bangla sera galpo, bangla upponnash, bangla poem, bangla novel, premer golpo, sera bani, love quate, top bangla poem, recent abrritti, best poettry,
মুহাম্মদ জাফর ইকবালের চারটি কবিতা-
ডিজিটাল বন্ধু---------
পিংকিকে জিজ্ঞেস করে সুজন
বল তো মেয়ে বন্ধু তোমার ক’জন?
পিংকি বলে, হ্যাঁ
একজনই তো,পাশের বাসার মেয়ে।
শুনে সুজন হা হা করে হাসে
চোখ দুটো তার বড় হল ঘোর অবিশ্বাসে।
মাত্র একজন,কী আজব ব্যাপার
বন্ধু আমার পাকা সাতাশ হাজার!
ফেসবুকে তাদের সাথেই থাকি
বন্ধু ছাড়া এই জীবনের অর্থ আছে নাকী?
আমি যখন স্ট্যাটাস দিতে চাই,
দেবার আগেই শত শত লাইক পেয়ে যাই।
পিংকি শুনে অবাক হল ভারি
বাসায় তখন ফিরল তাড়াতাড়ি।
বন্ধু মেয়েটির গলা ধরে বলে
তুই কথা দে আমার কিছু হলে,
তুই থাকবি আমার পাশে পাশে
শুনে বন্ধু হি হি করে হাসে।
হেসে হেসে বলে,
হঠাৎ করে যাসনে যেন চলে।
ধরতে পারি ছুঁতে পারি একটা বন্ধু চাই
ডিজিটাল হাজার বন্ধুর কোনো দরকার নাই!
======
বেআইনি কাজ--------
গতরাতে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে মতিকে
ধরতে তো পারেই,খবর পেয়ে গেছো কোনো এক গতিকে।
একটা বেআইনি কাজ করেছে মতি,করেছে সে গোপনে
কেন যে করতে গেল!কে জানে কী ছিল তার মনে।
কাজটা যে বেআইনি সেটা তো গোপন কিছু নয়
মতি কেন করতে গেল,বুকে তার নাই এতোটুকু ভয়?
না জানি কার পাল্লায় পড়েছিল আমাদের বোকা সোকা মতি
এখন তাকে কে বাঁচাবে?কে বলবে,কী হবে তার গতি?
মতির এই সর্বনাশ খবর শুনে সবার মাথায় বাজ
জানত না সে,শূন্য দিয়ে ভাগ দেওয়া বেআইনি কাজ?
======
ভালোবাসা----------
যাদের আছে টাকা
সবাইকে দিতে তাদের পকেট হল ফাঁকা।
আমার কিছুই নেই
কেমন করে কাউকে কিছু দেই?
শুধু জানি বুকের ভিতর ঠাসা
আছে শুধু সলিড ভালোবাসা।
সেখান থেকে তোমায় দিলাম কিছু
যখন তুমি হেঁটে এলে আমার পিছু পিছু।
পথের পাশে ছোট মেয়েটা বিক্রি করে ফুল
তাকেও কিছু দিতে হল হয়নি কোনো ভুল।
বুকের থেকে ভালোবাসা খাবলা দিয়ে নেই
ছোট ভাইটা দুষ্টু ভারি তাকে কিছু দেই।
মা’কে দিলাম আঁচলখানা ভরে
বাবার জন্য ঢেলে দিলাম রইল যেটুক পড়ে।
ভেবেছিলাম দিয়ে থুয়ে সবই বুঝি যাবে
ভালোবাসা খুঁজলে পরে আর কিছু কই পাবে?
কিন্তু দেখো অবাক ব্যাপার কতো
যত দিচ্ছি কমছে না তো,বাড়তে থাকে তত!
বুকের ভেতর এক্কেবারে ঠাসা
নূতন করে জমা হল সলিড ভালোবাসা।
======
রাজকন্যা ও রাজপুত্র ----------
গল্প পুরো সত্য!
গহীন এক জঙ্গলে থাকতো বড় দৈত্য।
ভাটার মত চোখ ছিল তার মুলার মত দাঁত
ঢেঁকির মত পা ছিল আর গাছের মত হাত।
সেই রাজ্যের রাজকন্যা কাজল কালো চোখ
রূপ দেখে তার মুগ্ধ ছিল রাজ্যের সব লোক।
একদিন সেই রাজকন্যা রাজপ্রাসাদের ছাদে
সখী নিয়ে কাজল বরণ চুলগুলো তার বাঁধে।
হাউ মাউ খাউ বলে হঠাৎ সেই দৈত্য ছুটে আসে
সখীরা সব পালায় ভয়ে রইল না কেউ পাশে।
দৈত্য তখন রাজকন্যার চুলের মুঠি ধরে
টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল জঙ্গলে তার ঘরে।
রাজকন্যা হারিয়ে গেছে রাজ্যে নামে শোক
মাথা চাপড়ে কাঁদতে থাকে রাজ্যের সব লোক।
ভিনদেশি এক রাজপুত্র খবর পেয়ে আসে
বলল তখন ভয় নেই গো আমি আছি পাশে।
পথে পথে ঘুরে বেড়ায় রাজপুত্র সেই
রাজকন্যা খুঁজে বেড়ায় কোথাও দেখা নেই।
বনের পশু, গাছের পাখি নদীর মাঝে মাছ
নীল আকাশে সাদা মেঘ বনের মাঝে গাছ।
রাজকন্যার হদিস নেই রাজ্যতে হই চই।
সবার শেষে গহীন বনে রাজপুত্র যায়
মৌমাছিদের মুখে তখন দৈত্যের খোঁজ পায়।
রাজপুত্র ছুটে চলল হাতে তলোয়ার
ভয়ংকর সেই দৈত্যকে মারতে হবে তার।
কী ভয়ানক যুদ্ধ হল নেই তুলনা তার
পাহাড় নদী পড়ল ধসে সবকিছু ছারখার
দৈত্য শেষে মারা পড়ল মাথা পড়ল কাটা
রক্ত মুছে রাজপুত্র করল শুরু হাঁটা।
ঘরের মাঝে বন্দি ছিল রাজকন্যা সেই
রাজপুত্র বলল তারে আর তো ভয় নেই।
রাজকন্যা মুক্ত হল মুখে মধুর হাসি
বলল, ওগো রাজপুত্র তোমায় ভালোবাসি।
গল্প শুনে মুগ্ধ সবাই, নিজের ঘরে যায়
ছোট্ট টুকুন একাই শুধু মাথাটা চুলকায়।
ভাইকে বলে, ভাইয়া তুই একটা কথা বল,
রাজকন্যা কেন দিল না একখান মিসকল?
===================================
COMMENTS