bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, premer golpo, sera bani, love quate, top bangla poem, recent abrritti, best poettry,
ওই তুই আমার সামনে কাপড় চেঞ্জ করবি ???
আমার কথা শুনে আয়েশা কিছুটা অবাক হয়ে গেল। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল আমার দিকে।
হয়ত কল্পনাও করতে পারেনি যে বিয়ের রাতে তার স্বামী তাকে এ ধরনের কথা বলবে।
আমিঃ কি হলো কথা কানে যাচ্ছেনা। আমার সামনে কাপড় চেঞ্জ করতে হবে তোর থেকে।
আয়েশাঃ আমি ওয়াশরুমে গিয়ে চেঞ্জ করি। (ভয়ে ভয়ে কথাটি বললো)
আমিঃ ওই তোর কানে কি কথা কম ঢুকে। আমার সামনে তুই তোর কাপড় চেঞ্জ করবি এটাই তো শাস্তি। অনেক সপ্ননা বিয়ে করার এখন আমি তোর সব সপ্ন বের করছি।
এই কথাটি বলে আয়েশার কাছে গিয়ে শাড়ি ধরে দিলাম একটান, সাথে সাথে পুরো শাড়ি খুলে আমার হাতে চলে আসলো। আর আয়েশা মাটিতে পড়ে গেল।
মাটিতে বসে কাঁদতে লাগলো। এগুলো দেখে মাথা আরো গরম হয়ে গেল। আমি শাড়িটা চুড়ে মেরে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।
আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবছেন কি হচ্ছে বা কেন হচ্ছে? আমি আপনাদের কে একটু বুঝিয়ে বললে আপনারা বুঝে যাবেন।
আমি বাহার। মা নেই। বাবাই বড় করেছে আমাকে। একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করি। ভালো সেলেরিও পায়। এভাবে আমি আর আমার বাবা খুব ভালোভাবে থাকতাম। কিন্তু কিছুদিন ধরে বাবা আমাকে বিয়ের জন্য জোর দিচ্ছেন। তাই বাবার কথা রাখার জন্য বিয়েটা করে নিলাম। কিছুক্ষণ আগে যে মেয়েটার সাতে আমি রাগারাগি করে কথা বলছিলাম সে হলো আমার স্ত্রী।
ছোট ছিলাম,তখন মা অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল, ফলে মেয়েদের জন্য আমার মনে তেমন কোনো ফিলিংস নেই। আর কোন জায়গায়ও নেই মনে। তাই কোনদিনও কোন বিয়ে করা তো দূরের কথা প্রেম করার কথাও মাথায় আনিনি। কিন্তু শেষমেশ বাবার জোরাজুরিতে বিয়েটা আমার থেকে করতেই হল। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেয়েটিকে এমনভাবে জ্বালাবো যে মেয়েটি নিজ থেকে আমাকে ছাড়তে বাধ্য হবে।
ছাদে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছি এমন সময় কে যেন আমার কাঁধে হাত রাখলো। আমি ফিরতে দেখলাম বাবা।
আমার বাবা আব্দুল করিম। অনেক ভালো মানুষ।
বাবাঃ কিরে তুই এখানে কি করছিস, যা ঘরে যা।
আমিঃ আব্বু আমার ভালো লাগছেনা। আমি একটু এখানে দাড়াবো, তারপর যাবো।
বাবাঃ আমি কোন কথা শুনতে চাই না যা বৌমা একা একা বসে আছে। যা এখনই যা। কত ভালো একটা বৌমা পেলাম।
এই কথা বলে বাবা ছাদ ত্যাগ করলেন। আর আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চিন্তা করতে লাগলাম কিভাবে শাস্তি দেওয়া যায়।
একটু পরে আমি রুমে ঢুকলাম আমাকে দেখার সাথে সাথে আয়েশা দাঁড়িয়ে গেল।
আমিঃ আমার বিছানা সামনে তুই কি করছিস?
আয়েশাঃ আসলে বিছানা,,, (এতোটুকু বলে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেল)
আমিঃ শোন তুই আমার বিছানার কাছে আসা তো দূরের কথা আমার কোন জিনিসে যদি ইন্টারফেয়ার করস তাহলে এটা তোর জীবনের শেষ দিন।
এই বলে আমি বিছানায় শুয়ে পরলাম। বিছানায় শুয়ে রইলাম তাও ঘুম আসছে না। শুধু মাথায় একটা জিনিসই ঘুরপাক খাচ্ছে কেমনে এই মেয়েটিকে শাস্তি দিতে পারি। আমি তাকানোর সাথে সাথে আয়েশা চোখ নামিয়ে ফেলল।
আমিঃ ওই মেয়ে তোর সমস্যা কি? এভাবে কি দেখছ?
আয়েশাঃ জি আমি কোথায় ঘুমাবো এটা যদি বলতেন?
আমিঃ তোর কি মাথা খারাপ আছে তুই আমার রুমে ঘুমাবি।
মেয়েটির চোখ থেকে পানি পড়ছে। কান্না করুক তাতে আমার কি। আমি তো তাকে শাস্তি দেবো।
তারপর আমি উঠে আমার ড্রয়ের থেকে সব কাপড় বের করে ধীরে ধীরে সব গুলো ভিজিয়ে ফেললাম। আয়েশা হা করে আমার সব কাণ্ড দেখেছে। তারপর আমি মেয়েটিকে ডাক দিলাম।
আমিঃ এখন দশ মিনিটের মধ্যে এসব কাপড় ভালো করে ধুয়ে শুকাতে দে।
প্রথমে মনে করেছিলাম মেয়েটি কাপড় না ধুয়ে কান্নাকাটি করবে কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে মেয়েটির আমার কাপড় ধোয়া শুরু করে দিলো। আর কিছুক্ষণের মধ্যে সব কাপড় ধুয়ে শুকাতে দিয়ে দিল। এটি দেখে মাথা আরো খারাপ হয়ে গেল। তারপর আবার চিন্তা করতে লাগলাম কেমনে মেয়েটিকে শাস্তি দেওয়া যায়। অবশেষে আরেকটি বুদ্ধি মাথায় আসলো।
আমি সিগারেট ধরালাম, সাথে সাথে মেয়েটি কাসতে শুরু করে দিল। তার মানে মেয়েটি সিগারেটের ধোঁয়া পছন্দ করে না।
আমি আয়েশার কাছে গিয়ে তার কোমরে হাত রেখে তাকে আমার কাছে টেনে নিলাম। আয়েশা লজ্জায় লাল হয়ে গেল। সাথে সাথে জ্বলন্ত সিগারেট তার কোমরে লাগিয়ে দিলাম।
প্রথমে একটু আওয়াজ করলেও, তারপরে নিজের মুখ নিজের চেপে ধরে রাখল। আর কান্না করতে লাগলো। এটি দেখে মনে কিছুটা শান্তি লাগলো আর আমি শুয়ে পরলাম। এখন খুব ভালো ঘুম হবে।
হঠাৎ মাঝ রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে এমন একটি জিনিসের দিকে নজর পড়লো যেখান থেকে আমি নিজের নজর ফেরাতে পারছিনা।
আয়েশা শাড়ি তার পেট থেকে সরে গেছে। কখনো কোন মেয়ের সাথে এক রুমে থাকবো এটি চিন্তাও করিনি। খেয়াল করলাম আমার বউ যথেষ্ট সুন্দরী। একনজরে দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পরে আমার নজর পড়ল তার গোলাপের মতো ঠোঁট এর উপরে। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। আর একটু কাছ থেকে দেখার ইচ্ছে হলো। যেই আরেকটু সামনে এগোলাম সাথে সাথে আমি খাট থেকে আয়েশার গায়ের উপর পড়ে গেলাম।
চলবে-------
COMMENTS