bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate, ltop bangla poem, recent bangla abrritti, best bang
__ ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা __
লেখাঃ নীলাদ্রি নীল
-- নীল।
-- হুম।
-- আসি?
-- হুম।
-- নিজের যত্ন নিবা, ভালোমত থাকবা আর পারলে রোজ একটা করে চিঠি লিখবা।
-- হুম।
-- আমাদের পরের জন্মে দেখা হবে তো তাই না?
-- হুম।
-- ততদিন পর্যন্ত আমার জন্য অপেক্ষা করবে তো?
-- হুম।
রূপা আমাকে বেশ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুতেই ছাড়তে চাচ্ছে না। এমন বিদায়ের সময় কি কান্নাকাটি করতে আছে? কি যে পাগলী হয়েছে এই মেয়েটা! আমি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে গম্ভির গলায় বললাম,
-- আহ্ ছাড়ো তো! তোমার যাবার সময়
হয়ে গেছে। যাও তোমার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। প্লিজ চলে যাও।
-- নীল।
আবারো সে আমার নাম ধরে ডেকে ফেলে। আমিও ওর ডাকে সাড়া দিয়ে বলি,
-- হুম বলো।
-- আমি চলে যাচ্ছি।
-- হুম।
-- আমায় ছাড়া থাকতে পারবা তো?
-- নীল।
-- হুম।
-- আসি?
-- হুম।
-- নিজের যত্ন নিবা, ভালোমত থাকবা আর পারলে রোজ একটা করে চিঠি লিখবা।
-- হুম।
-- আমাদের পরের জন্মে দেখা হবে তো তাই না?
-- হুম।
-- ততদিন পর্যন্ত আমার জন্য অপেক্ষা করবে তো?
-- হুম।
রূপা আমাকে বেশ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুতেই ছাড়তে চাচ্ছে না। এমন বিদায়ের সময় কি কান্নাকাটি করতে আছে? কি যে পাগলী হয়েছে এই মেয়েটা! আমি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে গম্ভির গলায় বললাম,
-- আহ্ ছাড়ো তো! তোমার যাবার সময়
হয়ে গেছে। যাও তোমার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। প্লিজ চলে যাও।
-- নীল।
আবারো সে আমার নাম ধরে ডেকে ফেলে। আমিও ওর ডাকে সাড়া দিয়ে বলি,
-- হুম বলো।
-- আমি চলে যাচ্ছি।
-- হুম।
-- আমায় ছাড়া থাকতে পারবা তো?
আমি আলতো করে চোখ বন্ধ করে মাথা নাড়লাম। আমার মাথা নাড়ানো দেখে সে আরো জোরে কান্না করে উঠলো।
তারপর আবারো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
-- আমি সত্যিই চলে যাচ্ছি, আমাদের আর কোনদিন দেখা হবে না।
এবার ওকে বুক থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিচ্ছি আর বলছি,
-- মন দিয়ে সংসার করবা, শশুড় শাশুড়ির ঠিকমতো সেবা-যত্ন করবা ঠিক আছে?
আমার কথা শুনে কাজল ল্যাপ্টানো চোখে চেয়ে থাকলো মেয়েটা। ও চোখে এখন যেন শুধু-ই
অভিমান। চোখ জোড়া কিছুতেই বিশ্বাস করতে করতে পারছে না। আর তাই এভাবে তাকিয়ে থাকা।
কান্না থামিয়ে এবার এক পা দু পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। একটু পর পর আবার পিছু ফিরে তাকচ্ছে। তার ধারনা আমি ওকে "প্রিয়তী" বলে ডাকবো। ওকে বলবো, "প্লিজ যেও না আমায় ছেড়ে।"
কিন্তু আমি ওর ধারনাটা সম্পূর্ণ মিথ্যে করে দিলাম।
কারণ আমি চাইলেও ওকে আর ডাকতে পারবো না। আজ যে ওর বিয়ে।😑
সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সে আমার কাছে এসেছে।
তার বিশ্বাস আমি তাকে নিয়ে অনেক দূরে হারিয়ে যাবো। সবার থেকে দূরে।
তারপর আবারো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
-- আমি সত্যিই চলে যাচ্ছি, আমাদের আর কোনদিন দেখা হবে না।
এবার ওকে বুক থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিচ্ছি আর বলছি,
-- মন দিয়ে সংসার করবা, শশুড় শাশুড়ির ঠিকমতো সেবা-যত্ন করবা ঠিক আছে?
আমার কথা শুনে কাজল ল্যাপ্টানো চোখে চেয়ে থাকলো মেয়েটা। ও চোখে এখন যেন শুধু-ই
অভিমান। চোখ জোড়া কিছুতেই বিশ্বাস করতে করতে পারছে না। আর তাই এভাবে তাকিয়ে থাকা।
কান্না থামিয়ে এবার এক পা দু পা করে এগিয়ে যাচ্ছে। একটু পর পর আবার পিছু ফিরে তাকচ্ছে। তার ধারনা আমি ওকে "প্রিয়তী" বলে ডাকবো। ওকে বলবো, "প্লিজ যেও না আমায় ছেড়ে।"
কিন্তু আমি ওর ধারনাটা সম্পূর্ণ মিথ্যে করে দিলাম।
কারণ আমি চাইলেও ওকে আর ডাকতে পারবো না। আজ যে ওর বিয়ে।😑
সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সে আমার কাছে এসেছে।
তার বিশ্বাস আমি তাকে নিয়ে অনেক দূরে হারিয়ে যাবো। সবার থেকে দূরে।
যেখানে গেলে
কেউ আমাদের কোনদিন খুঁজে পাবে না। কিন্তু আমি ওর বিশ্বাস ভেঙ্গেছি।
কেউ আমাদের কোনদিন খুঁজে পাবে না। কিন্তু আমি ওর বিশ্বাস ভেঙ্গেছি।
তাইতো ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। নিজের ইচ্ছাতেই ফিরিয়ে দিচ্ছি।
আমার বিবেক আমাকে বার বার প্রশ্ন করছে,
"হ্যাঁ রে নীল তুই এত নিষ্ঠুর কেন? দেখেছিস মেয়েটা তোকে কতটা ভালোবাসে? বিয়ের আসর থেকে তোর জন্যই তো পালিয়ে এসেছে। আর তুই ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছিস? তুই কি মেয়েটাকে
ভালোবাসিস না?"
আমি আলতো করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর দিই,
"হুঁ বাসি তো!"
"তাহলে কেন ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছিস? কেন-ই বা ওকে আটকাচ্ছিস না? মেয়েটা তোকে ছাড়া বাঁচবে না। যা নীল যা তাড়াতাড়ি কর, ওকে ফিরিয়ে আন।"
"সেটা আর সম্ভব নয়।"
"তুই চাইলে-ই সম্ভব। তুই এখন-ই ওর বাবার কাছে যা।
আমি তখন মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলি,
"নিজের ভিরুতাকে পায়ে পিষে সেদিন ওর বাবার কাছেই গিয়েছিলাম। ওকে পাওয়ার জন্য হাত জোড় করে বলেছিলাম,
"আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।"
আমার এমন মামার বাড়ির মতো আবদার শুনে
তিনি অট্ট হাসি হেসেছিলেন। বলেছিলেন,
"কি যগ্যতা আছে তোমার? আমার মেয়েকে
খাওয়াবে কি..? কোন চাকরি বাকরি আছে কি তোমার?"
উনার প্রশ্নের জবাবে আমি ঠিক কি উত্তর দিব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবুও তাকে বিনয়ের সাথে বলেছিলাম।
আমার বিবেক আমাকে বার বার প্রশ্ন করছে,
"হ্যাঁ রে নীল তুই এত নিষ্ঠুর কেন? দেখেছিস মেয়েটা তোকে কতটা ভালোবাসে? বিয়ের আসর থেকে তোর জন্যই তো পালিয়ে এসেছে। আর তুই ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছিস? তুই কি মেয়েটাকে
ভালোবাসিস না?"
আমি আলতো করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর দিই,
"হুঁ বাসি তো!"
"তাহলে কেন ওকে ফিরিয়ে দিচ্ছিস? কেন-ই বা ওকে আটকাচ্ছিস না? মেয়েটা তোকে ছাড়া বাঁচবে না। যা নীল যা তাড়াতাড়ি কর, ওকে ফিরিয়ে আন।"
"সেটা আর সম্ভব নয়।"
"তুই চাইলে-ই সম্ভব। তুই এখন-ই ওর বাবার কাছে যা।
আমি তখন মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলি,
"নিজের ভিরুতাকে পায়ে পিষে সেদিন ওর বাবার কাছেই গিয়েছিলাম। ওকে পাওয়ার জন্য হাত জোড় করে বলেছিলাম,
"আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।"
আমার এমন মামার বাড়ির মতো আবদার শুনে
তিনি অট্ট হাসি হেসেছিলেন। বলেছিলেন,
"কি যগ্যতা আছে তোমার? আমার মেয়েকে
খাওয়াবে কি..? কোন চাকরি বাকরি আছে কি তোমার?"
উনার প্রশ্নের জবাবে আমি ঠিক কি উত্তর দিব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবুও তাকে বিনয়ের সাথে বলেছিলাম।
"আমি চাকরির জন্য চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।"
জবাবে তিনি আমায় শোনালেন অন্য এক কথা।
যদি সাত দিনের মধ্যে চাকরি যোগার করতে পারি তবেই নাকি তিনি সব মেনে নেবেন।
উনার এমন কথা শোনার পর মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল।
যেখানে সাত বছর ধরে চাকরির পেছনে এত ছোটাছুটির পরেও কোন লাভ হয় নি, সেখানে সাত দিনের মধ্যে কিভাবে সম্ভব?
আমার চুপ করে থাকা দেখে প্রিয়তীর বাবা বলে উঠেছিলেন,
"জানি পারবে না। শুধোশুধি সময় নষ্ট না করে বাসায় ফিরে যাও। আর হ্যাঁ, যদি
আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কোন প্রকার চেষ্টা করো তবে তোমার ফ্যামিলি কিন্তু বিপদে পরে যেতে পারে। তোমার ফ্যামিলির মান সম্মান তোমার হাতে। কথাটা কিন্তু মাথায় রেখো।"
উনার এমন সুক্ষ্ম কথার চাল সেদিন আমাকে দূর্বল করে দিয়েছিল। আমাকে সত্যিই আমার ফ্যামিলির
কথা খুব করে ভাবাচ্ছিল।
জবাবে তিনি আমায় শোনালেন অন্য এক কথা।
যদি সাত দিনের মধ্যে চাকরি যোগার করতে পারি তবেই নাকি তিনি সব মেনে নেবেন।
উনার এমন কথা শোনার পর মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল।
যেখানে সাত বছর ধরে চাকরির পেছনে এত ছোটাছুটির পরেও কোন লাভ হয় নি, সেখানে সাত দিনের মধ্যে কিভাবে সম্ভব?
আমার চুপ করে থাকা দেখে প্রিয়তীর বাবা বলে উঠেছিলেন,
"জানি পারবে না। শুধোশুধি সময় নষ্ট না করে বাসায় ফিরে যাও। আর হ্যাঁ, যদি
আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কোন প্রকার চেষ্টা করো তবে তোমার ফ্যামিলি কিন্তু বিপদে পরে যেতে পারে। তোমার ফ্যামিলির মান সম্মান তোমার হাতে। কথাটা কিন্তু মাথায় রেখো।"
উনার এমন সুক্ষ্ম কথার চাল সেদিন আমাকে দূর্বল করে দিয়েছিল। আমাকে সত্যিই আমার ফ্যামিলির
কথা খুব করে ভাবাচ্ছিল।
খুব ছোট্ট ঘরের ছোট্ট একটা ফ্যামিলি আমাদের। আর সেই ছোট্ট ঘরের আমার আদর্শ যিনি, মানে আমার বাবা যিনি দিনরাত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের জন্য রোজগার করছেন।
অন্যদিকে আমার দেবীর মতো মা তিনিও
ঘরে বসে নেই। বাবার স্বল্প আয়ে আমাদের ছোট্ট
সংসারটা চলে না বলে তিনি ঘরের বাহিরে
গিয়ে কাজ নিয়েছেন। অনেক কষ্ট করে আমাদের দুই ভাইকে মানুষ করছেন। নিজ চোখে দুজনের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে দেখেছি। এই বেকারত্ব জীবনে উনাদের সুখের মুখ দেখানোর জন্য
লড়ে যাচ্ছি। আমাকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন।
আমাদের মত মধ্যবিত্তদের মানসম্মান ছাড়া যে
আর কোন সম্পদ নেই।😑
তবুও সেই মুহুর্তে প্রিয়তীর মায়াভরা মুখটা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল। আমি কোথা থেকে যেন একটু সাহস নিয়ে বলতে পেরেছিলাম,
"পালিয়ে গিয়ে নয় চাকরি যোগার করে সবার সামনে দিয়ে-ই আমি আমার ভালোবাসাকে জিতে নেব।"
অন্যদিকে আমার দেবীর মতো মা তিনিও
ঘরে বসে নেই। বাবার স্বল্প আয়ে আমাদের ছোট্ট
সংসারটা চলে না বলে তিনি ঘরের বাহিরে
গিয়ে কাজ নিয়েছেন। অনেক কষ্ট করে আমাদের দুই ভাইকে মানুষ করছেন। নিজ চোখে দুজনের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে দেখেছি। এই বেকারত্ব জীবনে উনাদের সুখের মুখ দেখানোর জন্য
লড়ে যাচ্ছি। আমাকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন।
আমাদের মত মধ্যবিত্তদের মানসম্মান ছাড়া যে
আর কোন সম্পদ নেই।😑
তবুও সেই মুহুর্তে প্রিয়তীর মায়াভরা মুখটা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল। আমি কোথা থেকে যেন একটু সাহস নিয়ে বলতে পেরেছিলাম,
"পালিয়ে গিয়ে নয় চাকরি যোগার করে সবার সামনে দিয়ে-ই আমি আমার ভালোবাসাকে জিতে নেব।"
আমি জানি ৭দিনের মধ্যে চাকরি যোগার করা মুখের কথা নয় তবুও আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম। আমাকে যে ওকে জিতে নিতে হবে। কিন্তু আমি হেরে গিয়েছিলাম। যখন চাকরির জন্য অফিসাররা ঘুষ হিসেবে ৫লাখ টাকা দাবী করেছিল ঠিক তখন-ই হেরে গিয়েছিলাম।😑
নিজের ভালোবাসার কাছে এভাবে হেরে যাবো ভাবি নি। এই হেরে যাওয়া মুখ নিয়ে প্রিয়তীর সামনে আমি কিভাবে দাঁড়াবো? তাই ওর থেকে নিজেকে আড়াল রেখেছিলাম। কিন্তু ও আমায় ঠিকিই খুঁজে নিয়েছিল। পাগলীটা আমার হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল,
-- আমাকে নিয়ে পালিয়ে চলো প্লিজ।
কিন্তু আমি ওর কথা শুনে চুপ ছিলাম। কিছুই বলতে পারি নি। আমার নীরবতা দেখে ও আরো জোর গলায় বলেছিল,
-- যদি সত্যিই আমাকে ভালোবেসে থাকো তবে
আমাকে নিয়ে আজ-ই যাও। আমার বিয়ে হয়ে যাবে তুমি কেন বুঝতে পারছো না? আমি তোমাকে ছাড়া
থাকতে পারবো না নীল।
এর পরেও আমি চুপ ছিলাম। ও কান্না থামিয়ে দিয়ে
চোখ মুছতে মুছতে বলেছিল,
-- আমাকে চাও না তাই না? ঠিক আছে আমিও চলে যাচ্ছি। বিয়ের জন্য বাবাকে হ্যাঁ বলে দিব। তারপর আমাকে আর খুঁজে পাবে না।
এই বলে রাগ দেখিয়ে মেয়েটা সেদিন চলে গিয়েছিল। আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ওকে একবারো আটকানোর চেষ্টা করি নি।
কিভাবেই বা আটকাতাম?
নিজের ভালোবাসার কাছে এভাবে হেরে যাবো ভাবি নি। এই হেরে যাওয়া মুখ নিয়ে প্রিয়তীর সামনে আমি কিভাবে দাঁড়াবো? তাই ওর থেকে নিজেকে আড়াল রেখেছিলাম। কিন্তু ও আমায় ঠিকিই খুঁজে নিয়েছিল। পাগলীটা আমার হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল,
-- আমাকে নিয়ে পালিয়ে চলো প্লিজ।
কিন্তু আমি ওর কথা শুনে চুপ ছিলাম। কিছুই বলতে পারি নি। আমার নীরবতা দেখে ও আরো জোর গলায় বলেছিল,
-- যদি সত্যিই আমাকে ভালোবেসে থাকো তবে
আমাকে নিয়ে আজ-ই যাও। আমার বিয়ে হয়ে যাবে তুমি কেন বুঝতে পারছো না? আমি তোমাকে ছাড়া
থাকতে পারবো না নীল।
এর পরেও আমি চুপ ছিলাম। ও কান্না থামিয়ে দিয়ে
চোখ মুছতে মুছতে বলেছিল,
-- আমাকে চাও না তাই না? ঠিক আছে আমিও চলে যাচ্ছি। বিয়ের জন্য বাবাকে হ্যাঁ বলে দিব। তারপর আমাকে আর খুঁজে পাবে না।
এই বলে রাগ দেখিয়ে মেয়েটা সেদিন চলে গিয়েছিল। আমি শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। ওকে একবারো আটকানোর চেষ্টা করি নি।
কিভাবেই বা আটকাতাম?
আমি যে হেরে গিয়েছি। এ সমাজ আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। ওরা বলে কাউকে নাকি সারাজীবন আগলে রাখতে হলে যগ্যতার দরকার হয়, একটা ভালো চাকরির দরকার হয়। 😑
ওরা কেন বুঝলো না ভালোবাসা দিয়েও যে একটা মানুষকে আগলে রাখা যায়,তাকে সুখী করা যায়।
তিন বেলার জাগায় এক বেলা খেয়েও
দিন পার করা যায়।
আমি তো তাই চেয়েছিলাম। ওকে নিয়ে সবার সামনে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চেয়েছিলাম।
ওকে নিয়ে ছোট্ট একটা সংসার পাততে চেয়েছিলাম। আমার মা-বাবাকে একটা লক্ষ্ণী বউমা উপহার দিতে চেয়েছিলাম।
পালিয়ে নিয়ে গিয়ে নিজের ফ্যামিলিকে এভাবে বিপদে ফেলে সুখী হতে চাই নি।
কিন্তু এ সমাজ তা বুঝলো না, তাই তো আজ নিজেকেই বুঝিয়ে নিয়েছি। আসলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ভালোবাসা নয় ।😑
ওই যে দূর থেকে প্রিয়তীর বিয়ের গাড়ি দেখা যাচ্ছে।
ওই গাড়িতে অন্য কারোর বউ যাচ্ছে আর আমার বেঁচে থাকার স্বপ্নটাও চলে যাচ্ছে।😑 আমি চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছি। আমার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে গিয়েও পড়ছে না। শুধু দীর্ঘ আখিঁপল্লবে মুক্তোর মত জমা হয়ে আছে।
আমি ঝাপসা চোখে ওর চলে যাওয়াটা দেখছি আর বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। 😑এই প্রিয়তী তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও প্লিজ। আমি হেরে গিয়েছি
প্রিয়তী। সত্যিই হেরে গিয়েছি।
আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো। হ্যাঁ পরের জন্ম পর্যন্ত তোমার জন্যই-ই অপেক্ষা করবো। তুমি ভালো থেকো প্রিয়তী। দূর থেকে তোমার জন্য প্রার্থনা করবো। তুমি চলে যাওয়ার পর পর-ই সবাই জানবে,
এ শহরের ওলিতে গলিতে তোমার আর আমার একটা গল্প ছিল ।
ওরা কেন বুঝলো না ভালোবাসা দিয়েও যে একটা মানুষকে আগলে রাখা যায়,তাকে সুখী করা যায়।
তিন বেলার জাগায় এক বেলা খেয়েও
দিন পার করা যায়।
আমি তো তাই চেয়েছিলাম। ওকে নিয়ে সবার সামনে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চেয়েছিলাম।
ওকে নিয়ে ছোট্ট একটা সংসার পাততে চেয়েছিলাম। আমার মা-বাবাকে একটা লক্ষ্ণী বউমা উপহার দিতে চেয়েছিলাম।
পালিয়ে নিয়ে গিয়ে নিজের ফ্যামিলিকে এভাবে বিপদে ফেলে সুখী হতে চাই নি।
কিন্তু এ সমাজ তা বুঝলো না, তাই তো আজ নিজেকেই বুঝিয়ে নিয়েছি। আসলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ভালোবাসা নয় ।😑
ওই যে দূর থেকে প্রিয়তীর বিয়ের গাড়ি দেখা যাচ্ছে।
ওই গাড়িতে অন্য কারোর বউ যাচ্ছে আর আমার বেঁচে থাকার স্বপ্নটাও চলে যাচ্ছে।😑 আমি চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছি। আমার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে গিয়েও পড়ছে না। শুধু দীর্ঘ আখিঁপল্লবে মুক্তোর মত জমা হয়ে আছে।
আমি ঝাপসা চোখে ওর চলে যাওয়াটা দেখছি আর বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। 😑এই প্রিয়তী তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও প্লিজ। আমি হেরে গিয়েছি
প্রিয়তী। সত্যিই হেরে গিয়েছি।
আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো। হ্যাঁ পরের জন্ম পর্যন্ত তোমার জন্যই-ই অপেক্ষা করবো। তুমি ভালো থেকো প্রিয়তী। দূর থেকে তোমার জন্য প্রার্থনা করবো। তুমি চলে যাওয়ার পর পর-ই সবাই জানবে,
এ শহরের ওলিতে গলিতে তোমার আর আমার একটা গল্প ছিল ।
না পাওয়ার গল্প।😑😑😑😑😑😑
প্রকাশনায়ঃ--------
"মধু'র ভূবণ
COMMENTS