক হয় নি,
নিজের পরিশ্রমে, নিজের যগ্যতায় বড়লোক হয়েছি।
ওর এমন উত্তর শুনে তো আমি হতবাক
হয়েছিলাম। বড়লোকে হয়েও যে মাথায় এমন চিন্তা
আসতে পারে ওর সাথে পরিচয় না হলে বুঝতেই পারতাম না।
ওর সাথে কথা বলে যতটুকু বুঝতে পারলাম যে,
মেয়েদের মধ্যে যে একটা লাজুক লাজুক
ভাব থাকে সেটা তার মধ্যে নেই বললেই চলে।
আজকালকার অনেক মেয়েরাই
লোকলজ্জার ভয়ে চাকরি করা তো দূরে থাক, ঘর
থেকে বের হতেই নারাজ। শুধু মেয়ে বলে
যে স্বামীর ভাত রাঁধা বা ঘর সামলানো ছাড়া নিজে কিছু করা যাবে না এমন ভাবনা আমাদের সমাজ থেকে কবে উঠবে তা আমি
সত্যিই জানি না। সেদিন ওর এমন নিখুঁত মানসিকতা
আমায় মুগ্ধ করতে পেরেছিল ঠিকিই
কিন্তু আকৃষ্ট করতে পারে নি। এমন ভাবনা নিয়েই
ইন্টারভিউ দেওয়া শেষে চলে আসছিলাম।
কিন্তু কে জানতো শেষ পর্যন্ত আমাকে সে আকৃষ্ট করেই ছাড়বে?
মেইন গেটের কাছে এসে যখন রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে
ছিলাম ঠিক তখনই আমার পাশে এসে
দাঁড়িয়ে বলেছিল,
-- কি মিষ্টার বাই না বলেই চলে আসছেন? আমি তো আপনার অপেক্ষায় ছিলাম যে কখন বের হবেন!
আমি খানিকটা অবাক হচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম এত ছেলে থাকতে কেন-ই বা আমার সাথে এভাবে
আগ বাড়িয়ে কথা বলছে। কিছুতেই
মাথায় আসছে না।
ওমা! সে নিজেই আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিল। আর তা আমি জিজ্ঞেস না করা সত্ত্বেও!
,
-- আপনি এখন ভাবছেন যে এত্ত ছেলে থাকতে
কেন আপনার সাথেই কথা বলতে আসলাম?
তবে শুনুন, আপনি আপনার চোখের নিচে কালো
দাগ দেখেছি। কে কতটা ভালো আছে তা চোখের
নিচের কালো দাগ দেখেই বোঝা যায়। ভেতরটা পূড়ে গিয়েই যে আপনার চোখের নিচে কালো দাগ
হয়েছে। সরি, আপনাকে আর সময় দিতে পারলাম না। আমার গাড়ি এসে গিয়েছে।
তাকিয়ে দেখলাম সত্যি সত্যিই একটা কালো রঙের গাড়ি এসেছে। মেয়েটা গাড়িতে উঠে পড়লো।
গাড়ি স্টার্ট হতেই সে জানালা দিয়ে মুখ বের করে আমার দিকে এক অজানা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।
আমিও অবাক চোখে তাকে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এতটা সেন্স হিউমার কারো কিভাবে থাকতে পারে? ওকে জিজ্ঞেস করতেই হবে।
তারপর ওর সাথে আমার আবার দেখা হয়েছে। ওকে জিজ্ঞেস করে দেখেছি সে কেন আমার সাথে এভাবে মিশে গেল। উত্তরে একটা কথাই বলেছিল, "আমার পরিশ্রমী চেহারা।"
বড়লোক ঘরের মেয়ে হয়েও যে আমার মত মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেকে এভাবে বুঝে ফেলবে ভাবতেও পারি নি। কথায় কথায় এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা বন্ধুত্ব পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। যাই হোক,
,
,
কেন আপনার সাথেই কথা বলতে আসলাম?
তবে শুনুন, আপনি আপনার চোখের নিচে কালো
দাগ দেখেছি। কে কতটা ভালো আছে তা চোখের
নিচের কালো দাগ দেখেই বোঝা যায়। ভেতরটা পূড়ে গিয়েই যে আপনার চোখের নিচে কালো দাগ
হয়েছে। সরি, আপনাকে আর সময় দিতে পারলাম না। আমার গাড়ি এসে গিয়েছে।
তাকিয়ে দেখলাম সত্যি সত্যিই একটা কালো রঙের গাড়ি এসেছে। মেয়েটা গাড়িতে উঠে পড়লো।
গাড়ি স্টার্ট হতেই সে জানালা দিয়ে মুখ বের করে আমার দিকে এক অজানা দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।
আমিও অবাক চোখে তাকে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এতটা সেন্স হিউমার কারো কিভাবে থাকতে পারে? ওকে জিজ্ঞেস করতেই হবে।
তারপর ওর সাথে আমার আবার দেখা হয়েছে। ওকে জিজ্ঞেস করে দেখেছি সে কেন আমার সাথে এভাবে মিশে গেল। উত্তরে একটা কথাই বলেছিল, "আমার পরিশ্রমী চেহারা।"
বড়লোক ঘরের মেয়ে হয়েও যে আমার মত মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেকে এভাবে বুঝে ফেলবে ভাবতেও পারি নি। কথায় কথায় এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা বন্ধুত্ব পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। যাই হোক,
,
,
আজ মেয়েটা তার বাবাকে ফাঁকি দিয়ে ঠিকিই বের হয়ে হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে তার ওই কালো রঙের গাড়ি। আমার মেসের সামনে এসেই আমার নাম ধরে ডাকছে,
-- এই সৌরভ, শুনছো?
আমি তখন খালি গায়ে শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছিলাম। ওর গলা শুনতে পেয়ে চট করে একটা শার্ট গায় দিয়ে ওর গাড়ির সামনে আসলাম।
আমাকে দেখেই বললো,
-- রেডি হয়ে আসো। আজ আমরা বের হবো।
শুনেই কেমন অবাক হয়ে গেলাম। কোন কথা না
বলেই তাড়াতাড়ি করে গিয়ে রেডি হয়ে আসলাম। ওকে কখনো শাড়িতে দেখি নি। আজ
যূথিকা নীল একটা শাড়ির সাথে কপালে নীল টিপও
পরেছে। হাতে আবার নীল রঙের কাঁচের
চুড়িও আছে দেখছি। চুল গুল রুক্ষ। চেহারাতে অনেকটাই মায়াবি ভাব।
-- কি হলো ওঠো!
ওর রিয়াকশন দেখার জন্য ইচ্ছা করেই গাড়িতে উঠে ড্রাইভারের পাশে গিয়ে বসলাম।😎
যূথিকা আমার এমন বোকামি দেখে রাগী গলায় বলে উঠলো,
-- তোমার কি বুদ্ধি সুদ্ধি বলে কিছু নেই নাকি?
ওখানে বসেছো কেন? আমার পাশে এসে
বসো।
আমি মৃদু হাসলাম। ☺ তাড়াতাড়ি করে গিয়ে যূথিকার পাশে এসে বসলাম। গাড়ি স্টার্ট করার পর যূথিকা আমায় বললো,
-- আমি যে একটা সুন্দরি মেয়ে, আমাকে কি তোমার চোখে পড়ে না? এত বোকা কেন
তুমি হ্যাঁ?☺
আমি আবারো মুচকি হাসি দিলাম। আমার
এমন বেয়ামানান হাসি দেখে যুথিকা
ভ্রু কুঁকিয়ে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে
থেকে বললো,
-- নাহ তোমার মধ্যে দেখছি কোন রোমান্টিকতা বলতে কিচ্ছু নেই।
ও বলেই যাচ্ছে আর আমি হেসেই চলেছি।
-- হাসবা না এভাবে ঠিক আছে। আচ্ছা বললা না তো শাড়িতে আমায় কেমন লাগছে?
-- হুম ভালোই।
-- দেখে বলছো নাকি না দেখে?
-- না দেখে।😎
-- এই সৌরভ, শুনছো?
আমি তখন খালি গায়ে শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছিলাম। ওর গলা শুনতে পেয়ে চট করে একটা শার্ট গায় দিয়ে ওর গাড়ির সামনে আসলাম।
আমাকে দেখেই বললো,
-- রেডি হয়ে আসো। আজ আমরা বের হবো।
শুনেই কেমন অবাক হয়ে গেলাম। কোন কথা না
বলেই তাড়াতাড়ি করে গিয়ে রেডি হয়ে আসলাম। ওকে কখনো শাড়িতে দেখি নি। আজ
যূথিকা নীল একটা শাড়ির সাথে কপালে নীল টিপও
পরেছে। হাতে আবার নীল রঙের কাঁচের
চুড়িও আছে দেখছি। চুল গুল রুক্ষ। চেহারাতে অনেকটাই মায়াবি ভাব।
-- কি হলো ওঠো!
ওর রিয়াকশন দেখার জন্য ইচ্ছা করেই গাড়িতে উঠে ড্রাইভারের পাশে গিয়ে বসলাম।😎
যূথিকা আমার এমন বোকামি দেখে রাগী গলায় বলে উঠলো,
-- তোমার কি বুদ্ধি সুদ্ধি বলে কিছু নেই নাকি?
ওখানে বসেছো কেন? আমার পাশে এসে
বসো।
আমি মৃদু হাসলাম। ☺ তাড়াতাড়ি করে গিয়ে যূথিকার পাশে এসে বসলাম। গাড়ি স্টার্ট করার পর যূথিকা আমায় বললো,
-- আমি যে একটা সুন্দরি মেয়ে, আমাকে কি তোমার চোখে পড়ে না? এত বোকা কেন
তুমি হ্যাঁ?☺
আমি আবারো মুচকি হাসি দিলাম। আমার
এমন বেয়ামানান হাসি দেখে যুথিকা
ভ্রু কুঁকিয়ে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে
থেকে বললো,
-- নাহ তোমার মধ্যে দেখছি কোন রোমান্টিকতা বলতে কিচ্ছু নেই।
ও বলেই যাচ্ছে আর আমি হেসেই চলেছি।
-- হাসবা না এভাবে ঠিক আছে। আচ্ছা বললা না তো শাড়িতে আমায় কেমন লাগছে?
-- হুম ভালোই।
-- দেখে বলছো নাকি না দেখে?
-- না দেখে।😎
মেয়েটা আবারো রাগে গজ গজ হয়ে আমার মুখের
দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো।
আমি হাসি থামিয়ে শান্ত গলায় বললাম,
-- নীল রঙ আমার খুব পছন্দের। তোমাকে আমার মেসের সামনে দেখেই ক্রাশ খেয়ে গিয়েছিলাম।😎
আমি কখনো স্বর্গের অপ্সরা দেখি
নি। দেখলে তার সাথে তোমার তুলনা করতাম।
আমার এমন বর্ণনা শুনে মেয়েটার রাগী রাগী
ভাবটা আস্তে আস্তে মুচকি হাসিতে পরিনত হল!
-- যতটা বোকা ভেবেছিলাম তুমি ততটা বোকা নও।
আমি তো ভেছিলাম তোমার মধ্যে কোন রস কস নেই। এখন দেখছি আমায় নিয়ে বর্ণনা শুরু করে দিলে।
-- 😑😑😑😑
-- এই তাকাও তো এদিকে। তুমিও দেখছি নীল রঙের শার্ট পরেছো।
-- হুম ওই যে বললাম নীল রঙ আমার খুব পছন্দের।
-- হ্যাঁ জানি। আমার পিংক কালার আর পেষ্ট কালার পছন্দ।
-- আর ব্লু ভালো লাগে না?
-- হ্যাঁ লাগে।
-- আপনি কিন্তু পিংক অথবা পেষ্ট কালারের
শাড়ি পরেন নি। ব্লু কালারেরটাই পরেছেন।
,
দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো।
আমি হাসি থামিয়ে শান্ত গলায় বললাম,
-- নীল রঙ আমার খুব পছন্দের। তোমাকে আমার মেসের সামনে দেখেই ক্রাশ খেয়ে গিয়েছিলাম।😎
আমি কখনো স্বর্গের অপ্সরা দেখি
নি। দেখলে তার সাথে তোমার তুলনা করতাম।
আমার এমন বর্ণনা শুনে মেয়েটার রাগী রাগী
ভাবটা আস্তে আস্তে মুচকি হাসিতে পরিনত হল!
-- যতটা বোকা ভেবেছিলাম তুমি ততটা বোকা নও।
আমি তো ভেছিলাম তোমার মধ্যে কোন রস কস নেই। এখন দেখছি আমায় নিয়ে বর্ণনা শুরু করে দিলে।
-- 😑😑😑😑
-- এই তাকাও তো এদিকে। তুমিও দেখছি নীল রঙের শার্ট পরেছো।
-- হুম ওই যে বললাম নীল রঙ আমার খুব পছন্দের।
-- হ্যাঁ জানি। আমার পিংক কালার আর পেষ্ট কালার পছন্দ।
-- আর ব্লু ভালো লাগে না?
-- হ্যাঁ লাগে।
-- আপনি কিন্তু পিংক অথবা পেষ্ট কালারের
শাড়ি পরেন নি। ব্লু কালারেরটাই পরেছেন।
,
আমার কথা শুনে মেয়েটা খিলখিল করে হাসছে, আর বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছে।
-- হুম পড়েছি। আমরা দু জন একসাথে যাচ্ছি
বেমানান কি ভালো লাগে বলুন?
-- হ্যাঁ ঠিকিই তো।😀
নীল রঙ যে আমার খুব পছন্দের এটা তাকে
কিছুদিন আগেই বলা হয়েছে। হয়তো আমার জন্যই নীল পরী সেজে এসেছে।😑😑
,
হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বৃষ্টির ছাট এসে গাড়ির জানালার কাঁচ ভিজিয়ে
দিচ্ছে। মেয়েটা গাড়ির জানালা খুলে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করছে। হাওয়া এসে তার রুক্ষ, খোলা চুলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
আর তা এসে আমার মুখগহব্বর পর্যন্ত স্পর্শ
করছে। চুলের গন্ধে কেমন ঘুম ঘুম পাচ্ছে। মেয়েটা
আবার ভেজা হাতেই চুল গুলো ঠিক করার চেষ্টা করছে। আর আমি মুদ্ধ চোখে দেখছি। চট করেই মাথায় একটা বুদ্ধি এলো।
ড্রাইভার কে বললাম রবীন্দ্র সংগীত চালাতে।
আমার কথা শুনে ড্রাইভার হাসিমুখে রবীন্দ্র সংগীত চালিয়ে দিল।
,
"আমারো পরানো যাহা চায়,
তুমি তাই, তুমি তাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়......!
প্রকাশনায়ঃ------"মধু'র ভূবণ"
-- হুম পড়েছি। আমরা দু জন একসাথে যাচ্ছি
বেমানান কি ভালো লাগে বলুন?
-- হ্যাঁ ঠিকিই তো।😀
নীল রঙ যে আমার খুব পছন্দের এটা তাকে
কিছুদিন আগেই বলা হয়েছে। হয়তো আমার জন্যই নীল পরী সেজে এসেছে।😑😑
,
হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বৃষ্টির ছাট এসে গাড়ির জানালার কাঁচ ভিজিয়ে
দিচ্ছে। মেয়েটা গাড়ির জানালা খুলে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করছে। হাওয়া এসে তার রুক্ষ, খোলা চুলগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
আর তা এসে আমার মুখগহব্বর পর্যন্ত স্পর্শ
করছে। চুলের গন্ধে কেমন ঘুম ঘুম পাচ্ছে। মেয়েটা
আবার ভেজা হাতেই চুল গুলো ঠিক করার চেষ্টা করছে। আর আমি মুদ্ধ চোখে দেখছি। চট করেই মাথায় একটা বুদ্ধি এলো।
ড্রাইভার কে বললাম রবীন্দ্র সংগীত চালাতে।
আমার কথা শুনে ড্রাইভার হাসিমুখে রবীন্দ্র সংগীত চালিয়ে দিল।
,
"আমারো পরানো যাহা চায়,
তুমি তাই, তুমি তাই গো
আমারো পরানো যাহা চায়......!
প্রকাশনায়ঃ------"মধু'র ভূবণ"
COMMENTS