bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, sera golpo, sera bani, love quate, ltop bangla poem, recent bangla abrritti, best bang
বেখেয়ালি মন ------৪র্থ পর্ব
লেখাঃ- আফরিন ইভা
_______________
-সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি আর শিশির ভাই বের হলাম।
দু'জন বের হয়ে রিকশার জন্য কিছুক্ষণ ওয়েট করতে লাগলাম।
বিয়াইন সাহেবা আপনি যেভাবে সবার থেকে বিদায় নিয়ে আসলেন, আমি ভেবেছি আপনি হয়তো আজ আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ভেগে যাবেন।
_______________
-সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি আর শিশির ভাই বের হলাম।
দু'জন বের হয়ে রিকশার জন্য কিছুক্ষণ ওয়েট করতে লাগলাম।
বিয়াইন সাহেবা আপনি যেভাবে সবার থেকে বিদায় নিয়ে আসলেন, আমি ভেবেছি আপনি হয়তো আজ আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ভেগে যাবেন।
-"আমি মনে মনে হাসলাম।"
-"বিয়াইন যা রোদ পড়েছে, আমি তো ভাবছি আপনাকে নিয়ে।"
-কেনো আমাকে নিয়ে ভাবার কী আছে?
ওমা বিয়াইন আপনারা কী ফাউন্ডেশন,ফেইসপাউডার লাগিয়ে বিড়ালের মতো আলগা মুখ লাগান না, পরে দেখা যায় এগুলো লাগিয়ে রোদে গেলে সুইজারল্যান্ডের মতো বরফ গলে গলে চর্বির মতো পড়তে থাকে।
-"বিয়াইন যা রোদ পড়েছে, আমি তো ভাবছি আপনাকে নিয়ে।"
-কেনো আমাকে নিয়ে ভাবার কী আছে?
ওমা বিয়াইন আপনারা কী ফাউন্ডেশন,ফেইসপাউডার লাগিয়ে বিড়ালের মতো আলগা মুখ লাগান না, পরে দেখা যায় এগুলো লাগিয়ে রোদে গেলে সুইজারল্যান্ডের মতো বরফ গলে গলে চর্বির মতো পড়তে থাকে।
আপনারা তখন ময়দা সুন্দরী থেকে ডাইনী সুন্দরী হয়ে যান। আর আপনাদের দেখে যারা যারা ক্রাশ খেয়েছে তাঁরাই পেত্নী পেত্নী বলে বেহুঁশ টেহুঁশ হয়ে যায়।
এখনতো মেয়ে দেখতে গিয়েও কতো ধোঁকা খেতে হচ্ছে আমাদের।
পাত্রী দেখতে গেলে মেয়ের মুখ হয় চাঁদের মতো সুন্দরী, কিন্তু বাসর ঘরে এনে দেখে বান্দরনী।
আমি চিন্তা করেছি আমার জন্য মেয়ে দেখতে গেলে আপনাকে নিয়ে যাবো।
এখনতো মেয়ে দেখতে গিয়েও কতো ধোঁকা খেতে হচ্ছে আমাদের।
পাত্রী দেখতে গেলে মেয়ের মুখ হয় চাঁদের মতো সুন্দরী, কিন্তু বাসর ঘরে এনে দেখে বান্দরনী।
আমি চিন্তা করেছি আমার জন্য মেয়ে দেখতে গেলে আপনাকে নিয়ে যাবো।
বুঝতেই পারছেন আমি আমার বউয়ের জন্য কতোটা সিরিয়াস। আপনি আমার কাছের মানুষ থাকতে কেনও অন্যকে আমার বউয়ের খুঁটিনাটি বিষয় যাচাই করাতে নেব।
আপনি ভালো একটা ফেইসওয়াশ কিনে নিয়ে যাবেন, এই ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে দেখবেন কোনো ধরনের চিটিং করা হয়েছে কি-না?
আপনি ভালো একটা ফেইসওয়াশ কিনে নিয়ে যাবেন, এই ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে দেখবেন কোনো ধরনের চিটিং করা হয়েছে কি-না?
-আমিতো মনে মনে চিন্তা করে রেখেছি এই কূটবুদ্ধিওয়ালা লোকের ভাগ্যে বউ আছে কি-না সন্দেহ, কিন্তু বউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে দেখতে উনি বেহুঁশ।
একটা রিকশা আসতে দেখে শিশির ভাই রিকশাওয়ালা কে ডাকলো,দু'জনই রিকশায় উঠে পড়লাম। কিন্তু রিকশায় উঠে এক বিপত্তি ঘটলো।
রিকশায় দুজনেরই বসতে একটু কষ্ট হচ্ছে।
একটা রিকশা আসতে দেখে শিশির ভাই রিকশাওয়ালা কে ডাকলো,দু'জনই রিকশায় উঠে পড়লাম। কিন্তু রিকশায় উঠে এক বিপত্তি ঘটলো।
রিকশায় দুজনেরই বসতে একটু কষ্ট হচ্ছে।
-"শিশির ভাই বলে উঠলো, ওহ্ প্রিয়ন্তী বিয়াইন আপনি কী মোটা হয়ে গেলেন না-কি? উনি আবার বললো , রিকশা চলতে চলতে যদি দু'জন বসতে বেশি প্রবলেমে পড়ি তাহলে আপনাকে আমি কোলে নিয়ে নিব, আপনি তো আমার সাক্ষাৎ বিয়াইন বলে চোখ টিপ মারলো।"
আমি চমকে উঠে বললাম, নাহ আমার কোনো প্রবলেম হবেনা, চলুন।
-"ওহ্ বিয়াইন এতো ভয় পাচ্ছেন কেনো? আপনি জানেন আমার হাত ধরার জন্য কতো মেয়ে বসে আছে, আর আপনার কী সৌভাগ্য যে আমি আপনাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।"
আমি মনে মনে হাসলাম আহারে আমার কী দূর্ভাগ্য এই পেত্নীর বরের সাথে ঘুরতে আসতে হলো। পেত্নী ছাড়া উনার কপালে ভালো আর কী আছে।
-"ওহ্ বিয়াইন এতো ভয় পাচ্ছেন কেনো? আপনি জানেন আমার হাত ধরার জন্য কতো মেয়ে বসে আছে, আর আপনার কী সৌভাগ্য যে আমি আপনাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।"
আমি মনে মনে হাসলাম আহারে আমার কী দূর্ভাগ্য এই পেত্নীর বরের সাথে ঘুরতে আসতে হলো। পেত্নী ছাড়া উনার কপালে ভালো আর কী আছে।
-"এখন আমার কোলে বসতে প্রবলেম, কিন্তু যখন বিয়ে হবে তখনতো জামাইয়ের কোলে উঠার জন্য শত-শত বায়না ধরবেন, তাতো ভালোই জানি।"
-আমি বললাম না আমার এতো শখ নেই কারোর কোল চড়বার। আপনিই ভাবি কে কোলে নিয়েন।
-"ওমা সে-কি আর বলতে, আমারতো অনেক ইচ্ছে বউকে কোলে নিব,পায়ে নেইলপলিশ লাগিয়ে, পায়ে আলতা দিয়ে, একখানি সুন্দর পায়েল জড়িয়ে ওর পায়ে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিবো।আমার মনে হয় বিয়াইন আপনি বাসর ঘরেই আপনার জামাই কে দিয়ে পা টেপাবেন, চা বানিয়ে আনাবেন, পারলে বাচ্চাটাও আপনি না নিয়ে আপনার জামাইয়ের পেটে দিয়ে দিবেন।"
কেনো শিশির ভাই আমাকে কী এতোটাই খারাপ মেয়ে বলে মনে হয়?
-আমি বললাম না আমার এতো শখ নেই কারোর কোল চড়বার। আপনিই ভাবি কে কোলে নিয়েন।
-"ওমা সে-কি আর বলতে, আমারতো অনেক ইচ্ছে বউকে কোলে নিব,পায়ে নেইলপলিশ লাগিয়ে, পায়ে আলতা দিয়ে, একখানি সুন্দর পায়েল জড়িয়ে ওর পায়ে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিবো।আমার মনে হয় বিয়াইন আপনি বাসর ঘরেই আপনার জামাই কে দিয়ে পা টেপাবেন, চা বানিয়ে আনাবেন, পারলে বাচ্চাটাও আপনি না নিয়ে আপনার জামাইয়ের পেটে দিয়ে দিবেন।"
কেনো শিশির ভাই আমাকে কী এতোটাই খারাপ মেয়ে বলে মনে হয়?
-"আপনি আমাকে শিশির ভাই বললেন, কখন না জানি, দাদা,চাচা,কাকাও বানিয়ে ফেলেন।আপনাদের মেয়েদেরকে বিশ্বাস নেই, যখন কোনো ছেলে একটা মেয়েকে প্রপোজ করে, আপনারা ওদেরকে ভাই,কাকুও ডাকতে শুরু করেন।আপনাদের কাজই হচ্ছে ছেলেদেরকে পেছন পেছন ঘুরানো,ছেলেদের ঘুরাঘুরি শেষ হলে আপনারা ওদের কে ভাই বলে ওদের মাথা ঘুরিয়ে দেন।"
-আমি মনে মনে ভাবছি, উনাকে ভাই বলবো নাতো কী বলবো? তাহলে কী উনিও আমাকে পছন্দ করেন, নাহ কীসব আবল,তাবল ভাবছি, পছন্দ করলে তো আমাকে কথায় কথায় অপমান করতোনা।
আমার সব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে শিশির ভাই বললো, বিয়াইন নামেন আমরা এসে গেছি। আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি অনেক সুন্দর জায়গাটার দিকে।
-"কী ব্যাপার বিয়াইন নামবেন, নাকি? কোলে নিয়ে নামাতে হবে? আমার পক্ষে কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়, আপনি আলুর বস্তার মতো যা ওজন, আমার হাড্ডি গুড্ডি ভেঙে সব গুঁড়ো হয়ে যাবে। হাত ধরে নামাতে পারি আসেন।"
আমার সব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে শিশির ভাই বললো, বিয়াইন নামেন আমরা এসে গেছি। আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি অনেক সুন্দর জায়গাটার দিকে।
-"কী ব্যাপার বিয়াইন নামবেন, নাকি? কোলে নিয়ে নামাতে হবে? আমার পক্ষে কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়, আপনি আলুর বস্তার মতো যা ওজন, আমার হাড্ডি গুড্ডি ভেঙে সব গুঁড়ো হয়ে যাবে। হাত ধরে নামাতে পারি আসেন।"
আমিও বাধ্য হয়ে হাত দিলাম, কারণ কখন শাড়িতে পেচিয়ে পড়েটড়ে যাই তাঁর কী ঠিক আছে, পরে দেখা যাবে আমার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আমার ছেলেমেয়ের সামনেও এ-ই কথা বলে লজ্জা দিতে কুণ্ঠিত হবেন না। এই লোকের কী কোনো কিছু ঠিক আছে, সব জায়গায় জায়গায় এটমবোমা বিস্ফোরণ করা চাই চাই।
আমার হাতখানা ধরে নামালো পরম যত্নে। রিকশা ভাড়া মিটিয়ে আমার হাত ধরে নদীর পারে নিয়ে যাচ্ছে, আমার তো জায়গাটা বেশ পছন্দই হলো, কী মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, দেখেই প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। আমি তো অবাক চোখে শিশির কে দেখছি, আমার হাত এখনো ধরে আছে দেখে, নিজেকে আজ শিশির ভাইয়ের ত্রিভূবনের নায়িকা নায়িকা মনে হচ্ছে।
আমার সব ভাবনার স্বপ্ন ভাঙিয়ে শিশির ভাই বললো, বিয়াইন আপনাকে দেখতে এতো চিকন মনে হলেও আপনি মোটেই ওজনে কম নয়। আমার মনে হয়, আপনি ছোটবেলায় সারাদিন, রাত পাতলা পায়খানার রোগী ছিলেন। এ জন্যই শরীর শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে, আর ওজনে দেখা যায় পঞ্চাশ কেজি কিন্তু ওজনে হয়ে আছেন আশি কেজি।
-"আশি কেজির কথা শুনে দুই-তিন ঢোক গিললাম, কী বলে এই লোক, কোথায় একটু রোমাঞ্চকর কথা বলবে, আমি নিজেকে একটু নায়িকা ভাবলাম আর আমাকে অপমান করে ছাই বানিয়ে ছাড়লো। অজান্তেই চোখের কোণে একটু জল এসে ভিজে গেলো।"
আমাকে নিরব থাকতে দেখে শিশির ভাই বললো কী ব্যাপার বিয়াইন আপনি কী আমার সাথে দেমাগ দেখাচ্ছেন, এসব দেমাগি মেয়েদের কিন্তু আমার একটুও পছন্দ নয় ইচ্ছে করে ওদের দেমাগ গুলো কেজি দুইটাকা দরে বিক্রি করে ভিক্ষুককে দান করে দিতে।
আমাকে নিরব থাকতে দেখে শিশির ভাই বললো কী ব্যাপার বিয়াইন আপনি কী আমার সাথে দেমাগ দেখাচ্ছেন, এসব দেমাগি মেয়েদের কিন্তু আমার একটুও পছন্দ নয় ইচ্ছে করে ওদের দেমাগ গুলো কেজি দুইটাকা দরে বিক্রি করে ভিক্ষুককে দান করে দিতে।
আমি নিজেকে সংযত রেখে বললাম, তা নয় শিশির ভাই, চুপচাপ থাকা আমার স্বভাব।
শুনেন বিয়াইন এসব স্বভাব বলে কিছু নেই, এগুলো হচ্ছে ইবলিশ শয়তানের বনিতা। বনিতা করা মেয়েগুলো গিরগিটির মতো রঙ বদলায়। আমার তো ইচ্ছে করে এগুলোকে রাক্ষসদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতে।
শুনেন বিয়াইন এসব স্বভাব বলে কিছু নেই, এগুলো হচ্ছে ইবলিশ শয়তানের বনিতা। বনিতা করা মেয়েগুলো গিরগিটির মতো রঙ বদলায়। আমার তো ইচ্ছে করে এগুলোকে রাক্ষসদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতে।
দু'জন হাঁটতে হাঁটতে কিছুদূর এগিয়ে যেতেই আমি জিজ্ঞেস করলাম আচ্ছা শিশির ভাই আপনি কী কখনো প্রেম করেছেন?
কেনো বিয়াইন প্রেম করলেই বুঝি পুরুষরা মহাপুরুষ হয়ে যায়, আর প্রেম না করলে বুঝি, ছাগল চড়ানো রাখাল হয়ে যায়। আর হ্যাঁ আমি কখনো কোনো প্রেম করি নি, আমি আগে থেকেই ভবিষ্যৎ চিন্তা করে রেখেছি, বিয়ের পরেই বউয়ের আঁচল ধরে ধরে থাকবো। বউকে তো কখনোই বাপের বাড়ি বেড়াতেও যেতে দেবোনা। আমার বন্ধুরা কী বলে জানেন, আমি নাকি বউকে কোলে নিয়ে নিয়ে হাঁটবো। আমি তো ওদের একশো বার বলি, আমার বউকে আমি কোলে নিয়ে হাঁটি, না পিঠে নিয়ে হাঁটি তাতে তোদের এতো জ্বলে কেনো?
কেনো বিয়াইন প্রেম করলেই বুঝি পুরুষরা মহাপুরুষ হয়ে যায়, আর প্রেম না করলে বুঝি, ছাগল চড়ানো রাখাল হয়ে যায়। আর হ্যাঁ আমি কখনো কোনো প্রেম করি নি, আমি আগে থেকেই ভবিষ্যৎ চিন্তা করে রেখেছি, বিয়ের পরেই বউয়ের আঁচল ধরে ধরে থাকবো। বউকে তো কখনোই বাপের বাড়ি বেড়াতেও যেতে দেবোনা। আমার বন্ধুরা কী বলে জানেন, আমি নাকি বউকে কোলে নিয়ে নিয়ে হাঁটবো। আমি তো ওদের একশো বার বলি, আমার বউকে আমি কোলে নিয়ে হাঁটি, না পিঠে নিয়ে হাঁটি তাতে তোদের এতো জ্বলে কেনো?
উনার এসব বউ পাগল কথা শুনতে শুনতে পাগল হয়ে পাবনা যাওয়ার উপক্রম আমার। আমি কথা ঘুরানোর জন্য বললাম শিশির ভাই চলুন আমরা একটু নদীর ধারে হাঁটতে যাই, নদীর ধারে হাঁটতে আমার ভীষণ ভালো লাগে, আমার না নদীতে সাতার কাটতে ভীষণ মন চায়, কিন্তু দূর্ভাগ্য আমার, আমি সাঁতার 'ই' কাটতে পারি না।
বিয়াইন আপনি যদি বলেন, আমি এখুনি আপনাকে নিয়ে সাঁতার কাটতে পারি, আপনি কী আমার সাথে পানিতে নামবেন?
বিয়াইন আপনি যদি বলেন, আমি এখুনি আপনাকে নিয়ে সাঁতার কাটতে পারি, আপনি কী আমার সাথে পানিতে নামবেন?
আমিতো সেই রকম খুশি। শেষ পর্যন্ত বুঝি শিশির ভাইয়ের একটু হলেও আমার জন্য সহানুভূতি হলো, আমি উৎফুল্ল হয়ে বললাম সত্যি কী আমাকে নিয়ে সাতার কাটবেন?
সত্যি তো নামতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনাকে নিয়ে যদি নামি আমি নিজেই ডুবে গিয়ে অক্কা পাবো। আমার আর টোনাটুনির বাপ ডাকা শুনা হবে না।
হাওয়াই মিঠাই দেখে আমি বললাম শিশির ভাই আমাকে হাওয়াই মিঠাই কিনে দেন না।
এই আপনি কী পিচ্চি যে হাওয়াই মিঠাই খেয়ে হাওয়ার সাথে উড়ে বেড়াবেন। তবে কিনে দিতেই পারি, আপনি পিচ্চি থেকেও কম নয়।
সত্যি তো নামতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনাকে নিয়ে যদি নামি আমি নিজেই ডুবে গিয়ে অক্কা পাবো। আমার আর টোনাটুনির বাপ ডাকা শুনা হবে না।
হাওয়াই মিঠাই দেখে আমি বললাম শিশির ভাই আমাকে হাওয়াই মিঠাই কিনে দেন না।
এই আপনি কী পিচ্চি যে হাওয়াই মিঠাই খেয়ে হাওয়ার সাথে উড়ে বেড়াবেন। তবে কিনে দিতেই পারি, আপনি পিচ্চি থেকেও কম নয়।
শেষ পর্যন্ত শিশির ভাই কী মনে করে আমাকে হাওয়াই মিঠাই কিনে দিলো।আমি হাত বাড়িয়ে উনার দিকে হাওয়াই মিঠাই ধরলে উনি বললেন, বিয়াইন আপনিই বেশি করে খেয়ে খেয়ে একটু ওজন বাড়ান, নয়তো কখন হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো হাওয়া হয়ে চলে যান।
আমি আর শিশির ভাই আরো কিছুক্ষণ ঘ ঘুরাঘুরি করে বাসায় ফিরে আসলাম।বাসায় ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে
আমি আর শিশির ভাই আরো কিছুক্ষণ ঘ ঘুরাঘুরি করে বাসায় ফিরে আসলাম।বাসায় ফিরে এসে ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে
ডিনার শেষ করে ঘুমুতে গেলাম।
শিশির ভাই ফাজলামো করলেও আজ যে ঘুরাতে নিয়ে গেছে সেটাই অনেক। যাক শিশির ভাই খারাপ হলেও এতোটাও খারাপ না। আমি যেই লাইটটা নিবিয়ে আসলাম হঠাৎ লাইটটা কে যেনো জ্বালিয়ে দিলো। মহাবিরক্ত নিয়ে আমি তাকিয়ে দেখলাম শিশির ভাই। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম, মনে মনে বললাম, শয়তানকা নাম নিয়া শয়তান হাজির হে।আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এতো রাতে?
কেনো বিয়াইন অন্য কাউকে আশা করছিলেন নাকি?
-আমি জবাব দিলাম, না আসলে তা নয়।
তাহলে আমাকে কী এতো রাতে দেখে ভয়
পেয়েছেন নাকি? আমি কী রাক্ষশ আপনাকে খেয়ে ফেলবো?
-"শিশির ভাই আসলে তা নয়।"
শিশির ভাই ফাজলামো করলেও আজ যে ঘুরাতে নিয়ে গেছে সেটাই অনেক। যাক শিশির ভাই খারাপ হলেও এতোটাও খারাপ না। আমি যেই লাইটটা নিবিয়ে আসলাম হঠাৎ লাইটটা কে যেনো জ্বালিয়ে দিলো। মহাবিরক্ত নিয়ে আমি তাকিয়ে দেখলাম শিশির ভাই। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম, মনে মনে বললাম, শয়তানকা নাম নিয়া শয়তান হাজির হে।আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এতো রাতে?
কেনো বিয়াইন অন্য কাউকে আশা করছিলেন নাকি?
-আমি জবাব দিলাম, না আসলে তা নয়।
তাহলে আমাকে কী এতো রাতে দেখে ভয়
পেয়েছেন নাকি? আমি কী রাক্ষশ আপনাকে খেয়ে ফেলবো?
-"শিশির ভাই আসলে তা নয়।"
আমি তোমাকে এতো রাতে আসল, নকল চিনাইতে আসি নি, এখন আমি যা বলবো তুমি শুনে মহাখুশি হয়ে যাবে।
আমি তো শিশির ভাইয়ের কথা শুনে অনেক খুশি হয়ে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
শিশির ভাই বললো আমি জানি আপনার রান্নার হাত অনেক ভালো হবে, তো হয়ে যাক প্রমাণ সবাই কে দেখিয়ে দাও। আগামীকাল আমার কিছু ফ্রেন্ড আসবে, আমি সবাইকে উৎসুক হয়ে বলেছি আমার বিয়াইন তোদের সবাইকে মজা করে রান্না করে খাওয়াবে, এমন রান্না করেই খাওয়াবে তোরা খেয়ে ওর হাত খেতেও পাগল হয়ে যাবি।
-আমি কী কাঁদবো,নাকি মনের দুঃখে পালিয়ে যাবো সেটাই বুঝতেছি না।
চলবে ______
আমি তো শিশির ভাইয়ের কথা শুনে অনেক খুশি হয়ে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
শিশির ভাই বললো আমি জানি আপনার রান্নার হাত অনেক ভালো হবে, তো হয়ে যাক প্রমাণ সবাই কে দেখিয়ে দাও। আগামীকাল আমার কিছু ফ্রেন্ড আসবে, আমি সবাইকে উৎসুক হয়ে বলেছি আমার বিয়াইন তোদের সবাইকে মজা করে রান্না করে খাওয়াবে, এমন রান্না করেই খাওয়াবে তোরা খেয়ে ওর হাত খেতেও পাগল হয়ে যাবি।
-আমি কী কাঁদবো,নাকি মনের দুঃখে পালিয়ে যাবো সেটাই বুঝতেছি না।
চলবে ______
প্রকাশনায়ঃ-------মধু'র ভূবণ
COMMENTS