আলুর বস্তার চাপায় যে আমি আলু বর্তা হয়ে গেলাম, মিষ্টি প্রেমের গল্প "বেখেয়ালী মন" ৩য় পর্ব । "মধু'র ভূবণ"

SHARE:

bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate, ltop bangla poem, recent bangla abrritti, best bang

                            

আলুর বস্তার চাপায় যে আমি আলু বর্তা হয়ে গেলাম, মিষ্টি প্রেমের গল্প "বেখেয়ালী মন" ৩য় পর্ব ।


                                          বেখেয়ালি মন-----৩য় পর্ব

                                                         লেখাঃ---আফরিন ইভা


___________
একে-তো এই প্রথম কারোর কাছ থেকে জুতা গিফট পেয়েছি তাও আবার এক জোড়া দু জোড়া নয়, চার জোড়া,ইচ্ছে করছে জুতা দিয়ে গলার মালা বানিয়ে শিশির বানরের গলায় ঝুলিয়ে অস্কার দেই।এই শিশির ব্যাটা পেয়েছে টা কী, আমি জুতা গিফট পাওয়ার যোগ্য, আমি এই ঔষধের শিশির সামনেই আর যাবো না। যেই জুতো গুলো রেখে পেছনে ফিরবো,তখুনি কারো সাথে ধাক্কা লেগে দুজনই পড়ে গেলাম। আমি যে কারোর উপর পড়েছি বুঝতে পারছি, কিন্তু তাকে দেখতে পাচ্ছিনা, সে তো কী আহামরি কান্না জুড়ে দিলো, আর বলতে লাগলো হায় আল্লাহ আলুর বস্তার চাপায় যে আমি আলু বর্তা হয়ে গেলাম, আমার বউ,বাচ্চার কী হবে গো আল্লাহ!


____________
-কণ্ঠস্বর শুনে আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না এযে সেই বজ্জাতের বস শিশির দানা।কিন্তু এই শিশির আলু বর্তা হলো ঠিক, তাও আমার মতো পঞ্চাশ কেজি ওজনের মেয়ের চাপায়,কিন্তু এই হাঁদারাম বউ,বাচ্চার কথা বলছে কেনও?
আমি কোনো রকম নিজেকে সামলিয়ে উঠে দাঁড়ালাম , ঔষধের শিশি কেও হাত ধরে উঠালাম।
বিয়াইন আপনি আমার সাথে এটা করতে পারলেন, কিভাবে বলুন?
আমি আপনার জন্য দেখে দেখে, ভালো ভালো ব্রান্ডের চার জোড়া জুতো নিয়ে আসলাম, আপনি মৃগী রোগী বলে।


-কিহ আমার মৃগী রোগ?
-হুম ঐ যে ঐ দিন আপনার কাঁপা-কাঁপি দেখে তো আমি বুঝতে পেরেছি আমার বিয়াইন যে মৃগী রোগী, আপনি হয়তো লজ্জায় বলতে পারেননি,তাতে কী, আমি জানি মৃগী রোগীদের যে হাত কাঁপে, পা কাঁপে,চোখ কাঁপে,ঠোঁট কাপে,আরো আপনাদের আনেক কিছুই কাঁপা-কাঁপি করে বোঝেনই তো ( চোখ মেরে)।
-ছিহ কী অসভ্য!


এ রকম লুচু এ ভুবনে আর আছে কি-না সন্দেহ আছে।
বিয়াইন এখন বলুন আপনি যে আলুর বস্তার মতো এতো ওজন বুঝাতো যায় না, দেখে তো বাতাসির মা,আর আতরের মা মনে হয় আমার কাছে।
এখন আপনি কথা দুন আমার আর আমার বাচ্চার দায়ভার নিবেন বলুন?
আমি তো হতাশ, এই লোকের মাথাটা কী পুরোপুরি গেলো না-কি? আমি আর সহ্য করতে না পেরে স্থিরভাবে বললাম,আপনার বউ বাচ্চা আসবে কোথা থেকে, আপনি তো বিয়েই করেননি, ওমা বিয়াইন বিয়ে না করলে কী হয়েছে, ভবিষ্যতে করবো, সারাজীবন কী কোলবালিশ কে আদর করে করে জীবন মাটি করবো মুচকি হাসি দিয়ে।


আমার তো মনে হচ্ছে এই লোকের সামনে থেকে মাটির নিচে চলে যাই, এখনো বিয়ের 'ই' খবর নেই, আরো বউ, বাচ্চার চিন্তা। আচ্ছা বলুন, আমি আপনার বউ আর আপনার বাচ্চার কী ক্ষতি করেছি?
শিশির ভাই বললো আপনার মতো আলুর বস্তা আমার উপর পড়াতে আমার সিক্রেট অনেক কিছুই হয়তো বর্তা হয়ে গিয়েছে, আমার বউ তো রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যাবে, আর আমি কখনো চিনির বাপ,লবণের বাপ,মুলা’র বাপ, হতেও পারবোনা।
আমি তো চরম অবাক একি কোনো মানুষ, না কোনো পঁচা এলিয়েন, যার মুখে কোনো কিছুই আঁটকায় না।আর সামান্য আমি একটু উনার উপর পড়াতে উনি আলু বর্তা হয়ে গেছেন। আমি তো চিন্তা করছি উনি কারো উপর পড়লে তো পুরো দেশেই বোমা বিস্ফোরণ হবে।
আল্লাহই জানে এ লোকের মাথায় কী আল্লাহ কোনোদিন সুবুদ্ধি দেবে না।


শুনেন মিনিবাস আমি একটু পর ডাক্তারের কাছে যাবো, যদি কিছু হয় আপনার জামাইয়ের একদিন কী আমার একদিন। আমি তো ভয়ে ভয়ে শেষ, সকালে নাস্তা করার জন্য ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসলাম। আপুও বসে আছে সাথে জিজুও আছে, আপু কে বেশ খুশিখুশি লাগছে, জিজুও আপুর দিকে তাকিয়ে মিটমিট হাসছে, দেখে তো মনে হচ্ছে একি ফুলের গাঁথা মালা, প্লেটে খাবার নিয়ে বসলাম, জিজু,শিশির পাশাপাশি বসেছে, আমি, আপু পাশাপাশি, আর জিজুর আম্মু আরেক পাশে বসেছে। জিজু আপুর দিকে তাকিয়ে রইলো যেনো চোখের পলকও ফেলছে না, ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ অস্বস্তিকর লাগছে,আমি পা দিয়ে জিজু কে দিলাম জোরে ধাক্কা।
শিশির ওহ্ করে উঠলো,আমি তো এদিকে ভয়ে শেষ, না জানি এখন কী হবে।
জিজু বললো কি রে শিশির তোর কী হলো?
আসলে পায়ের ধাক্কাটা শিশিরের পায়ে লেগেছে। শিশির আমার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো
আসলে ভাই ইদানিং আমাদের ঘরে একটা ইঁদুর ঢুকেছে, যাকে তাকে কামড়িয়ে দেয়, যখন তখন কিস করতে আসে, এই ইঁদুরটার জন্য ভাবতে ভাবতে আমার সব চুল পেকে যাচ্ছে। আমি ভেবেছি এটাকে তারাতাড়ি আরেকটি স্ব হৃদয়ের ইঁদুর খুঁজে বিয়ে দিয়ে দেবো।
জিজু হেঁসে বললো, " কী যে বলিস শিশির তুই ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ইঁদুর নিয়ে পড়ে আছিস, তাও আবার ইঁদুর কে বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবি।এক কাজ কর,তুই ই স্ব হৃদয়ে এই ইঁদুরনি কে বিয়ে করে ফেল।
ওহ্ নো ভাই,এই ইঁদুর কখন কোথায় কামড় বসিয়ে দেয় তাঁর কী ঠিক আছে। আমি বরং ওকে অন্যদিকে বিয়ের ব্যাবস্থা করি।


-আমার তো সেই রকম রাগ হচ্ছে, কতোক্ষণ আলুর বস্তা কতোক্ষণ,ইঁদুরের উপাধি পেতে হচ্ছে, এই শিশিরের সাথে সাথে সবাইও ইঁদুর ডাকতে শুরু করেছে।
আপু কেও দেখা যাবে কিছুদিন পর আপুও বলতে শুরু করবে,ইঁদুর বোন আমার রাগ করিস না।
ওহ্ নো এ কপাল খানা আমার পঁচা বলেই আজ এই দূরাবস্থা, ইচ্ছে তো করছে, ঝামা দিয়ে কপালকে ধুয়েমুছে সাফ করতে।


আপু কিচেনের সব গোছাচ্ছে, এই সময়ে লাল বানরটা আমার কানে কানে এসে বলে, বিয়াইন আপনি কিন্তু সেই বাঁচা বেঁচে গেছেন, নয়তো আমার বউ, বাচ্চার অভিশাপে আপনার জামাই শেষ হয়ে যেতো।
আমি ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসলাম। এসে যেই একটু ঘুম দিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখলাম শিশির ভাই আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,আমি চমকে উঠে ওড়না ঠিক করতে করতে বললাম, আপনি আমার ঘরে?


কেনো বিয়াইন আপনার ঘরে আসলে কী আপনি ক্ষয়ে যাবেন,না-কি আপনার পেত্নী সঙ্গীদের সাথে গল্প করতে পারবেন না। আচ্ছা বিয়াইন আপনিও কী কোলবালিশ নিয়ে ঘুমান? তাও একটা কোলবালিশ নয় দু'দুটো কোলবালিশ।
আমি শুনেছি মেয়েরা কোলবালিশ কে জড়িয়ে ধরে গান গাইতে শুরু করে, কেমন গান জানেন?
চুম্মা দে দে,চুম্মা দে দে চুম্মা। ( এক ঠোঁট দিয়ে আরেক ঠোঁট কামড়ে)
আমি তো তাজ্জব , মেয়েরা যে কোলবালিশের সাথে এই গান গায় তা উনি জানেন কিভাবে?
আর তা কী আদৌও সত্যি তা একমাত্র এই দুষ্টু লোকই জানে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,আচ্ছা আপনি কিভাবে জানেন বলুন তো মেয়েরা কোলবালিশ কে নিয়ে এসব গান গায়?
কী যে বলেন না বিয়াইন, আমরা সব বন্ধুরাই তো জানি, আমাদের যতো বান্ধবীরা আছে তারা তো সবাই কোলবালিশ কে নিয়ে এই গানই গায়। মেয়েদের জ্বালায় কোলবালিশ গুলো পারছেনা কচু গাছের সাথে ফাঁসী দিতে, পারছেনা বিক্ষোভ, মিছিল করতে। আর এই কোলবালিশের কারনেই আজ আমরা ছেলেরা এখনো সিঙ্গেল।


আমি মনে মনে হতাশ হয়ে বললাম, আপনি আর আপনার মতো বান্ধবীরাই কোলবালিশ নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি করবেন,বজ্জাতি লোকের মাথায় খালি বজ্জাতি চিন্তা।
আচ্ছা বিয়াইন বলেন তো, আপনি কী আগে গাছে উঠতেন এই ধরেন ছোট বেলায়,আম গাছে, জাম গাছে, নারকেলগাছে?
আমি সরল মনে উওর দিলাম হ্যাঁ পারতাম অল্প স্বল্প।
ওমা তাই এজন্যই তো, আমি আপনাকে গতরাতে স্বপ্নে দেখেছি জানেন, কী দেখেছি ,আপনি আর একটা কাঠবিড়ালি পেয়ারা গাছের ঢালে একসাথে বসে, পেয়ারা খাচ্ছেন, এক কামড় আপনি খাচ্ছেন, একই পেয়ারা আরেক কামড় বসিয়ে কাঠবিড়াল টা খাচ্ছে, দু'জনের মধ্যে কী মিল, আমি তো স্বপ্নটা দেখে কী যে মন খারাপ হয়েছিল জানেন,শেষ পর্যন্ত আমার বিয়াইন কাঠবিড়ালির সাথে, আহারে কী যে দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম।


আমার তো এবার সেই রকম মন খারাপ হয়ে গেলো,লাষ্ট পর্যন্ত কাঠবিড়ালি কেও আমার বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে ছাড়লো। কয়েকদিন পর দেখা যাবে কুকুরের সাথে আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, হয়তো দেখা যাবে বিয়েও দিয়ে দিয়েছে।
আচ্ছা বিয়াইন আপনি তো বাসায় থেকে থেকে নিশ্চয়ই বোরিং ফিল করছেন,হয়তো হাত, পা গুলোও রাগে গিজগিজ করছে। চলুন না আপনাকে নিয়ে একটু আকাশে বাতাসে ঘুরে আসি,আপনার চিকন দেহেও একটু বাতাস লেগে যদি একটু গুলো মুলো হয়,নয়তো আপনার জামাই হায় হায় বলে কান্না জুড়ে দেবে, আর সবাই কে বলে বলে বেড়াবে এই কাঠের মূর্তির গরুর মতো গুঁতো খেয়ে তো আমার নাক,মুখ,সব ছিদ্র হয়ে গেলো।


-আপনি আমাকে নিয়ে চিন্তা করবেন না, আমি চিকন হলেও আপনাকে এতো মাথা ঘামাতে হবে না।
আরে বিয়াইন কী বলেন, দুইটি নয় ,পাঁচটি নয়,একজন মাত্র বিয়াইন তাও চিকনি চামেলি বিয়াইন, আপনার জন্য না ভাবলে যদি আপনি উড়তে উড়তে চাঁদের দেশে চলে যান, তখন তো ওঁরা সবাই আপনাকে দেখে ভয় পেয়ে কেঁদে দেবে, চিন্তা নেই আমি একটা ঔষধের নাম জানি আগামীকাল আসার সময় নিয়ে আসবো,কাউকে বলা যাবে না কিন্তু ইন্ডিয়ান গরুর ট্যাবলেট, পাঁচ ডোজে যথেষ্ট, তখন দেখবেন আপনার পেছনে কতো ছেলের লাইন পড়ে গেছে।
আমি কথা ঘোরানোর জন্য বললাম, আচ্ছা আপনি না বললেন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন?
ওমা বলেছিলাম না-কি, কোথায় বলেছি, কোথায় বলেছি, আপনার শ্বশুরবাড়ি না-কি, না-কি আপনার বয়ফ্রেন্ডের বাড়ি, মনে তো পড়ছে না।
আমি নিজেই অবাক হলাম এ না-কি ইঞ্জিনিয়ার, তাও নাম করা। সামান্য একটু আগের কথা যার মনে থাকে না, সে কিভাবে যে কী করে, হয়তো উনার নির্দেশনায় সকালে যে কাজ করে বিকালে তা ভেঙে পড়ে এমন ইঞ্জিনিয়ার আরকি।


আপনি যে বললেন, বাহিরে কোথায় আকাশে বাতাসে ঘুরতে নিয়ে যাবেন।
ওহ্ আচ্ছা সে কথা মনে পড়েছে, আসলে আজকাল সারাক্ষণ বউয়ের চিন্তা মাথায় ঘুরেতো, কেমন জানি বিয়ে, বিয়ে করতে মন চায়, ঘুমাতে গেলে চোখ মেলেও একি স্বপ্ন, চোখ বন্ধ করলেও একি স্বপ্ন, বউ শুধু কাছে এসে পঁচা পঁচা আদর করতে চায় আর আমি তখুনি ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে জেগে যাই, বলুন তো বিয়াইন আমার বউ স্বপ্নে এসে আমাকে এতোটা ভয় পাইয়ে দেয়, আর যদি বাস্তবে কাছে এসে আমি তো মনে হয় এই ভূবনেও থাকবো না লজ্জা পেয়ে। আমার তো মনে হচ্ছে আপনার ভয়েও আপনার হাজবেন্ড বাসায়ও আসবে না, চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বাথরুমে কাটাবে পাঁচ ঘন্টা, খাওয়া-দাওয়া, বাহিরে, ঘুমে, বাকি উনিশ ঘন্টা কাটিয়ে ছাড়বে।


-আমি সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি আমার কথা জানলেন কিভাবে?
উনি মুচকি হেসে বললো,ওমা বিয়াইন জানেননা বুঝি, আপনার ঠোঁটের উপরের কালো তিল টাই তো বড়ো প্রমাণ, যে আপনি কতোটা আদুরে কাতর হবেন।যেসব মেয়েদের ঠোঁটের উপরে তিল তাকে তাঁরাই এমন হয় বলে হাসি দিলো।
ঠিক আছে আপনি রেডি হয়ে নিচে আসুন আমি অপেক্ষা করছি।
-আমি একা যাবো? আপু যাবেনা?
বিয়াইন আপনি কী এখনো ফিডার খান,রাতে কী লুকিয়ে লুকিয়ে ফিডার খান সত্যি করে বলুন তো?
-না তো ফিডার খাবো কেনও?
তাহলে পিচ্চিদের মতো বলছেন কেনও, আচ্ছা আম্মু বাচ্চা হয় কিভাবে?
এবার বলুন আপনি একটা দামড়ি কি-না?
দামড়ি না হলে কিভাবে আপনার আপুর যাওয়ার কথা বললেন।


ওরা এখন স্বপ্নে বিভোর, এই স্বপ্ন সহজে ভাঙবে না, ওঁরা এখন যেটুকু সময় পাবে,তাই ওদের জন্য বোনাস,বোনাস কী কেউ কোনদিন হাতছাড়া করে।
আপনার বিয়ে হলে আপনিও বুঝবেন বলে বজ্জাত চলে গেলো।
আজ অনেকদিন পর ঘুরতে যাচ্ছি, ঘুরাঘুরি আমার বরাবরই পছন্দ, তাই আপুর কাছ থেকে আজ আমার প্রিয় কালারের আকাশী-নীল মিশ্রিত একটি শাড়ি পড়ে, হালকা সাজ দিয়ে নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নিলাম সব ঠিক আছে কি-না, দেখলাম সবই ঠিক আছে, নিচে নেমে দেখি,শিশির অনেক সুন্দর কালো একটি শার্ট পড়েছে, সোনালী রোদ্দুরের মতো চুলগুলো তে হাতের আঙুল দিয়ে বুলাচ্ছে অত্যন্ত যত্নের সাথে। 

এই প্রথম এই খাটাশ কে আমি প্রাণভরে দেখছি, যেনো মহান সৃষ্টিকর্তা পরম যত্নে এই লোক কে বানিয়েছে অত্যন্ত নিপুণভাবে শৈল্পিক রংতুলি দিয়ে, এই খাটাশ কি আসলেই সুন্দর না-কি আমার কাছেই আজ সুন্দর লাগছে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমাকে নিচে নামতে দেখে, খাটাশ শিশির এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আমি তো বেশ লজ্জা পেলাম, মনে মনে ভেবেছি হয়তো আজ আমি আজ অনেক সুন্দর করে সেজেছি নিশ্চয় শিশির ব্যাটা আমার রূপের আজ একটু হলেও প্রশংসা করবে । আমার সব আশা নিরাশা করে বললো, আরে প্রিয়ন্তী বিয়াইন এতো দেরি হলো কেনও, আজ তো মনে হচ্ছে ঠোঁটের মধ্যে লিপস্টিক একটার উপর পাঁচটা লাগিয়েছেন।


আসলে কী বলবো, এতো সাজলে আমার কাছে মেয়েদের কে ডাইনী ডাইনী লাগে, রাতেও এসব ডাইনীদের মুখ চোখে ভাসে, রাতে শুতে গেলে মনে হয়, কোনো ডাইনী আমার পাশে শুয়ে আছে।
আমি পারছিনা কেঁদে ফেলতে সবার সামনে, কিন্তু লজ্জার কারনে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে। নিজেকে কোনো রকম সামলিয়ে বললাম চলুন তাহলে যাওয়া যাক।
বিয়াইন যেতে পারবেন তো, দেইখেন আবার শাড়ি পায়ের সাথে পেচিয়ে না জানি আমাকে নিয়ে পড়েটড়ে যান, পরে দেখা যাবে আমার দাঁত ভেঙে গেছে, আর এই দাঁত নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে হাসতেও পারবো না, শ্বাশুড়ির দেওয়া আস্ত মুরগীর দুরুসও খেতে পারবোনা।
চলবে_________।




প্রকাশনায়ঃ-----"মধু'র ভূবণ"

COMMENTS

My Blog List

Name

featured,64,Sad Story,1,slider,65,অন্যান্য,8,ইতিহাস,4,উপন্যাস,12,কবিতা,8,কলাম,4,গল্প,38,ছোট গল্প,15,জীবনী,7,পারিবারিক,6,প্রবন্ধ,9,প্রেম,14,বাস্তবতা,5,বিদ্রোহ,7,বিরহ,8,ভালবাসা,12,ভৌতিক,2,ভ্রমণ কাহিনী,5,ভ্রমন,1,রহস্য,8,রূপকথা,1,রোমান্টিক,5,শিশু সাহিত্য,3,সংকলন,4,সংগ্রহ,2,সংলাপ,2,সামাজিক,7,সাহিত্য,13,স্মৃতিকথা,1,হাস্যরস,1,হুমায়ূন আহমেদ,11,
ltr
item
Golpo Blog: আলুর বস্তার চাপায় যে আমি আলু বর্তা হয়ে গেলাম, মিষ্টি প্রেমের গল্প "বেখেয়ালী মন" ৩য় পর্ব । "মধু'র ভূবণ"
আলুর বস্তার চাপায় যে আমি আলু বর্তা হয়ে গেলাম, মিষ্টি প্রেমের গল্প "বেখেয়ালী মন" ৩য় পর্ব । "মধু'র ভূবণ"
bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate, ltop bangla poem, recent bangla abrritti, best bang
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiR614pGS75A8fU3Gx464et_O5rc2dSJOzqDyWTwPcy5VdKZ_A6MrfoMAPk00ubIks90sl_nWlZR4SAFfKA4KWqUECVsnT2BxZps9pI-ngoLedhmQ7NaBCodrhAre2Ahj49z4DCGgfcTMmh/w640-h360/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2596%25E0%25A7%2587%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BF+%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A7%25A9%25E0%25A7%259F+.jpg
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiR614pGS75A8fU3Gx464et_O5rc2dSJOzqDyWTwPcy5VdKZ_A6MrfoMAPk00ubIks90sl_nWlZR4SAFfKA4KWqUECVsnT2BxZps9pI-ngoLedhmQ7NaBCodrhAre2Ahj49z4DCGgfcTMmh/s72-w640-c-h360/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%2596%25E0%25A7%2587%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BF+%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A8+%25E0%25A7%25A9%25E0%25A7%259F+.jpg
Golpo Blog
https://golpoblog.mrmodhu.com/2021/05/galpo_70.html
https://golpoblog.mrmodhu.com/
https://golpoblog.mrmodhu.com/
https://golpoblog.mrmodhu.com/2021/05/galpo_70.html
true
3394482685536881275
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy